আজ বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ইং

গোয়াইনঘাটের সোনার বাংলায় আজ আসছেন মন্ত্রী ইমরান

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২০-০২-২৯ ১০:৩০:৩১

এম,এ,মতিন, গোয়াইনঘাট :: উন্নয়ন বার্তা নিয়ে সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার ঐতিহ্যবাহী সোনার বাংলা উচ্চবিদ্যালয়ে আজ বিকাল ৩ ঘটিকায়  আসছেন গোয়াইনঘাটের সার্বিক উন্নয়নের মহানায়ক সরকারের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ এমপি।

গোয়াইনঘাটের সার্বিক উন্নয়নে অঙ্গাঙ্গী ভাবে জড়িয়ে আছে সরকারের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ এমপির নাম।আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে ১৯৮৬ সালে ইমরান আহমদ রাজনীতিতে প্রবেশ করে জাতীয় সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। তিনি জাতীয় সংসদ সদস্য হিসেবে জয়লাভের পর গোয়াইনঘাট উপজেলার উন্নয়ন ভাবনা নিয়ে পড়তে হয়েছিল চরম বিপাকে। কারণ তৎকালীন সময়ে শিক্ষা ,স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, বিদ্যুৎ ও কর্মসংস্থানসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে গোয়াইনঘাট উপজেলার অবস্থান প্রায় শুন্যের কোটায় বিদ্যমান ছিল। ইমরান আহমদ এমপি গোয়াইনঘাটের উন্নয়ন কার্যক্রম কোন বিভাগ দিয়ে শুরু করবেন বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগছিলেন। কারণ তিনি যে বিভাগের দিকে তাকিয়ে ছিলেন সেই বিভাগটিতে নেই আর নেই তার চোখে পড়ে । অবশেষে তিনি গোয়াইনঘাট উপজেলার শিক্ষা ব্যাবস্থার উন্নয়নের উপর স্থির সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন। আয়তন ও জনসংখ্যার দিক দিয়ে বিশাল একটি উপজেলা গোয়াইনঘাট। সে সময়ে জুনিয়র বিদ্যালয়সহ মাত্র ৮টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ছিল পুরো গোয়াইনঘাট উপজেলায়। তৎসময়ে অর্ধশতাধিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বাহিরে কোন উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় অথবা বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্টিত হয়নি। তিনি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শুরু করে সরকারি কলেজ, আর ইবতেদায়ী মাদরাসা থেকে আলিম মাদরাসাসহ গোয়াইনঘাটের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্টানের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় নিজেকে বিলিয়ে দেন। জুনিয়র হাইস্কুলসহ ৮ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় দিয়ে গোয়াইনঘাটের শিক্ষা ব্যাবস্থার উন্নয়ন যাত্রা শুরু করলেও বর্তমানে আশানুরূপ শিক্ষা প্রতিষ্টান গোয়াইনঘাটে প্রতিষ্টিত হয়েছে। গোয়াইনঘাট সরকারি কলেজসহ ৬ টি কলেজ, ৫ টি কলেজিয়েট স্কুল, ২ টি আলিম মাদরাসা, ৬ টি দাখিল মাদরাসা, ৩৮টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ১৩৬ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করছেন। গোয়াইনঘাট উপজেলায় শিক্ষার প্রচার ও প্রসারে ইমরান আহমদ এমপির অবদান অনস্বীকার্য। একসময় সরকারি যে কোন প্রতিষ্টানে নিয়োগের জন্য সৃষ্ট পদের বিপরীতে গোয়াইনঘাট উপজেলা থেকে প্রার্থীর সংখ্যা নামমাত্র ছিল। ফলে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে এসে বহিরাগতরা পরীক্ষা দিয়ে সংশ্লিষ্ট পদে চাকুরী করতেন।বর্তমানে গোয়াইনঘাট উপজেলায় পর্যাপ্ত সংখ্যক শিক্ষা প্রতিষ্টান গড়ে ওঠায় আজ সরকারি /বেসরকারি যে কোন প্রতিষ্টানে নিয়োগ পেতে ৯৯ টি পদের বিপরীতে ১৫/২০ হাজার নারী/পুরুষ পরীক্ষা দিচ্ছেন।

ইমরান আহমদ এমপিকে সিলেট পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-২এর জনক হিসেবে উপাধী দিলেও সিলেটের গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর, কানাইঘাট, কোম্পানীগঞ্জ ও সিলেট সদর উপজেলার পল্লীবিদ্যুৎতের গ্রাহকগন ইমরান আহমদের ঋণের সুদ হবেনা। আদিকাল থেকেই কেরোসিনের সাহায্যে প্রদ্বীপ জ্বালিয়ে সিলেটের ওই পাঁচটি উপজেলার মানুষ রাতের আধারকে জয় করতেন। শিক্ষা, যোগাযোগ, স্বাস্থ্যসেবাসহ প্রতিটি বিষয়ে পিছিয়ে পড়া ওই জনপদের মানুষের জন্য বিদ্যুৎ সুবিধা সম্পূর্ণ রুপে আকাশ কুসুম কল্পনা হিসেবে বিবেচিত ছিল। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান ইমরান আহমদ এমপি বিদ্যুৎ বঞ্চিত ওই ৫ টি উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে সিলেট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি -২ নামে একটি সমিতি গঠনের উদোগ নেন। গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, জৈন্তাপুর, কানাইঘাট ও সিলেট সদর উপজেলার প্রতিটি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎসরবরাহের জন্য ইমরান আহমদ এমপি প্রাণপ্রন প্রচেষ্টা চালিয়ে ছিলেন।

সারা দেশের প্রতিটি জেলায় পল্লীবিদ্যুৎ একটি মাত্র সমিতির মাধ্যমে গ্রাহকদের বিদ্যুৎ সুবিধা প্রদান করে আসলেও ইমরান আহমদ এমপি ব্যাক্তিগত ভাবে উদ্যোগ নিয়ে সিলেট পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি -২ প্রতিষ্টা করেন। ১৯৯৬ সনে তার উদ্দোগ ও প্রচেষ্টায় সিলেট পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি গঠন হয়। ফলে বর্তমানে সিলেটের ৫ টি উপজেলার প্রত্যেকটি ঘর বিদ্যুৎতের আলোয় আলোকিত। ইমরান আহমদ এমপির তার নির্বাচনী এলাকায় সর্বাধিক সফল হয়েছেন বিদ্যুৎবিভাগে। গোয়াইনঘাট - কোম্পানীগঞ্জ ও জৈন্তাপুর উপজেলায় যোগাযোগের ক্ষেত্রে ইমরান আহমদের রয়েছে অসামান্য অবদান। তিনি যোগাযোগে অকল্পনীয় উন্নয়ন করেছেন। যোগাযোগের ক্ষেত্রে তিনি শুন্য থেকে যাত্রা শুরু করলেও বর্তমানে জেলা শহরের সাথে সড়ক পথে একাধিক সংযোগ তৈরী করেছেন। জাফলং সেতু নির্মাণের মাধ্যমে গোয়াইনঘাট উপজেলা সদরের সাথে জাফলংবাসীর ২৫ কিলোমিটার দূরত্ব কমিয়ে এনেছেন। সালুটিকর - গোয়াইনঘাট, গোয়াইনঘাট - সারীঘাট,গোয়াইনঘাট জাফলং, গোয়াইনঘাট - মনরতল,বঙ্গবীর - হাদারপার,সাহেব বাজার - হরিপুর, হাতিরপড়া - ফতেহপুর, হাতিরপাড়া - মানিকগঞ্জ সড়কসহ শতাধিক গ্রামীন রাস্তা পাকাকরণ করে ইমরান আহমদ এমপি গোয়াইনঘাটের সিংহভাগ এলাকাকে শহরে পরিণত করেছেন। এছাড়াও বর্তমানে শতাধিক মাটির সড়ক নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। গোয়াইনঘাটের অর্ধশতাধিক মাটির সড়ক পাকাকরণের জন্য টেন্ডার প্রক্রিয়ায় রয়েছে। হাদারপার - বিছনাকান্দি সড়কের আনফরের ভাঙ্গায় সেতু নির্মাণের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করে বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় রয়েছে। এছাড়াও সালুটিকর - গোয়াইনঘাট গাংকিনারী মাটির সড়কে দ্রুত কাজ চলছে। গাংকিনারী সড়কটির মাটির কাজ শেষে পাকাকরণ হলে গোয়াইনঘাট উপজেলার যোগাযোগ ব্যাবস্থার আমুল পরিবর্তন হবে। স্বাস্থ্য সেবায় তিনি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছেন। গোয়াইনঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ৩০ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করেছেন। এছাড়া গোয়াইনঘাট উপজেলায় ৮১টি কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করায় তৃণমূল পর্যায়ের মানুষেরা অতি সহজে  চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন। তামাবিল স্থলবন্দর প্রতিষ্টার মাধ্যমে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ব্যাবসায়ীক সুসম্পর্ক গড়ে উভয় দেশে আমদানি ও রফতানির মাধ্যমে রাজস্ব বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখছেন।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০/মতিন/মিআচৌ

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন