আজ বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ইং

‘আপাতত’ বাঁচলো সিলেট

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২০-০৩-২৪ ২০:০৫:৫২

নিজস্ব প্রতিবেদক ::  মহামারী করোনাভাইরাস নিয়ে সারা বিশ্ব যখন দিশেহারা ঠিক এই সময়ে সিলেটে আসছে একের পরে এক সু-খবর। করোনাভাইরাস শরীরে ধরা না পড়ায় হাসপাতালের আইসোলেশন থেকে মোট ৩ জন মুক্তি পেলেন।

আর করোনা সন্দেহে এক নারীর মৃত্যুর পর সারা সিলেটের মানুষের মাঝে ছিল বড় ধরনের আতংক।

আজ মঙ্গলবার ঢাকা থেকে আসা রিপোর্টে মৃত এই নারীর শরীরে করোনাভাইরাস ধরা পড়েনি বলে সিলেটের সিভিল সার্জন জানিয়েছেন। এতে সিলেটের মানুষ আপাতত যেন হাফ ছেড়ে বাঁচলেন।

এর আগে গত সপ্তাহে জ্বর, সর্দি, কাশিসহ বিভিন্ন উপসর্গ নিয়ে আরেক যুক্তরাজ্য প্রবাসী নারী শামসুদ্দিন হাসপাতালের আইসোলেশনে ভর্তি ছিলেন। গত রবিবার ঢাকা থেকে আসা রিপোর্টে এই নারীর শরীরেও করোনাভাইরাস ধরা পড়েনি।

তিন সপ্তাহ আগে কানাইঘাটের দুবাই প্রবাসী এক যুবকের শরীরে করোনা সন্দেহে শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সিলেটে প্রথম করোনা আক্রান্ত সন্দেহে এই যুবককে হাসপাতালে ভর্তি করার পর গোটা সিলেট জুড়ে বিরাজ করছিল বড় ধরণের আতংক। দুবাই প্রবাসী এ যুবকের রিপোর্ট এসেছে নেগেটিভ। অর্থাৎ তিনি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত নন।

হাসপাতালের আইসোলেশনে ভর্তি এই তিন প্রবাসী নিয়ে সিলেটের মানুষের গত তিন সপ্তাহ পার করেছেন উদ্বেগ-উঠকন্ঠায়। তাদের শরীরে যদি এই ভাইরাস ধরা পড়ে তাহলে সিলেটে করোনার বংশ বিস্তার লাভ করবে এমন আতংকে সময় পার করেছিলেন মানুষ। তিনও প্রবাসীর শরীরে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়েনি।

গত রবিবার হাসপাতালের আইসোলেশনে ভর্তি নারীর মৃত্যুর সংবাদে সিলেট জুড়ে বিরাজ করছিল বড় ধরনের আতংক। আজ মঙ্গলবার আসা রিপোর্টে এই নারীর শরীরে করোনাভাইরাস ধরা না পড়ায় সিলেটের মানুষ যেন আপাতত বাঁচলেন।

এদিকে করোনাভাইরাস আক্রান্ত সন্দেহে নগরীর শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের আইসোলেশনে থাকা তিনজন আজ বাসায় ফিরেছেন। তবে তাদেরকে আরো কয়েকদিন বাসায় কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন চিকিৎসকরা।

বিষয়টি সিলেটভিউকে নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ডা. আনিছুর রহমান।

তিনি বলেন, সোমবার পর্যন্ত সিলেটে ৫ জন আইসোলেশনে ছিলেন। এদের মধ্যে একজন যুক্তরাজ্য প্রবাসী নারীর রিপোর্ট গতকাল রবিবার সিলেটে এসে পৌছেছে। এই নারীর শরীরে করোনাভাইরাস ধরা পড়েনি। এছাড়া এক কিশোরসহ আরো দুইজন সুস্থ থাকায় তাদেরকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে।

বর্তমানে শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে আর দুইজন রোগী আইসোলেশনে আছেন।


সিলেটভিউ২৪ডটকম/২৪ মার্চ ২০২০/ জুনেদ/এসডি

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন