আজ শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ইং

সিলেটে কাটলো ‘আতংকের’ একদিন

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২০-০৩-২৭ ০০:০১:২৯

জুনেদ আহমদ চৌধুরী :: মহামারী করোনাভাইরাস আতংকে সিলেটের মানুষ। প্রবাসী অধ্যুষিত সিলেট হওয়ায় এই ভাইরাসের কারণে আতংকের শেষ নেই। যদিও এখন পর্যন্ত সিলেটে কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হননি। বৃহস্পতিবার সিলেটে অনেকটা আতংকের মধ্যে পার করেছে সকল পেশার মানুষ। যেমন শহর তেমন গ্রামের মানুষের মাঝেও ছিল অনেকটা আতংক। সিলেটে সারা দিন দোকানপাট ছিল বন্ধ। সরকারের আহবানে মানুষ বাসাবাড়িতে অবস্থান করেছেন। সচেতন মহল করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সরকারের এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সিলেটে জনসচেতনতা তৈরী করতে মাঠে নামে সেনাবাহিনী। করোনা বিষয়ে মানুষের মাঝে সামাজিক দূরত্ব তৈরী করতে তারা মাঠে কাজ করছে বলে জানিয়েছে সিলেটের জেলা প্রশাসন। শুধু শহর নয় গ্রামগঞ্জে গিয়েও তারা মানুষকে সচেতন করে তুলতে টইল দেয়ার খবর পাওয়া গেছে।
 
এছাড়া পুলিশ প্রশাসনও জনগণকে করোনাভাইরাসের বিষয়ে সচেতন করে তুলতে মাইকিং করতে দেখা যায়। গত ৪ দিন থেকে সিলেট জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সামনে পুলিশের পক্ষ থেকে লিফলেট বিতরণ ও সেনিটাইজার দিতে দেখা যায়। এছাড়া সিলেট সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে নগরীর পাড়ায় পাড়ায় জনসচেতনতার মাইকিং ছিল চোখে পড়ার মত।

গত তিন দিন থেকে সিলেটের মানুষ করোনা আতংকে তেমন ঘর থেকে বের হতে দেখা যায়নি। মানুষকে স্বেচ্ছায় লক ডাউনের পথে এগুতে দেখা যায়। বৃহস্পতিবার সারা দেশের ন্যায় সিলেটেও গণপরিবহন ছিল বন্ধ। সরকারের আহবানে সিলেটের মানুষদের বাসাবাড়িতেই অবস্থান করতে দেখা যায়। একান্ত প্রয়োজন ছাড়া রাস্তাঘাটে তেমন কোন মানুষ দেখা যায়নি। মুদি দোকান, তরকারি, ফার্মাসি ও মানুষের একান্ত জরুরী ছাড়া সকল ধরণের দোকান ছিল বন্ধ। রেস্টুরেন্ট খোলা রাখার নির্দেশনা থাকলেও বেশীরভাগ রেস্টুরেন্ট বন্ধ থাকতে দেখা যায়।
 
রাস্তাঘাটে সকাল থেকে গণপরিবহণ চলাচল করতে দেখা যায়নি। ব্যক্তিগত গাড়ী, ঔষধ, খাবার ডেলিভারির গাড়ী ও ট্রাক চলাচলের ক্ষেত্রে নিষেধ না থাকলেও এসব গাড়ীর চলাচল ছিল খুবই কম। শহরে রিকসা ও মটর সাইকেল চলাচল ছিল খুবই সীমিত। এ প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে এক রিকসা চালক বলেন, সকাল থেকে বের হয়েছি রিকসা নিয়ে। কিন্তু রাস্তাঘাট ফাঁকা। তাই যাত্রীও নেই তেমন।

দেশে জরুরী অবস্থা জারীর পর সিলেট শহরকে এভাবে নীরব নিস্তব্দ দেখা যায়নি। কিন্তু বর্তমানে জরুরী অবস্থা জারী না থাকলেও সাধারণ মানুষ করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সচেতনতার অংশ হিসেবে শহরকে রেখেছেন এক নিরিবিলি পরিবেশ। এ যেন এক শান্ত সিলেট। সরকার করোনা মোকাবেলায় সবাইকে ঘরে থাকার আহবান করলে সিলেটের মানুষ এটাকে সাদরে গ্রহণ করেছে।

নগরীর মিরাবাজারের (রাসোস) বাসিন্দা রাসেল আহমদ সিলেটভিউকে বলেন, সরকারি নির্দেশনা আসার আগ থেকেই গত ৫ দিন থেকে তিনি তার পরিবার নিয়ে বাসায় অবস্থান করেছেন। একান্ত প্রয়োজন ছাড়া বাসা থেকে বের হচ্ছেন না বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, সবকিছু বন্ধ রাখা ও বাসাবাড়িতে অবস্থান নেয়ার সরকারি নির্দেশনা প্রশংসার দাবি রাখে। কারন এ মুহূর্তে করনা প্রতিরোধ করতে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থানে থাকাটাই জরুরি।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/ ২৭ মার্চ ২০২০/ জুনেদ

@

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন