আজ শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ইং

তাহিরপুরে মৃত ব্যক্তির স্বজনদের আরো ৫ পরিবার ‘কোয়ারেন্টিনে’

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২০-০৪-০৩ ১৩:৫৫:৩১

তাহিরপুর প্রতিনিধি :: তাহিরপুরে জ্বর সর্দি কাশিতে মৃত ব্যাক্তির আরো ৫ আত্মীয় পরিবারকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশনা দিয়েছে পুলিশ প্রশাসন। বৃহস্পতিবার মধ্য রাতে বাদাঘাট পুলিশ ফাড়ির সদস্যরা মৃত ব্যাক্তির আত্মীয় স্বজনের বাড়ীতে গিয়ে এ নির্দেশনা দেন।

হোম কোয়ায়ারেন্টিনে থাকা পরিবারগুলো হল উপজেলার মল্লিকপুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের পরিবার, মনা মিয়ার পরিবার, আব্দুল মালিকের পরিবার, মঙ্গল মিয়ার পরিবার ও মোক্তার মিয়ার পরিবার। এই নিয়ে মৃত ব্যাক্তির ৫ পরিবার হোম কোয়ারেন্টিনে আর ৭ পরিবার লকডাউনে।

তবে, গ্রামবাসী জানিয়েছেন, শুক্রবার সকাল থেকে লকডাউনে থাকা পরিবারের লোকজন প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করে যে যার মতো ঘুরাফেরা করছেন। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়ছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, বাদাঘাট পুলিশ ফাড়ির এসআই মাহমুদুল হাসান।

প্রসঙ্গত, সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার মাহতাবপুর গ্রামের জহিরুলকে বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে নিজ বাড়ির মাহতাবপুর কবরস্থানে দাফন করেন তার আত্মীয় স্বজনরা। তিনি জ্বর, সর্দি, কাশিতে মৃত্যুবরণ করেন ঢাকার একটি হাসপাতালে। জহিরুল (২২) তাহিরপুর উপজেলার বালিজুড়ি ইউনিয়নের মাহতাবপুর গ্রামের কাফিল উদ্দিনের ছেলে। গত দুই বছর ধরে সে গাজীপুরে একটি গার্মেন্টেসে চাকরি করতো।

জহিরুলের পরিবারের সদস্যরা জানান, সপ্তাহ খানেক সময় ধরে সে জ্বর, সর্দি, কাশিতে ভুগছিল। বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় মৃত্যু হয় তার। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তার মরদেহ গাজীপুর থেকে সিলেট কোম্পানীগঞ্জের বালুচর গ্রামের কুলসুমা ও মালিক উস্তার নামে দুইজন মাহতাবপুর গ্রামে নিয়ে আসেন।

সংবাদ পেয়ে তাহিরপুর থানা পুলিশ ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকগণ মাহতাবপুর গ্রামে যান। জহিরুলকে যারা গাজীপুর থেকে বাড়ি নিয়ে আসেন এবং লাশ ধোয়ানোর কাজ করেন এমন ৭ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশনা দিয়ে ৭ বাড়িতে লাল নিশানা টানিয়ে দেন তারা।

হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিরা হলেন, জহিরুলের পিতা কফিল উদ্দিন (৫০), মা তাসলিমা বেগম (৩৫), স্বজন আব্দুল মনাফ (৭৫), আবুল বাদশা (৩৫), গাজীপুর থেকে লাশ নিয়ে আসা কুলসুমা (২৬) ও মালিক উস্তার (১৬)। এছাড়া বৃহম্পতিবার মধ্য রাতে নতুন করে মৃত ব্যাক্তির আত্মীয় মল্লিকপুর গ্রামের আরো ৫ জনকে হোমকয়োরেন্টিনে থাকার নির্দেশ দেয় পুলিশ প্রশাসন।

তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিজেন ব্যানার্জী জানান, তিনি সংবাদটি জানার পর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইউএইচএফপিও ও তাহিরপুর থানা অফিসার ইনচার্জকে অবহিত করেন।

তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইউএইচএফপিও ডা. ইকবাল হোসেন বলেন, তিনি ঢাকায় যোগাযোগ করেছেন। তারা নির্দেশনা দিয়েছেন লাশের সাথে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আগামী দুই সপ্তাহ হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/৩ এপ্রিল ২০২০/এমএআর/ডিজেএস

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন