আজ বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ইং

হবিগঞ্জে স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রথম বৈঠক হয়েছিল এই দিনে

আজ ঐতিহাসিক তেলিয়াপাড়া দিবস

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২০-০৪-০৪ ০৯:০৪:৪৫

নিজস্ব প্রতিবেদক :: আজ ৪ এপ্রিল, ঐতিহাসিক তেলিয়াপাড়া দিবস। হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার তেলিয়াপাড়া চা-বাগানের ম্যানেজার বাংলোয়  ১৯৭১ সালের এই দিনে স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের ঊর্ধ্বতন ২৭ সেনাকর্মকর্তার উপস্থিতিতে এ বৈঠকে, প্রিয় মাতৃভূমিকে স্বাধীন করার শপথ এবং যুদ্ধের রণকৌশল গ্রহণ করা হয়। মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গণকে ভাগ করা হয় ১১টি সেক্টর ও ৩টি ব্রিগেডে।

ওই দিনের বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক আতাউল গণি ওসমানী, তৎকালীন মেজর সিআর দত্ত, মেজর জিয়াউর রহমান, কর্নেল এমএ রব, রব্বানী, ক্যাপ্টেন নাসিম, আব্দুল মতিন, মেজর খালেদ মোশাররফ, কমান্ডেন্ট মানিক চৌধুরী, ভারতের ব্রিগেডিয়ার শুভ্র মানিয়ম, এমপিএ মৌলানা আসাদ আলী, লে.সৈয়দ ইব্রাহীম, মেজর কেএম শফিউল্লাহ প্রমুখ।

এখান থেকে মুক্তিবাহিনীর বিভিন্ন অভিযান পরিচালনা করা ছাড়াও তেলিয়াপাড়া চা বাগানে মুক্তিযোদ্ধাদের একটি বড় প্রশিক্ষণ ক্যাম্প গড়ে উঠে। মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল এমএজি ওসমানীসহ কয়েকটি সেক্টরের কমান্ডাররা বিভিন্ন সময়ে তেলিয়াপাড়া সফর করেন।

ম্যানেজার বাংলোসহ পাশ্ববর্তী এলাকা ছিল মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও সেনানায়কদের পদচারণায় মুখরিত। ১৯৭১ সালের ২১ জুনের পরে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আক্রমণের কারণে তেলিয়াপাড়া চা বাগানে স্থাপিত সেক্টর হেড কোয়ার্টার তুলে নেয়া হয়। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের স্মৃতিজড়িত তেলিয়াপাড়া চা বাগান স্মৃতিসৌধ এলাকা বর্তমান সময়ে আকর্ষণীয় পিকনিক স্পটে পরিণত হয়েছে। দৃষ্টিনন্দন বুলেট আকৃতির স্মৃতিসৌধ, ম্যানেজার বাংলো ও চা বাগানের সৌন্দর্য অনেকখানি বাড়িয়ে দিয়েছে।

তবে আক্ষেপের বিষয় হলো, স্বাধীনতার ৪৯ বছরেও ঐতিহাসিক এ স্থানটি সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা হয়নি। অথচ এই স্থানটিকে সংরক্ষণ করে একটি মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘর নির্মাণ করলে নতুন প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারবে বলে মনে করেন সচেতন মহল।


সিলেটভিউ২৪ডটকম / ৪ এপ্রিল, ২০২০ / ডালিম

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন