আজ শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ইং

বুরুঙ্গায় চেয়ারম্যান খালেকের বিরুদ্ধে কিশোরী ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে, থানায় মামালা

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২০-০৪-০৬ ১৪:৫২:৪১

ওসমানীনগর প্রতিনিধি :: সিলেটের ওসমানীনগরে ১৩ বছরের এক কিশোরী ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে লম্পট পিতা এবং উপজেলার বুরুঙ্গা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এমজি রাসুল খালেক লটইর বিরুদ্ধে।

এ ঘটনায় ওই কিশোরীর মা বাদি হয়ে লম্পট পিতা ও জরিত ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়েরের পর লম্পট পিতাকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে থানা পুলিশ।

উপজেলার বুরুঙ্গা ইউনিয়নের পূর্ব তিলা পাড়া ও পশ্চিম সিরাজ নগর গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বুরুঙ্গা ইউনিয়নের তিলা পাড়া গ্রামে লম্পট আব্দুর নূরের কু নজর পড়ে তার ১৩ বছর বয়সী নিজ কন্যার উপর। এই ধারাবাহিকতায় নিজ মেয়েকে দীর্ঘ দিন ধরে উক্ত্যক্ত করে আসছিলো লম্পট আব্দর নূর। অবশেষে কিশোরী নিরুপায় হয়ে তার মার কাছে সব কিছু খুলে বলে। কিশোরীর মা বিষয়টি নিয়ে স্বামী আব্দুর নূরের কাছে এ ব্যাপারে জনতে চাইলে লম্পট আব্দর নূর স্ত্রী ও কন্যার উপর নির্যাতন চালায়। গত ২৯ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতে সন্তানদের নিয়ে বসত ঘরের পৃথক একটি কক্ষে ঘুমান কিশোরীর মা। রাত ১ টার দিকে তার লম্পট স্বামী আব্দুর নূর ঘুম থেকে জেগে কিশোরী কন্যাকে ধর্ষনের চেষ্টা চালান। এসময় মেয়ের চিৎকার শোনে কিশোরীর মা জেগে উঠে নেক্কারজনক কাজে বাধা প্রদান করলে সে স্ত্রী ও কন্যাকে মারপিট শুরু করে। পরদিন ভোর বেলা কিশোরীর মা কিশোরীসহ তার তিন সন্তানকে নিয়ে তার পিতার বাড়িতে চলে যান।

পরবর্তীতে গত ৫ মার্চ কিশোরীর মা মেয়েকে নিয়ে স্থনীয় বুরুঙ্গা ইউনিয়ন চেয়ারম্যোন এমজি রাসুল খালেক লটইর বাড়িতে এসে লম্পট স্বামীর ব্যাপারে বিচার প্রার্থী হন। এ সময় চেয়ারম্যান এমজি রাসুল খালেক লটইর অসৎ উদ্দেশ্যে ওই কিশোরীকে কাছে নেন। বিচার করে দেওয়ার আশ্বাসে অশ্লীল অঙ্গভাঙ্গি করে কিশোরীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে হাত দেওযার চেষ্টা করেন। এসময় কিশোরীর মা বাধা প্রদান করেলে চেয়ারম্যান উত্তেজিত হয়ে তাদেরকে বাড়ি থেকে বের করে দেন।

অবশেষে কিশোরীর মা বাদি হয়ে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে স্বামী আব্দুর নূর ও চেয়ারম্যান এমজি রাসুল খালেক লটইকে অভিযুক্ত করে থানায় মামলা দায়ের করেন।

কিশোরীর মা বলেন, নিজের মেয়ের উপর তার পিতার কু নজর দেওয়ার করণে আমি তাদের নিয়ে আমার পিতার বাড়িতে চলে আসি। এ ঘটনার জন্য আমি বুরুঙ্গা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এমজি রাসুল খালেক লটইর কাছে যাই কিন্তু চেয়ারম্যানও বিচারের আশ্বাসে আমার মেয়েকে উত্ত্যাক্ত করে ধর্ষেনের চেষ্টা চালায়। আমি আমার মেয়েকে নিয়ে নিরুপায় হয়ে অবশেষে থানা পুলিশের দারস্ত হয়েছি। আমি এই দুই জনের নেক্কারজনক কাজের শাস্তি চাই।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসমানীনগর থানার এস আই সুফিকুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় মামলা দায়েরর পর কিশোরীর পিতাকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যানেকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে ও সার্বিক বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।


সিলেটভিউ২৪ডটকম/০৬ এপ্রিল ২০২০/আরপি/এসডি

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন