আজ শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ইং

সিলেটে ত্রাণ বিতরণে বাড়ছে করোনার ‘ঝুঁকি’

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২০-০৪-০৭ ০০:০১:২২

নিজস্ব প্রতিবেদক :: ত্রাণ বিতরণ নিশ্চয় ভালো কাজ। কিন্তু করোনাভাইরাসে সামাজিক যে দূরত্ব রাখা দরকার সেটা অনেকেই না মেনে সিলেটে চালিয়ে যাচ্ছেন ত্রাণ তৎপরতা। এতে দিনে দিনে বাড়ছে করোনার ঝুঁকি। এমনিতেই সিলেটে ধরা পরেছে করোনা আক্রান্ত রোগী। আর অবাদে মানুষকে একত্রিত করে খাদ্য সামগ্রী বিতরণে সিলেটে আরেকদফা বাড়লো করোনার ঝুঁকি।

সিলেট নগরীতে বাসায় বন্দি থাকা অসহায় মানুষের খাদ্য সংকট মোকাবেলায় সিটি কর্পোরেশন গঠন করে খাদ্য ফান্ড। পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যক্তি উদ্যোগে ও সামজিক সংগঠনের ত্রাণ তৎপরতা সিলেট নগরীতে ছিল চোখে পড়ার মত। অনেকের এসব ত্রাণ বিতরণে মানুষকে জটলা বেধে খাদ্য বিতরণ করতে দেখা গেছে।

করোনার ঝুঁকি এড়াতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তিন ফুট দূরত্বে থাকার যে নির্দেশনা ছিল ত্রাণ বিতরণের সময় অনেককেই এটি মানতে দেখা যায়নি। বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই একত্রিত হয়ে খাদ্য বিতরণ করেছেন ঝুঁকির মধ্যেই।

আজ সোমবার সকালে নগরীর মদিনা মার্কেটে ত্রাণ বিতরণ করেন বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আমির হোসেন। এসময় কমিটির সহ সভাপতি সাইদুল ইসলাম,আলি আহমদ, সাধারন সম্পাদক বাবলু আহমদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিন আমিন,সাংগঠনিক সম্পাদক আতিকুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ রাসেল আহমদ, ধর্ম ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক হুসাইন আহমদ মাসুম, দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সহ সমিতির বেশ কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন।

তাদের ত্রাণ বিতরণের ছবিতে দেখা যায়, একজন থেকে আরেকজনের দূরত্ব ৩ ইঞ্চি পরিমাণ জায়গাও ছিল না।

মদিনা মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আমির হোসেন এ ব্যাপারে সিলেটভিউকে বলেন, দেশের মানুষকে সচেতন করতে সময় লাগবে। আমরা যেখানে খাদ্য বিতরণ করতে যাই মানুষ এমনিতেই ভীড় করেন। তিনি বলেন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে তিনি নিজেও কাজ করছেন।

এদিকে আজ সোমবার বিকেল সিলেট জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন বলেছেন, লোকজন জড়ো করে খাবার বিতরণ খুব বিপজ্জনক। তালিকা করে ত্রাণ সামগ্রী মানুষের ঘরে পাঠিয়ে দিতে দাতাদের প্রতি তিনি আহবান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এতে লোকজন ত্রাণের খোঁজে রাস্তায় ঘোরাঘুরি করবে না।

সিসিকের গঠিত খাদ্য ফান্ড থেকে গত শনিবার ১৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এবিএম জিল্লুর রহমান উজ্জ্বল খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন। তার খাদ্য বিতরণের ছবি সামাজিক মাধ্যমে ঝড় তুলে। কাউন্সিলর উজ্জ্বলের খাদ্য বিতরণের এ ছবিতে দেখা যায় একজন ব্যক্তিকে খাদ্য দিতে ১৭ জন মানুষ ভীড় জড়ো হয়েছেন। একজনের কাছ থেকে আরেকজনের দূরত্ব এক ইঞ্চি পরিমাণ ফাঁকা জায়গা দেখা যায়নি।

সোমবার রাতে কাউন্সিলর উজ্জ্বলের বক্তব্য নিতে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এভাবে খাদ্য বিতরণে দাতা ও গ্রহীতা উভয়ের জন্য বাড়ে করোনার ঝুঁকি ।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/৭ এপ্রিল ২০২০ /জুনেদ

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন