আজ শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ইং

সিলেটে খাবারের জন্য অসহায় মানুষ রাস্তায়, বিক্ষোভ

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২০-০৪-০৭ ০৯:৫৩:১৭

নিজস্ব প্রতিবেদক :: করোনা পরিস্থিতিতে সিলেটে বেকার হয়ে পড়া শ্রমজীবি লোকজন খাদ্যের অভাবে পড়েছেন বিপাকে। এই অবস্থায় সরকারের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের প্রতি বিপদে পড়া মানুষের ঘরে ঘরে খাবার পৌঁছে দেয়ার নির্দেশ থাকলে তা সুষ্ঠুভাবে অনেক জায়গায় পালন করা হচ্ছে না। এতে ক্ষোভ বাড়ছে ভুক্তভোগী মানুষের মধ্যে। খাবার না পেয়ে বিক্ষোভও করছেন অনেকে।  গতকাল এমনই ঘটনা ঘটেছে সিলেটের খাদিমনগরে। 

জানা গেছে, গতকাল সোমবার (০৬ এপ্রিল) ইসলামপুর পুরাবাড়ি এলাকায় সিলেট সদর উপজেলার ৩নং খাদিমনগর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের শতাধিক নারী-পুরুষ খাবারের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন।
বিক্ষোভে অংশ নেয়া দিনমজুররা সাংবাদিকদের বলেন, সরকার বলছে সবাই ঘরে থাকুন। আমরা বাড়িঘরে খাদ্য পাঠাব। কিন্তু আমরা এখনও কিছু পাইনি। বাধ্য হয়ে খাদ্যের জন্য রাস্তায় নামছি।

তারা বলেন, আমরা ঘরবন্দি। কাজকর্ম নেই, ঘরে খাবারও নেই। খাবার দেয়া তো দূরের কথা এলাকার চেয়ারম্যান মেম্বার কেউ কোনো খোঁজখবর নেন না। আমরা অনাহারে মরতে বসেছি। খাবারের অভাবে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করছি।

ওই এলাকায় অনেক চা-শ্রমিকও রয়েছেন। তারা বলেন, সবাই বলে সরকার অসহায়দের অনুদান দিচ্ছে। কিন্তু আমরা তো কোনো অনুদান পাইনি। সরকার যে কাজ বন্ধ করল, এখন ছেলে-মেয়ে নিয়ে বাড়িতে না খেয়ে মরতে বসেছি। ঘরে খাবার নেই। সরকার তো আমাদের খোঁজখবর নিচ্ছে না।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই এলাকার ঘরবন্দি দিনমজুররা প্রায় ১২ দিন ধরে সরকারি কোনো সহায়তা পাননি।  অনেকের ঘরে সামান্য পরিমাণ খাবারও নেই। এক গ্রামের সাড়ে ৪০০ পরিবারের মধ্যে ত্রাণ দিয়েছেন মাত্র পাঁচজনকে। তবে স্থানীয় ধনি দুটি পরিবারের পক্ষ থেকে ওই এলাকার ৩০-৩৫ গরিব পরিবারকে সহোগিতা করা হয়েছে।

৩নং খাদিমনগর ইউপি চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন কম ত্রাণ দেয়ার বিষয়টি স্বীকার করে সিলেটভিউ২৪-কে বলেন, আমার ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামবাসী বিক্ষোভ করেছেন, এটা ঠিক। কিন্তু আমার কী করার আছে?? পুরো ইউনিয়নের জন্য মাত্র দুই টন চাল এসেছে। এই পরিমাণ চাল দিয়ে একটি ওয়ার্ডে সর্বোচ্চ ২২ পরিবারকে ত্রাণ দেয়া সম্ভব, এর বেশি না। যে গ্রামের মানুষ বিক্ষোভ করেছেন সে গ্রামের তালিকা অনুযায়ী পাঁচজন চাল পেয়েছেন, এর বেশি দেয়ার সুযোগ ছিলো না।

তিনি বলেন- তবে হ্যা,  এই এলাকায় আরও ত্রাণ দেয়া প্রয়োজন। আমরা ইএনও মহোদয়ের কাছে চাহিদা জানিয়েছি। পরবর্তী বরাদ্দ আসলে আমরা অবশ্যই তাদের ত্রাণ দিবো।


সিলেটভিউ২৪ডটকম / ৭ এপ্রিল, ২০২০ / ডালিম

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন