আজ বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ইং
এম,এ,মতিন, গোয়াইনঘাট :: সিলেটের গোয়াইনঘাটে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় প্রায় সবকটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলসহ উপজেলার সিংহ ভাগ এলাকার মানুষ পানি বন্ধী হয়ে পড়েছে। উজান থেকে নেমে আসা ঢলের কারণে গোয়াইনঘাটের পিয়াইন,সারী এবং গোয়াইন অববাহিকায় নদ-নদীর পানির বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ও টানা ভারী বর্ষণের ফলে সৃষ্ট বন্যায় জেলা সদরের সাথে গোয়াইনঘাটের যোগাযোগ রক্ষাকারী সিলেট, সারী গোয়াইনঘাট সড়ক, সিলেট সালুটিকর - গোয়াইনঘাট সড়ক,ফতেহপুর ভায়া হাকুর বাজার - মানিকগঞ্জ সড়কসহ সবকটি সড়কেই কোথাও হাটু পানি কোথাও কোমর পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। আকষ্কিক বন্যায় প্লাবিত হওয়ায় গোয়াইনঘাটের নদ-নদীর পানি প্রবাহিত হওয়ায় জাফলং, বিছনাকান্দিসহ কোয়ারী এলাকাগুলোতে পাথর,বালু উত্তোলন সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। বিশেষ করে নিম্নাঞ্চল ও হাওর এলাকায় পানি বন্ধী মানুষের দূর্ভোগ মারাত্মক আকার ধারণ করেছে।
গোয়াইনঘাটের বন্যা কবলিত এলাকার মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায়, আকষ্কিক পাহাড়ি ঢলে বন্যায় পানি বন্ধী হয়ে মারাত্মক দূর্ভোগ ও ভোগান্তির স্বীকার হয়েছেন তারা। বেশিরভাগ মানুষই ঘর থেকে বের হতে পারছেন না। পানিবন্দি এলাকায় জরুরী ত্রাণ সামগ্রী বরাদ্দের জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিচ্ছেন বলে প্রায় সবকটি ইউনিয়নের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা জানান।
এ ব্যাপারে গোয়াইনঘাটের উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুস সাকিব বলেন, গোয়াইনঘাটে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ইউনিয়ন সমূহের মধ্যে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ১০টি ইউনিয়নের মধ্যে রয়েছে তোয়াকুল, নন্দীরগাওঁ, রুস্তুমপুর, পশ্চিম জাফলং, লেঙ্গুড়া,পূর্ব জাফলং, আলীরগাওঁ,পূর্ব আলীরগাওঁ,ডৌবাড়ী ও ফতেহপুর ইউনিয়নের সিংহভাগ অঞ্চল। এসব এলাকায় স্থাপিত বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র গুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তবে এখনো পর্যন্ত বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র গুলোতে পানিবন্ধী মানুষেরা উটতে শুরু করেনি। দুটি আশ্রয় কেন্দ্রসহ প্রাতিষ্টানিক ৫২ টি আশ্রয় কেন্দ্র পুরাপুরি প্রস্তুত বলে তিনি জানান। এছাড়া নিরাপদ পানির উৎস গুলো ক্ষতিগ্রস্থ হলে তাৎক্ষণিক মেরামত করার জন্য জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
সিলেটভিউ২৪ডটকম/২৭ মে ২০২০/মতিন/মিআচৌ