আজ শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ইং

গোলাপগঞ্জে রিপোর্টের অপেক্ষায় ২০ জন, মোট আক্রান্ত ৩৬

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২০-০৫-২৭ ১১:০১:০২

গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধি ::  সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলায় এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৬ জন। উপজেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে ৪২১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩৬ জন করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়। এদের মধ্যে ১জন মারা গেছেন ও ৩ জন ইতিমধ্যে সুস্থ হয়েছেন এবং হোমকোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ১৯ জন। এছাড়া রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছেন ২০ জন।  চিকিৎসাধীন ৩২ জনের শারিরীক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মনিস্বর চৌধুরী।

জানা যায়, উপজেলায় প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয় ২ মে উপজেলার ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়নের কানিশাইল এলাকায়। সুনামগঞ্জ থেকে তিনি এসেছিলেন। দ্বিতীয় করোনা রোগী শনাক্ত হয় উপজেলার লক্ষিপাশা ইউনিয়নের জাঙ্গালহাটা গ্রামে। তবে উপজেলা পৌর সদরের টিকরবাড়ি এলাকায় গত ১৪ মে এক বৃন্ধ করোনায় আক্রান্ত হোন। টিকরবাড়ির বৃদ্ধের সংস্পর্শে আসা একবাড়ির ১৩ জন একদিনে সংক্রমিত হলে উপজেলায় আতংক ছড়িয়ে পড়ে । এরপর থেকে উপজেলায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রতিদিন বাড়তে থাকে।  সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে গোলাপগঞ্জ পৌরসভায় ২৪জন, ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়নে ২জন, আমুড়া ইউনিয়নে ২জন, ভাদেশ্বর ইউনিয়নে ১জন, লক্ষিপাশা ইউনয়নে ১ জন, এবং বাদেপাশা ইউনয়নে ৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তবে টিকরবাড়িতে একদিনে ১৩জন আক্রান্ত হওয়া এবং আছিরগঞ্জ বাজারের পল্লী চিকিৎসক আবুল কাশেমের মৃত্যু হলে উপজেলায় সাধারণ মানুষের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। প্রতিদিন নতুন নতুন আক্রান্ত এবং পল্লী চিকিৎসকের মৃত্যুতে মানুষ ভীত হয়ে পড়েন।

উপজেলার বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও শিক্ষানুরাগী মিজানুর রহমান চৌধুরী রিংকু বলেন, প্রতিদিন আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি ও আবুল কাশেমের মৃত্যু মানুষের মধ্যে আতংকের সৃষ্টি হয়েছে। আমাদের কিছু মানুষের অবিবেচকের মতো কাজ সকলের জন্য বিপদ ডেকে আনছে। তিনি বলেন, আতংক নয়, প্রয়োজন সচেতনতা । আমরা সাধারণ মানুষের শুধু নির্দেশনা মেনে চলে সহযোগিতা করতে হবে। সচেতন না হলে আমাদেরকে ভয়াবহ ক্ষতির সম্মূখীন হতে হবে।

নর্থইস্ট বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ও  সমাজসেবক ও শিক্ষানুরাগী মনজুর সাফি চৌধুরী এলিম বলেন, করোনা মোকাবেলায় সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। করোনা প্রতিরোধ, চিকিৎসায় এবং ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সহায়তায়  প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে  ব্যাপক কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। এসব পদক্ষেপ বাস্তবায়নে চিকিৎসক, পুলিশ ও মাঠ প্রশাসনের সকল কর্মকর্তা কর্মচারীরা প্রশংসনীয় কাজ করছেন । উপজেলার বর্তমান পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রনে আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রত্যেককে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত, অপ্রয়োজনে ঘর থেকে বের না হওয়াসহ স্বাস্থ্য বিধি না মানলে চরম মূল্য দিতে হবে।

এদিকে, উপজেলার বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে বলতে গিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মনিস্বর চৌধুরী জানান, করোনা প্রতিরোধে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ রাতদিন পরিশ্রম করে যাচ্ছে। আক্রান্তদের মধ্যে চিকিৎসাধীন সবাই ভালো আছেন। তিনি সচেতনতার উপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, স্বাস্থ্য সচেতনতাই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। বেশি বেশি সাবান দিয়ে হাত ধোয়া এবং সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা খুব কঠিন নয়। সচেতনভাবে এই সামান্য কাজ আমরা করতে পারলেই বড় ক্ষতি থেকে রক্ষা পাবো। আমরা অনেক কাজ বাড়ি থেকে বের না হয়েও করতে পারি।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/২৭ মে ২০২০/এএইচএ/মিআচৌ

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন