আজ শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ইং

গোয়াইনঘাটে ঘূর্ণিঝড়ে বিধস্ত বিদ্যালয়ের বাউন্ডারি দেওয়াল

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২০-০৫-২৯ ১৭:০৪:৪২

নিজস্ব প্রতিবেদক, গোয়াইনঘাট :: গোয়াইনঘাটের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়াগুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

বিদ্যালয়টি ১৯৪৫ সালে গোয়াইনঘাট উপজেলায় সালুটিকর-গোয়াইনঘাট সড়ক ঘেঁষে লেঙ্গুড়া ইউনিয়নের নিয়াগুল গ্রামে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। পরবর্তীতে স্থানান্তরিত হয়ে পার্শ্ববর্তী জাতুগ্রামে স্থায়ীভাবে বিদ্যালয়টির একাডেমিক ভবন গুলো নির্মিত হয়।

বর্তমানে নিয়াগুল, শনিরগ্রাম ও জাতুগ্রামসহ ৪/৫টি গ্রাম থেকে নিয়াগুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৭শতাধিক শিক্ষার্থী পড়াশোনা করেন। ১ জন (পুরুষ) শিক্ষকসহ মোট ৬ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা বিদ্যালয়টিতে পাঠদান করে চলেছেন।

সালুটিকর-গোয়াইনঘাট সড়ক ঘেঁষে বিদ্যালয়টি স্থাপিত হওয়ায় সর্বদাই উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাসহ সরকারি পদস্থ কর্মকর্তারা বিদ্যালয়টি নিয়মিত পরিদর্শন করে থাকেন।

অপরদিকে সু্যোগ্য প্রধান শিক্ষক মো. ছালিকুর রহমানের তত্বাবধানে যথাযথ ভাবে পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত থাকায় বিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা পিএসসি পরীক্ষায় প্রতি বছরই অন্যান্য বিদ্যালয় থেকে ভাল ফলাফল করে আসছেন। সম্প্রতি সময়ে গোয়াইনঘাটের কিছু কিছু এলাকায় বয়ে যাওয়া প্রাকৃতিক দূর্যোগ ঘূর্ণিঝড়ে শতাধিক বসতঘরসহ কয়েক শতাধিক ছোট, মাঝারি ও বড়ধরনের গাছ উপড়ে ফেলে। এই ঘূর্ণিঝড় থেকে রেহাই পায়নি নিয়াগুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। অত্র প্রতিষ্ঠানের বাউন্ডারি ওয়ালসহ ৭/৬ ফুট সাইজের একটি গাছ ঘূর্ণিঝড়ে মাটিতে ফেলে। এতে বিদ্যালয়টির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

বিদ্যালয়টি ঘেঁষে জন গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ততম সড়ক সালুটিকর-গোয়াইনঘাট অবস্থিত হওয়ায় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য জরুরি ভিত্তিতে বিদ্যালয়টির বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ করা অতিব জরুরি।

এ ব্যাপারে নিয়াগুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ছালিকুর রহমান বলেন, বিদ্যালয়টির সীমানা ঘেঁষে গোয়াইনঘাট উপজেলা সদরের সাথে সংযোগ সৃষ্টি করেছে দেশের অন্যতম ব্যাস্ততম সড়ক সালুটিকর - গোয়াইনঘাট।

তিনি আরো জানান, বিদ্যালয়টিতে ৭০০ শতাধিক শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছেন। দ্বিতলা বিশিষ্ট একটি একাডেমিক ভবন ছাড়া বিদ্যালয়ে রয়েছে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ টিন সেড একটি ঘর। ফলে শিক্ষার্থীরা ঝুঁকিপূর্ণ টিন সেড ঘরে অবস্থান না করে পার্শ্ববর্তী সড়কে খেলাধুলার চেষ্টা করেন। সুতরাং শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বিবেচনা করে বিদ্যালয়টিতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নতুন একাডেমিক ভবন ও বাউন্ডারি পরিপূর্ণ করতে হবে। তাই তিনি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের শুভ দৃষ্টি কামনা করেছেন।


সিলেটভিউ২৪ডটকম/২৯ মে ২০২০/এমএএম/এসডি

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন