আজ বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪ ইং

জৈন্তাপুরে করোনারোগীর সংখ্যা বাড়ছে, নতুন আক্রান্ত ৩

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২০-০৫-৩১ ১৮:৫৯:৩০

জৈন্তাপুর প্রতিনিধি :: সিলেট জৈন্তাপুর উপজেলায় করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে।

বিশেষ করে জৈন্তাপুর উপজেলার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি অফিস, ইউনিয়ন পরিষদ গুলোতে আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

উপজেলায় এ পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে মোট ১৮ জন। নতুন আক্রান্ত ৩ জনসহ বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসাধীন রয়েছে ১৬ জন, সুস্থ্য হয়ে বাড়ীতে অবস্থান করছে ১জন, মারা গেছে ১জন। নতুন নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে আরোও ৬১ জনের।

উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সূত্রে জানা যায়, করোনাভাইরাস বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পাড়ার কিছু দিনের মধ্যে বাংলাদেশে সংক্রমণটি ধরা পড়ে।
পর্যায়ক্রমে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ পাড়ি দিয়ে সিলেটে করোনা রোগীর সন্ধান পাওয় যায়। পরবর্তীতে ১৬ এপ্রিল নারায়নগঞ্জ ফেরত ট্রাক শ্রমিক উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নের সরুফৌদ গ্রামের জমির উদ্দিনের ছেলে জামাল উদ্দিন করোনা পজেটিভ ধরা পড়ে।

২২ মে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফারুক হোসেন, নির্বাহী অফিসের পরিচ্ছন্ন কর্মী রনী লাল দাশ, ২৩ মে সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় উপজেলার তেলীহাটি গ্রামের বিপুল চন্দ্রের স্ত্রী জ্যোতি রানী চন্দ্র, ২৪ মে নির্বাহী অফিসের আইসিটি অফিসার মো. ওয়াহিদুল ইসলাম এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নৈশ্য প্রহরী সেলিম আহমদ, ২৬ মে করোনা উপসর্গ নিয়ে জৈন্তাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মো. আবুল হোসেন চিকিৎসাধিন অবস্থায় সিলেটের শামসুদ্দিন হাসপাতালে মারা যায়।

২৮ মে উপজেলা সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সুব্রত দেব নাথ, একই অফিসের কাইয়ুম আহমদ, মো. আবু ইউসুফ, উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মো. রাশেল ভূইয়া, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের অফিস সহকারী শীশাকর কুমার ঘোষ এবং উপজেলার চারিকাটা ইউনিয়নের সরুফৌদ গ্রামের আসাদ উদ্দিন, ৩০ মে জৈন্তাপুর উপজেলার সদর নিজপাট ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. ইয়াহিয়া, ৩১ মে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের কর্মচারী ধরনী কান্তি রায়, উপজেলা পরিসংখ্যান অফিসের কর্মচারী মুক্তাদির হোসেন মুক্তা এবং উপজেলা স্বাস্থ্য সহকারী করোনা কান্ত দে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়।

এছাড়া কানাইঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা জৈন্তাপুর উপজেলা চাক্তা গ্রামের বাসিন্ধা মো. ইয়াজুল আমিন'র করোনা ভাইরাস পজেটিভ আসে।

সচেতন মহল মনে করছে করোনা ভাইরাস জৈন্তাপুর উপজেলায় ১৬ এপ্রিল ধরা পড়ার পর পর আইন শৃঙ্খলা বাহিনী এবং উপজেলা পরিষদের গঠিত ভাইরাস মোকাবেলা টিম কঠোর অবস্থানে থেকেই রাত দিন জনসচেতনতা সৃষ্টি করার ফলে করোনা ভাইরাস সাধারণ মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েনি। সর্বশেষ মে মাসের শেষ অংশে এসে পবিত্র ঈদুল ফিতরে কিছুটা সুযোগ দেওয়ায় ভাইরাসটি লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েই চলছে।

তারা ধারণা করেছে উপসর্গ ছাড়াই উপজেলার প্রাণ কেন্দ্রে ভাইরাসটি আক্রান্তের বেড়েছে এটি সঠিক নয়, উপজেলার জনসাধারণ বিভিন্ন স্থানে অসচেতন ভাবে চলা ফেরার কারনে ভাইরাসটি গ্রাম অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে বলে তাদের ধারনা, যদি গ্রাম অঞ্চলে টেষ্ট বৃদ্ধি করা হয় তাহলে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি পাওয় যাবে।

উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার মোহাম্মদ আমিনুল হক সরকার সিলেটভিউকে বলেন, আজ আমরা জৈন্তাপুর ইউনিয়ন পরিষদসহ অন্যান্য আক্রান্ত ব্যক্তি ও বাড়ীর সদস্যসহ জনসাধারনের আরোও ৬১টি নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে প্রেরণ করেছি।


সিলেটভিউ২৪ডটকম/৩১ মে ২০২০/এমএইচ/এসডি

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন