আজ বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ইং

সিলেটে খোঁজ চলছে নতুন করোনা হাসপাতালের

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২০-০৬-০২ ১১:৩৮:৫৫

নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেটে দিন দিন বেড়েই চলছে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। ইতোমধ্যে বিভাগে আক্রান্তের সংখ্যা এক হাজার ছাড়িয়েছে। আর গত রবিবার পর্যন্ত শুধু সিলেট জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৫৫ জন। আক্রান্তের সাথে বাড়ছে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যাও। ফলে করোনা বিশেষায়িত শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের পাশাপাশি খোঁজা হচ্ছে নতুন হাসপাতাল।

তিনশ’ শয্যার একটি বেসরকারি হাসপাতাল ‘রিক্যুইজেশন’র জন্য গতকাল সোমবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এদিকে, সেন্ট্রাল অক্সিজেন ব্যবস্থা, আইসিইউ ও পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় করোনা চিকিৎসার জন্য পূর্ব নির্ধারিত সরকারি দুটি হাসপাতাল কোন কাজেই আসছে না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

সিলেটে করোনা পরিস্থিতির শুরুতেই কোভিড-১৯ চিকিৎসার জন্য বিশেষভাবে প্রস্তুত করা হয় শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতাল। ১০০ শয্যার এই হাসপাতালে শুরুতে মাত্র দুটি আইসিইউ বেড থাকলেও পরবর্তীতে ভেন্টিলেশনসহ আরও ৯টি বেড বাড়ানো হয়। করোনা সংক্রমণের শুরুতে আক্রান্তের সংখ্যা কম থাকায় কারো শরীরে উপসর্গ পেলেই তাকে হাসপাতালটিতে ভর্তি করা হতো। নমুনা পরীক্ষায় রিপোর্ট নেগেটিভ আসলেও পুরো ১৪ দিন তাকে হাসপাতালে রাখা হাতো আইসোলেশনে। কিন্তু সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় এখন সকল রোগীকে ভর্তি করা হচ্ছে হাসপাতালে। কম উপসর্গ থাকা রোগীদেরকে বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে বলা হচ্ছে। হাসপাতালে ভর্তির ক্ষেত্রে শ^াসকষ্ট আছে এমন রোগীদেরকেই অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। গতকাল সোমবার বিকেল পর্যন্ত শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ছিল ৬৩ জন। দু’তিনদিনের মধ্যে হাসপাতালের শূণ্য শয্যাগুলোও পূর্ণ হয়ে যাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তাই করোনা চিকিৎসার জন্য খুঁজতে হচ্ছে নতুন হাসপাতাল। এ ক্ষেত্রে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে সিলেটের বেসরকারি হাসপাতাল ‘নর্থ ইস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল’কে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সিলেট অফিসের সহকারী পরিচালক ডা. আনিসুর রহমান জানান, ২০টি আইসিইউসহ তিনশ’ শয্যার এই হাসপাতালটি করোনা চিকিৎসার জন্য ছেড়ে দিতে সম্মত হয়েছেন মালিকপক্ষও। তাই হাসপাতালটি রিক্যুইজেশনের জন্য গতকাল সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সিলেট অফিস ও বিভাগীয় কমিশনারের পক্ষ থেকে আলাদাভাবে চিঠি পাঠানো হয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে। মন্ত্রণালয়ের অনুমতি পেলেই হাসপাতালটিতে রোগী ভর্তি শুরু হবে।

এদিকে, করোনা সংক্রমণের শুরুতে শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের পাশাপাশি সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতাল ও খাদিমপাড়া সরকারি হাসপাতালকেও করোনা চিকিৎসার জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু এ দুটি হাসপাতালে করোনার চিকিৎসা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন সিলেট জেলা করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ কমিটির সদস্য ও ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. ইউনুছুর রহমান।

তিনি জানান, শুরুতে কোভিড-১৯ এর চিকিৎসা নিয়ে পরিস্কার ধারণা না থাকায় হাসপাতাল দুটি বাছাই করা হয়েছিল। কিন্তু দুটি হাসপাতালের কোনটিতেই আইসিইউ, সেন্ট্রাল অক্সিজেন ও পর্যাপ্ত জনবল নেই। এমতাবস্থায় কোভিড-১৯ এর রোগী হাসপাতাল দুটিতে ভর্তি করা সম্ভব হবে না। বড়জোর কোয়ারেন্টিনের কাজে হাসপাতাল দুটি ব্যবহার করা যেতে পারে।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/২ জুন ২০২০/শাদিআচৌ/ডিজেএস

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন