আজ বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ইং

সিলেটে ‘করোনা হাসপাতালে’ হচ্ছে নমুনা সংগ্রহের নতুন বুথ

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২০-০৬-০২ ২০:১৭:১৮

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক :: সিলেটের শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতাল পুরোটাই করোনা চিকিৎসার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। এ হাসপাতালে করোনার উপসর্গ নিয়ে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষজন করোনা শনাক্তের পরীক্ষার জন্য নমুনা প্রদান করতে আসেন। কিন্তু একটিমাত্র বুথে সবার নমুনা সংগ্রহ করা সম্ভব হয় না। এ বিষয়টি বিবেচনা করে শামসুদ্দিনে নমুনা সংগ্রহের নতুন দুটি বুথ স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সিলেটভিউকে এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সুশান্ত কুমার মহাপাত্র।

জানা গেছে, বর্তমানে শামসুদ্দিন হাসপাতালে একটি বুথে করোনাক্রান্ত সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। পরে এসব নমুনা পাঠানো হচ্ছে ওসমানী মেডিকেল কলেজের ল্যাবে। সেখানে নমুনা পরীক্ষা করা হয়। কিন্তু প্রতিদিন নমুনা প্রদান করতে বিপুল সংখ্যক মানুষ শামসুদ্দিনে ভিড় করেন। বুথ সংকট থাকায় তাদের সবার নমুনা সংগ্রহ করা সম্ভব হয় না।

এ বিষয়ে গতকাল সোমবার সিলেটভিউ২৪ডটকম ‘‘সিলেটে করোনার ‘যুদ্ধ’’ শিরোনামে একটি সংবাদও প্রকাশ করে। নতুন বুথ স্থাপনের বিষয়ে কয়েকদিন ধরে তোড়জোড় চললেও এ সংবাদটি কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হওয়ায় জোর তৎপরতা শুরু হয়েছে।

জানতে চাইলে শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সুশান্ত কুমার মহাপাত্র সিলেটভিউকে বলেন, ‘এখন একটি বুথে নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। আমরা নতুন দুটি বুথ বসানোর চেষ্টা করছি। সিলেট সিটি করপোরেশন এ কাজে সহযোগিতা করবে।’

সিটি করপোরেশনের (সিসিক) প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম সুমন সিলেটভিউকে বলেন, ‘শামসুদ্দিন হাসপাতালে সিটি করপোরেশন বিভিন্নভাবে সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। যা যা দরকার সব করা হবে। বুথ বাড়াতে সহযোগিতা চেয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কালকে আমাদেরকে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দিয়েছে, যদিও আগে থেকেই মৌখিকভাবে বলছিল। নমুনা সংগ্রহ বাড়াতে হাসপাতালে বুথ বসানোর ক্ষেত্রে খরচ ও জনবল সরবরাহ করা হবে সিসিকের পক্ষ থেকে।’

তিনি বলেন, ‘আরবান প্রাইমারি হেলথ কেয়ার প্রকল্প চালায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। এটি সিসিকের অধীনে চলে। এই প্রকল্প থেকে শামসুদ্দিনের বুথে নমুনা সংগ্রহের জন্য টেকনোলজিস্ট প্রদান করা হবে। তবে স্বাস্থ্য বিভাগের অধীনে যারা করোনাকালে কাজ করছেন, তারা আক্রান্ত হলে ক্ষতিপূরণ পাবেন। আরবান প্রাইমারি হেলথ কেয়ার প্রকল্পের টেকনোলজিস্টদের দাবি, তাদের ক্ষেত্রেও যেন এই সুযোগ প্রদান করা হয়। আমরা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি। কয়েকদিনের মধ্যেই নতুন বুথ চালু হতে পারে।’

তবে শুধু বুথ বাড়িয়ে নমুনা সংগ্রহ বাড়ালেই চলবে না, বরঞ্চ পরীক্ষার সংখ্যাও বাড়াতে হবে বলে মন্তব্য সংশ্লিষ্টদের।

যেমনটি বলছিলেন সুশান্ত কুমার মহাপাত্র, ‘সিলেটের নমুনা পরীক্ষা করা হয় ওসমানীর ল্যাবে। সেখানে প্রতিদিন ১৮৮টি নমুনা পরীক্ষার সক্ষমতা আছে। কিন্তু প্রতিদিন নমুনা সংগৃহিত হচ্ছে ৩শত-৪শত। নমুনা বেশিদিন থাকলে নষ্ট হয়ে যাওয়ার শঙ্কা থাকে। এজন্য পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানো দরকার।’

সিলেটভিউ২৪ডটকম/২ জুন ২০২০/আরআই-কে

@

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন