ওসমানীনগরে ঘাতক ইউপি মেম্বার অধরা, ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন

ওসমানীনগর সংবাদদাতা :: সিলেটের ওসমানীনগরের পশ্চিম পৈলনপুর ইউপির ঈশাগ্রাই গ্রামের শিপন হত্যার প্রায় এক মাস পেরিয়ে গেলেও ধরা পড়েননি হত্যাকাÐের মূলহোতা ও মামলার প্রধান আসামী জয়নুল হক ধন মেম্বার। ধন মেম্বারের গ্রেফতার এবং ফাঁসির দাবিতে এবার এলাকাবাসীকে সাথে নিয়ে রাস্তায় নেমেছেন নিহত শিপনের মা সুফিয়া বেগম (৫০)

বৃহস্পতিবার (৪ জুন) বিকেল ঈশাগ্রাই গ্রামবাসীর আয়োজনে মানববন্ধনে পরিবারের সকলকে সাথে নিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে তিনি তার ছেলে হত্যাকারীর ফাঁসির দাবি জানান। মানববন্ধনে নিহত শিপনের মা, বাবা আশিক মিয়া, বোন নাজমিন বেগম, ও বড় ভাই হত্যা মামলার বাদি  রিপন মিয়াসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা কেঁদে স্থানীয় ধন মেম্বার কর্তৃক শিপনকে নির্মম হত্যার চিত্র সাংবাদিকদের সামনে বর্ণনা করেন।

মানববন্ধনে উপস্থিত গ্রামবাসীসহ নিহতের পরিবারের সকল সদস্যদের বক্তব্য ছিল শিপন হত্যার প্রায় একমাস পার হলেও রহস্যজনক কারণে কেন ধন মেম্বার গ্রেফতার হচ্ছে না? মানববন্ধন থেকে অভিযোগ করা হয় ধন মেম্বারের লোকজন মামলা তুলে নিতে বিভিন্নভাবে মামলার বাদি ও সাক্ষীদের অব্যাহত হুমকি প্রদান করে আসেছে। ধন মেম্বার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক দেদারছে ব্যবহারসহ বিভিন্ন জনের সাথে নিয়মিত আলাপ করছে। এলাকার অনেকের সাথে তার যোগাযোগ থাকলেও পুলিশ ধন মেম্বারকে খুজে পাচ্ছে না। ধন মেম্বারকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে ফাঁসির দাবি জানান তারা।

মানববন্ধনে হত্যা মামলার বাদী শিপনের বড় ভাই বলেন, ধন মেম্বারের লোকজন মামলা তুলে না নিলে আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। তারা আমার ভাইকে হত্যা করেছে এখন আমাকেও যেকোনো সময় হত্যা করতে পারে আমার পরিবারের সবাই এখন নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, আশিক মিয়া, আক্তার মিয়া, নেছাওর মিয়া, সুয়েব আহমদ, টুনু মিয়া, ছোরাব উল্যাহ, আজমল মিয়া, খাজা বক্স, আলফু মিয়া, আব্দুস সালাম, খায়ের আহমদ, কওছর মিয়া, আব্দুল হক, সৈয়দ মিয়া নিহত শিপনের বাবা আশিক মিয়া, মা সুফিয়া বেগম, বোন নাজমিন বেগম, ভাই রিপন মিয়াসহ এলাকার কয়েক শতাধিক নারী পুরুষ।

উল্লেখ্য, গত ৬ মে ইফতারের পূর্বে পূর্ব শত্রæতার জের ধরে উপজেলার পশ্চিম পৈলনপুর ইউপির ঈশাগ্রাই গ্রামে আশিক মিয়াদের সাথে স্থানীয় ৫নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য জয়নুল হক ধন মিয়ার সংঘর্ষ হয়।  এক পর্যায়ে ধন মেম্বার আশিক মিয়ার ছেলে শিপন মিয়াকে ছুলফি দিয়ে আঘাত করলে শিপন গুরুতর আহত হয় এ সময় উভয় পক্ষের আরো অন্তত ১৪জন আহত হন। গুরুতর আহত শিপনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত সাড়ে সাতটার দিকে শিপন মারা যায়। পর দিন শিপনের বড় ভাই বাদী হয়ে ধন মেম্বারকে প্রধান আসামী করে ২৭জনের নামে ওসমানীনগর থানার হত্যা মামলা দায়ের করেন।

ঘটনার রাতেই পুলিশ হত্যার সাথে জড়িত ৮জনকে গ্রেফতার করে কিন্ত হত্যাকান্ডের প্রায় ১মাস হয়ে গেলেও মামলার প্রধান আসামী জয়নুল হক ধন মেম্বারকে পুলিশ এখন পর্যন্ত গ্রেফতার করতে পারেনি।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/০৪ জুন ২০২০/জেএএস/পিডি

@

আপনার মতামত দিন