আজ শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ইং

‘মানুষের হৃদয়ে বেঁচে থাকবেন লুৎফুর ভাই’

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২০-০৬-০৫ ২৩:৩৭:৫০




|| বদরুল ইসলাম শোয়েব ||

পেশায় ছিলেন শিক্ষক। একইসাথে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের একজন নিবেদিত সৈনিক, এখানে কোন আপোষ নাই। শিক্ষকতার পাশাপাশি অবশিষ্ট সময়গুলো ব্যয় করতেন আদর্শের ছায়াতলে সংখ্যা বাড়ানোর কাজে। 

গোলাপগঞ্জের ভাদেশ্বরের শেখপুর গ্রামে কুশিয়ারা অঞ্চলে লুৎফুর ভাইর জন্মস্থান। সৌভাগ্যক্রমে ঐ এলাকা বিভিন্ন কারণে আমার খুবই প্রিয়। আমার প্রতিনিয়ত বিচরণ সেই সব এলাকায়। হতে পারে প্রগতি, হতে পারে সমাজ, হতে পারে এলাকার উন্নয়ন, হতে পারে খেলাধুলা, হতে পারে বক্তৃতার অনুষ্ঠান, হতে পারে সামাজিক অনুষ্ঠান, হতে পারে শিক্ষামুলক অনুষ্ঠানে উপস্থিতি।

এইসব বিষয়ে নিজেকে যুক্ত করে বিচরণের পরিধির প্রসার অব্যাহত, অনেকটা সুযোগ হওয়ার পিছনে একটা কারণ ছিল আমাদের শ্রদ্ধেয় নেতা সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এমপির কিছু কাজের সাথে সম্পৃক্ততা থাকায়। নাহিদ ভাইয়ের কাছে একটা গুরুত্বপূর্ণ নাম কুশিয়ারা অঞ্চলের জনপ্রিয় লুৎফুর ভাই। সেই অঞ্চলে প্রগতিশীল-প্রতিক্রিয়াশীল দ্বন্দ্ব থাকলেও নাহিদ ভাই সবকিছুর উর্ধ্বে থেকে যে লোকটিকে আপন করে নিতেন তিনি হচ্ছেন লুৎফর ভাই। ওই এলাকায় খাওয়া দাওয়া থেকে শুরু করে সভা-সমাবেশের আয়োজন তাকেই করতে হতো।

মানবিক গুণাবলি বলতে যা বুঝায় লুৎফুর ভাইয়ের মাঝে তা বিরাজমান। অনেক সময় ভুল বুঝাবুঝি হলেও তার স্থায়িত্ব কিন্তু কম ছিলো। পরবর্তিতে আপন করে নেয়ার মতো যোগ্যতার ঘাটতি ছিল না কখনো।

আদর্শের ক্ষেত্রে অবিচল, সমাজের নিবেদিতপ্রাণ, মানবকল্যান, উন্নয়ন, নিজের অর্জিত অর্থ দিয়ে প্রত্যক্ষ্য-পরোক্ষভাবে ব্যক্তি/সমাজ উন্নয়নে অগ্রভাগে সৎ-সাহসী ভুমিকা রাখতেন। সমাজের দুর্দিনে অন্ধকার সময়ে নিজের জীবন বাজী রেখে যে লোকটি অনেক আন্দোলন-সংগ্রাম করেছে, তাঁর সংগ্রামের বিজয়ের সারথী নুরুল ইসলাম নাহিদ এমপি। নুরুল ইসলাম নাহিদের মাধ্যমে সেই অঞ্চলের উন্নয়নের সাথে মানুষের হৃদয়ে স্মৃতি হয়ে যুগে যুগে থাকবেন লুৎফুর ভাই।

সর্বোপরি সমাজ-রাজনীতি হারালো একজন যোগ্য নিবেদিতপ্রাণ মানুষকে। আমরা হারালাম আমাদের প্রিয় স্পষ্টবাদী একজন। আমি তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করি, তাঁর শোকাহত  পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই।

মানুষের কল্যাণ নিজেকে যুক্ত করেছেন সময়ে সময়ে, পরপারে ভালো থাকেন সেই ব্যক্তিটি। এই কামনা করি।

লেখক :: রেজিস্ট্রার, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

@

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন