আজ মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ইং

কদমতলী ফেরীঘাট এলাকায় আবারও গড়ে উঠেছে অবৈধ স্টোন ক্রাশার মিল

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২০-০৭-০৫ ১৬:১৪:২৮

রাশেদুল হোসেন সোয়েব :: অবৈধ স্টোন ক্রাশার মেশিনের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার দীর্ঘ ১ বছর পর নগরীর ২৬ নং ওয়ার্ডের কদমতলী ফেরীঘাট এলাকায় ৮-১০টি অবৈধ স্টোন ক্রাশার মিল, ২৭ নং ওয়ার্ডের গোটাটিকরে ৩ টি ও আলমপুর পুরুষ কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের পিছনে ২ টি অবৈধ স্টোন ক্রাশার মিল চালু হয়েছে।

কদমতলী ফেরীঘাট এলাকায় সুরমা নদীর পাড়ে পানির মধ্যে ইট-পাথর দিয়ে উচু করে এক্সেভেটর বসিয়ে নৌকা থেকে পাথর উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে করে নদীর পাড় ভেঙ্গে গিয়ে মারাত্মক সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।

সিটি কর্পোরেশনের ভেতরে এসব মেশিন স্থাপন করায় মেশিনের বিকট শব্দে এ দুটি ওয়ার্ডের আশপাশের বাসা বাড়ীতে বসবাসকারী বাসিন্দাদের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বিশেষ করে বৃদ্ধ ও রোগীদের এবং বাচ্চাদের লেখাপড়ায় বিঘ্ন ঘটছে। এসব মিলের পাথর ভাঙ্গার গুড়ো বাতাসে মিশে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে আশপাশের পরিবেশ। একটু সামনেই সুরমা নদীর তীরে অবস্থিত বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সরকারী প্রতিষ্ঠান। এরমধ্যে সিলেট বিভাগীয় কমিশনারের অফিস, ডি.আই.জি অফিস, পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস, সিলেট শিক্ষাবোর্ড, সরকারী কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, বিআরটিসি বাস ডিপো, ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশন, মহিলা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান।

এসব অফিসের কর্মকর্তাগণ এবং বিভিন্ন এলাকা থেকে কাজের জন্য এসব অফিসে আসা সাধারণ জনগণ ভোগান্তিতে পড়েন। পাথর ভাঙ্গার মেশিনের বিকট শব্দের কারণে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোতে আসা ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা গ্রহণে মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটে।

পরিবেশ অধিদপ্তরের তৎকালীন পরিচালক ইশরাত জাহানের নেতৃত্বে গত বছর অবৈধ স্টোন ক্রাশার মেশিনের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালিত হলেও আবার কুচক্রি মহল জেগে উঠেছে।

কদমতলী এলাকার স্থানীয় কয়েকজনের সাথে কথা বললে তারা জানান, গত ১ বছর অনেক আরামে ছিলাম আমরা। আজ কয়েকদিন ধরে ১০-১২টি অবৈধ স্টোন ক্রাশার মেশিন চালু হয়েছে। পাথর ভাঙ্গার মেশিনের বিকট শব্দে বাসা বাড়ীতে বসবাস করা কষ্টকর হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে বাচ্চাদের অনেক কষ্ট হচ্ছে। মেশিন চালু হওয়ায় পাথর বহন করার জন্য বড় বড় ট্রাক চলাচল করায় আমাদের এলাকার রাস্তাঘাটেরও নানা সমস্যা হচ্ছে।

স্টোন ক্রাশার ও পাথর ব্যবসায়ী নজরুল মিয়ার সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমরা জেলা প্রশাসক ও পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি নিয়ে আমরা আবারও ব্যবসা চালু করেছি। এখন আমাদের আর কোন অসুবিধা নাই।

এ ব্যাপারে পরিবেশ অধিদপ্তরের সিনিয়র কেমিষ্ট মো. সাইফুল ইসলামের সাথে আলাপ করলে তিনি জানান, তারা মিথ্যা কথা বলবে, তারা বলবে পুলিশকে ম্যানেজ করেছি, পরিবেশকে ম্যানেজ করেছি। আসলে এসব ভুয়া কথা। আমি বিভাগীয় কমিশনারের সাথে কথা বলে আমরা আজ বা কালকের ভিতরেই ম্যাজিষ্ট্রেট সাথে নিয়ে অভিযান পরিচালনা করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।     


সিলেটভিউ২৪ডটকম/০৫ জুলাই ২০২০/আরএইচএস/এসডি

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন