আজ বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ইং

সিলেটে আরও প্রবল হবে বন্যা!

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২০-০৭-০৬ ১৪:২০:৩৬

ছবি : মো. মোজাম্মেল হক

নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেট ও সুনামগঞ্জে আরও প্রবল আর দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে চলমান বন্যা পরিস্থিতি। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র সূত্রে এমনটাই জানা গেছে। 

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুজ্জামান ভুঁইয়া গতকাল রোববার (৫ জুলাই) গণমাধ্যমকে জানান, এখন যে পরিস্থিতি আছে তা আগামী ৪-৫ দিন প্রায় একই রকম থাকবে। এরপর আবার বৃষ্টি শুরু হলে পানি বাড়তে পারে। এতে সিলেট ও সুনামগঞ্জসহ দেশের উত্তর-পূর্ব ও মধ্যাংশের যেসব এলাকা এখন প্লাবিত, সেখানে পানির উচ্চতা বাড়বে এবং নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। এতে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ বাড়বে।

পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই মুহূর্তে সুনামগঞ্জসহ দেশের ১৫টি জেলা বন্যা কবলিত। এসব জেলার ওপর দিয়ে বহমান নদ-নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে জেলায় বসবাসকারী মানুষের ঘরবাড়িতে পানি উঠে গেছে। তলিয়ে গেছে ফসলি জমি ও মাছের ঘের।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র আরও জানিয়েছে, সুরমাসহ দেশের ১১টি নদীর পানি ১৫টি পয়েন্টে বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে দেশের উত্তর-পূর্বাংশের কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, বগুড়া, জামালপুর, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলা বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। পয়েন্টগুলো হচ্ছে ধরলা নদীর কুড়িগ্রাম পয়েন্ট, ঘাগট নদীর গাইবান্ধা পয়েন্ট, ব্রহ্মপুত্র নদীর নুনখাওয়া ও চিলমারী পয়েন্ট, যমুনা নদীর ফুলছড়ি, বাহাদুরাবাদ, সারিয়াকান্দি, কাজীপুর, সিরাজগঞ্জ পয়েন্ট, আত্রাই নদীর বাঘাবাড়ি পয়েন্ট, ধলেশ্বরীর এলাসিন, পদ্মার গোয়ালন্দ, সুরমার কানাইঘাট ও সুনামগঞ্জ পয়েন্ট এবং পুরাতন সুরমার দিরাই এলাকা।

এদিকে, পরিস্থিতি মোকাবিলায় সতর্ক রয়েছে বন্যা কবলিত জেলা প্রশাসন। সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে সার্বিক পরিস্থিতি মনিটরিং করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে বন্যা কবলিত জেলার মানুষের খোঁজ-খবর নিচ্ছেন। ইতোমধ্যে বন্যা কবলিত জেলাগুলোয় সাধারণ মানুষের জন্য ত্রাণ সহায়তা পাঠানো হচ্ছে। পাঠানো হয়েছে শুকনো খাবারসহ শিশুখাদ্য। ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে বিভিন্ন খামারে বড়ে ওঠা গবাদিপশুর যাতে কোনও ক্ষতি না হয়, সেদিকে নজর রাখাসহ কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। খামারে বা কৃষকের গোয়ালে পালিত পশুগুলোকে এই মুহূর্তে যেকোনও রোগবালাই থেকে মুক্ত রাখতে ব্যবস্থা গ্রহণেরও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বন্যা পরিস্থিতির পর্যবেক্ষণে কন্ট্রোল রুম চালুর বিষয়ে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা আসিফ আহমেদ জানান, বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও তথ্য সংগ্রহে কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে। কন্ট্রোল রুমের নম্বর হচ্ছে ০১৩১৮-২৩৪৫৬০।

জানা গেছে, প্রতিদিনই সিলেট ও সুনামগঞ্জসহ বন্যা কবলিত জেলাগুলোর জন্য সরকারের ত্রাণ সহায়তা বাবদ চাল, গম ছাড় করা হচ্ছে। ছাড় করা হচ্ছে নগদ টাকা, শুকনো খাবার ও শিশুখাদ্য।


সিলেটভিউ২৪ডটকম / ৬ জুলাই, ২০২০ / ডালিম

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন