আজ বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ইং

ওসমানী হাসপাতালে হচ্ছে ২০ হাজার লিটারের ‘অক্সিজেন প্ল্যান্ট’

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২০-০৭-১৪ ১৭:৪০:০২

সিলেট :: খুুব শীঘ্রই সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২০ হাজার লিটারের অক্সিজেন প্ল্যান্ট স্থাপন করা হবে। বর্তমান প্ল্যান্টটি দশ হাজার লিটার ক্ষমতাসম্পন্ন। এছাড়া শহীদ ডা. শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালেও ১০ হাজার লিটার ক্ষমতা সম্পন্ন অক্সিজেন প্ল্যান্ট স্থাপনের কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে, খুব শীঘ্রই তা বাস্তবায়ন করা হবে।

সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. ইউনুছুর রহমান সোমবার এসব কথা বলেন। করোনা রোগীদের জন্য ওসমানী মেডিকেল কলেজ (সিওমেক)-এর ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রদান করা হাই ফ্লো ন্যাজাল কেনুলা মেশিন (এইচএনএফসি মেশিন) গ্রহণকালে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, এইচএনএফসি মেশিনটি আইসিইউতে চিকিৎসাগ্রহণকারী কোভিড রোগীদের অত্যন্ত কাজে লাগবে, যা দিয়ে রোগীদের প্রয়োজনমাফিক উচ্চ চাপে অক্সিজেন সরবরাহ করা যাবে।

তিনি আতংকিত না হয়ে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহবান জানিয়ে বলে, ‘সিলেটবাসীর কল্যাণে চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য আমরা সর্বাত্মকভাবে কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের প্রস্ততি, পরিকল্পনা ও চেষ্টা অব্যাহত আছে।’

সিওমেক-এর ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে এক সংবাদবিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

অক্সিজেন প্ল্যান্টের বিষয়ে সিলেটভিউ২৪ডটকমের পক্ষ থেকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায়ের কাছে জানতে চাইলে তিনি এর সত্যতা নিশ্চিত করেন।

তিনি সিলেটভিউকে বলেন, ‘ওসমানীতে ২০ হাজার লিটারের অক্সিজেন প্ল্যান্ট স্থাপনের কাজ চলছে। কিছুদিনের মধ্যে কাজ শেষ হবে। আগের ১০ হাজার লিটার মিলিয়ে এখন ৩০ হাজার লিটারের অক্সিজেন প্ল্যান্ট হবে ওসমানীতে। আর শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে ১০ হাজার লিটারের অক্সিজেন প্ল্যান্ট স্থাপনের বিষয়েও আমরা চেষ্টা করছি।’


এদিকে, সিওমেকের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের পক্ষে হাই ফ্লো ন্যাজাল কেনুলা মেশিন হস্তান্তর করেন ১২তম ব্যাচের ছাত্র স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মহাখালী ঢাকা’র সাবেক উপ-পরিচালক (ইপিআই) ডা. সফিকুর রহমান ও সিলেট বিভাগের সাবেক পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. বনদীপ লাল দাস। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায়, সহকারী পরিচালক ডা. আবুল কালাম আজাদ ও সার্জারি বিভাগের রেজিস্ট্রার ডা. আদনান চৌধুরী প্রমূখ।

ওসমানী হাসপাতালের উপ পরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায় বলেন, কোভিড আক্রান্তদের চিকিৎসায় উচ্চ চাহিদার যন্ত্র হচ্ছে হাই ফ্লো ন্যাজাল কেনুলা মেশিন। এটা হচ্ছে নিয়ন্ত্রিত অক্সিজেন ফ্লো মিটার। এর দ্বারা কোভিড রোগীদের উচ্চচাপে অক্সিজেন সরবরাহ করা যায়। সিলেটবাসীর জন্য সুখবর এ পর্যন্ত আমাদের হাতে দান হিসাবে পাওয়া ৪টি হাই ফ্লো ন্যাজাল কেনুলা মেশিন মওজুদ আছে।

১২তম ব্যাচের ছাত্র স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মহাখালী ঢাকা’র সাবেক উপ-পরিচালক (ইপিআই) ডা. সফিকুর রহমান বলেন, করোনা রোগীদের কল্যাণে ডাক্তার সমাজ নিরলসভাবে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। সেই সাথে নিবেদিতভাবে দানও করে যাচ্ছে। আমাদের ১২তম ব্যাচের ছাত্ররা অনেকে অবসর জীবনে আছেন তারপরও মানুষের কল্যাণের কথা চিন্তা করে এই মেশিন প্রদানে এগিয়ে এলেন যা মানবতার কল্যাণে এক মাইলফলক।

উল্লেখ্য, হাই ফ্লো ন্যাজাল কেনুলা মেশিন দ্বারা করোনা রোগীদের প্রয়োজনমাফিক উচ্চ চাপে অক্সিজেন সরবরাহ করা যায়। রোগীর প্রয়োজনে সর্বোচ্চ মিনিটে ৭০ লিটার অক্সিজেন সরবরাহ করা যায়। যা ভেন্টিলেশনের চেয়েও বেশী অক্সিজেন সরবরাহ করে।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/১৪ জুলাই ২০২০/আরআই-কে

@

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন