আজ শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ইং

একাদশে ভর্তি : সিলেটে পছন্দের কলেজ নিয়ে শিক্ষার্থীদের সংশয়!

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২০-০৮-০৯ ১৪:৫৭:১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেটেও আজ থেকে শুরু হয়েছে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণির অনলাইন ভর্তি কার্যক্রম। ভর্তি নিয়ে শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের মধ্যে আনন্দের পাশাপাশি উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা সৃষ্টি হয়েছে। সিলেট ভালো মানের কলেজগুলোতে আসন সংখ্যা সীমিত থাকায় ভালো ফল পেয়েও সেরা কলেজে ভর্তি হওয়া নিয়ে অনেকের মধ্যে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

বিগত বছরগুলোতে দেখা গেছে, অনেকে একাধিকবার আবেদন করেও পছন্দের কলেজে ভর্তি হতে পারেননি। আর এদের অধিকাংশ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী।

গত কয়েক বছরে অনলাইনে যেসব প্রতিষ্ঠানে ভর্তির আবেদন বেশি পড়েছে সে পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সিলেট বিভাগে  মানসম্মত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে ২৩টির মতো। এসব কলেজে স্ব স্ব বিভাগের জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীরা ভিড় করলে সবার সংস্থান হবে না। এর বাইরে সংশ্লিষ্ট এলাকার সাধারণ শিক্ষার্থীরাও ভর্তির আবেদন করবে।

গত এসএসসি পরীক্ষায় সিলেট শিক্ষাবোর্ডে মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন ১ লাখ ১৬ হাজার ৪০৭ জন। যার মধ্যে ৬৪ হাজার ৪৩৪ জন ছাত্রী ও ৪৯ হাজার ৯৭৩ জন ছাত্র। ফলাফলে পাসের হার ছিলো ৭৮.৭৯ এবং জিপিএ-৫ পান ৪ হাজার ২৬৩ জন।

এদিকে, সিলেট বিভাগে উচ্চ মাধ্যমিকে পড়াশোনার জন্য আসন পর্যাপ্ত থাকলেও এর মধ্যে ভালো মানের প্রায় ২৩ কলেজে আসন মেধাবিদের তোলনায় কম। সে হিসাবে পছন্দের প্রতিষ্ঠানসমূহে ভর্তির সুযোগ কতটা থাকবে, তা নিয়ে মেধাবি শিক্ষার্থীদের রয়েছে সংশয়। ফলে সিলেটে ভালো ফলাফলের পর মানসম্মত প্রতিষ্ঠানে উচ্চ মাধ্যমিকে পড়তে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের জন্য চ্যালেঞ্জ অনেক বেশি থাকবে।

একাধিক শিক্ষার্থীর অভিভাবক জানান, ভালো কলেজে ভর্তির সুযোগ পাওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছেন। ভর্তি-সংক্রান্ত কোনো জটিলতায় পড়লে জীবন ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষা বোর্ডের ধরনা ধরতে হয়। পছন্দের কলেজে ভর্তি হতে ব্যর্থ হলে অনেকের পড়ালেখায় মন ভেঙে যায়। ভালো কলেজের সংখ্যা ও আসন সংখ্যা কম হওয়ায় পছন্দের কলেজে ভর্তি নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে বলেও জানান তারা।

অন্যদিকে বোর্ড সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সবাই যে নিজের পছন্দের কলেজে ভর্তি হতে পারবে না এটা ঠিক আছে। তবে যে পরিমাণ শিক্ষার্থী পাস করেছে তাদের চেয়ে আসন অনেক বেশি আছে। এর মধ্যে কিছু ড্রপআউট হবে। কিছু বিদেশ চলে যাবে। এছাড়াও শুধু শহরমুখী প্রতিষ্ঠানগুলো সেরা হবে এমনটা না। গ্রামেও ভালো করার সুযোগ আছে। এক্ষেত্রে শিক্ষকদের তদারকি ও শিক্ষার্থীদের মনোযোগ খুবই জরুরি।


সিলেটভিউ২৪ডটকম / ৯ আগস্ট, ২০২০ / ডালিম

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন