আজ শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ইং

চমকের অপেক্ষায় সিলেট আওয়ামী লীগ

কেন্দ্রের হাতে জেলা ও মহানগরের পূণাঙ্গ কমিটি

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২০-০৯-১৬ ০০:৩৪:৪৫

নিজস্ব প্রতিবেদক ::  অবশেষে কেন্দ্রের কাছে জমা পড়লো সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি। উভয় কমিটির শীর্ষ নেতারাই বলছেন পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে থাকছে চমক। ত্যাগী ও পরীক্ষিতদের মূল্যায়নের পাশাপাশি কমিটিতে ঠাঁই হয়েছে ক্লিন ইমেজের সাবেক ছাত্রনেতাদের। দলের ভাবমূর্তি রক্ষায় এবার কমিটিতে ঠাঁই হয়নি বিতর্কিতদের- এমন দাবি জেলা ও মহানগর শাখার শীর্ষ নেতারা।

গত বছরের ৫ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয় সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন। সম্মেলনে এডভোকেট লুৎফুর রহমানকে জেলা শাখার সভাপতি, এডভোকেট নাসির উদ্দিন খানকে সাধারণ সম্পাদক এবং বীরমুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদকে মহানগরের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে অধ্যাপক জাকির হোসেনের নাম ঘোষণা করা হয়। সম্মেলনের পর পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের কাজে হাত দিলেও করেনার পরিস্থিতিতে থেমে যায় কার্যক্রম। অবশেষে কেন্দ্রের নির্দেশে গত রবিবার জেলা ও সোমবার মহানগর আওয়ামী লীগ পূর্ণাঙ্গ কমিটি জমা দেয়া হয়েছে। কমিটিতে স্থান পেতে গত কয়েকদিন থেকে চলছিল পদপ্রত্যাশীদের দৌঁড়ঝাপ। জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে তদবিরের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছেও চলছিল লবিং। এদিকে, কেন্দ্রের কাছে কমিটি জমা হওয়ার পর বেড়ে গেছে পদপ্রত্যাশীদের টেনশন। কমিটিতে কাঙ্খিত পদ পাওয়া নিয়ে অনেকেই রয়েছেন শঙ্কায়। কমিটির ব্যাপারে কঠোর গোপনীয়তা রক্ষা করায় পদপ্রত্যাশীদের টেনশন বেড়ে গেছে আরো কয়েকগুণ। নানা মাধ্যমে চেষ্টা করছেন কমিটিতে নিজেদের অবস্থান জানার।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ৭৫ সদস্যের সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের কমিটিতে রয়েছে বড় চমক। নতুন কমিটি থেকে বাদ পড়েছেন সাবেক কমিটির কয়েকজন সম্পাদক। নতুন করে কমিটিতে ঠাঁই পেয়েছেন ছাত্রলীগের সাবেক কয়েকজন নেতা। প্রথম সহ সভাপতি ও প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে রয়ে গেছে ধূম্রজাল। সাবেক সহ সভাপতিদের মধ্য থেকে কেউ প্রথম সহ সভাপতি হচ্ছেন, না নতুন কেউ এ পদে আসীন হচ্ছেন- নেতকাকর্মীদের কাছে এখনো গোলকধাঁধাঁর মতো ঘুরছে সেই প্রশ্ন। এছাড়া প্রথম যুগ্ম সম্পাদক পদে শোনা যাচ্ছে সিলেট সিটি করপোরেশনের এক কাউন্সিলরের নাম। রাজনীতিতে অনেকটা নিষ্ক্রিয় থাকা ওই কাউন্সিলর শেষ পর্যন্ত প্রথম যুগ্ম সম্পাদক হলে দলের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিতে পারেন -এমন কানাঘুষাও চলছে নেতাকর্মীদের মাঝে। এছাড়া কমিটি থেকে সাবেক কমিটির কয়েকজন সম্পাদকের নাম বাদ পড়ার খবরেও নেতাকর্মীদের মাঝে চাপা অসন্তোষ বিরাজ করছে।

তবে কমিটি প্রসঙ্গে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাসুক উদ্দিন আহমদ জানান, কমিটিতে ত্যাগী ও পরীক্ষিতদের মূল্যায়ন করা হয়েছে। নেত্রীর নির্দেশ মতো কোন চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীদের কমিটিতে রাখা হয়নি। ছাত্রলীগ ও যুবলীগ করে  আসা স্বচ্ছ ইমেজের নেতাদেরও কমিটিতে স্থান দেওয়া হয়েছে।

এদিকে, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের কমিটিতে মূল্যায়ন করা হয়েছে আগের কমিটির সক্রিয় ও ত্যাগীদের। কমিটিতে ধারাবাহিকভাবে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে তাদেরকে। কমিটিতে মূল্যায়ন করা হয়েছে ছাত্রলীগের রাজনীতি করে আসা নেতাদের। নতুনদের জায়গা করে দিতে কমিটিতে রাখা হয়নি এক পরিবারের একাধিক জনকে। এতে কমিটি থেকে বাদ পড়েছেন আগের কমিটির দুই নারী নেত্রী।

কমিটি প্রসঙ্গে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন খান বলেন, যারা দীর্ঘদিন থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে আসছেন কমিটিতে তাদের কাউকেউ অবমূল্যায়ন করা হয়নি। যোগ্যদের পদোন্নতি দিয়ে মূল্যায়ন করা হয়েছে। এছাড়া দলের ক্লিন ইমেজের সাবেক ছাত্রলীগ নেতাদেরও সুযোগ দেয়া হয়েছে কমিটিতে।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/১৬ সেপ্টেম্বর ২০২০/শাদিআচৌ/মিআচৌ

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন