আজ বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ইং
নিজস্ব প্রতিবেদক, বিশ্বনাথ:: আপন চাচাতো ভাইদের বিরুদ্ধে প্রতারণা, মিথ্যা জালিয়াতি মামলা, বাড়ির জমি দখল ও প্রাণ নাশের হুমকিসহ নানান অভিযোগ এনে সিলেটের বিশ্বনাথে সংবাদ সম্মেলন করেছেন চাচাতো বোন ফুলতেরা বেগম (৫৫)।
শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিশ্বনাথ প্রেসক্লাব কার্যালয়ে তিনি এ সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনকারী ফুলতেরা বেগম উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের পালেরচক গ্রামের মৃত ইছাক আলীর মেয়ে। আর অভিযুক্ত চাচাতো ভাই একই বাড়ির বাসিন্দা মৃত ইর্শ্বাদ আলীর ছেলে রামপাশা ইউনিয়ন বিএনপি নেতা জমির আলী (৬২) ও মৃত ইলিয়াছ আলীর ছেলে তফুর আলী ওরফে নেফুর আলী(৫২)।
লিখিত বক্তব্যে ফুলতেরা বেগম বলেন, পৈর্তৃক সম্পত্তি থেকে তাদেরকে বঞ্চিত করে চাচাতো ভাইরা প্রতিনিয়ত তাকে (ফুলতেরা) হত্যার হুমকিসহ নানা ধরনের হয়রানি করে যাচ্ছেন। চাচাতো ভাইয়েরা প্রতারণা করে ১৯৯১ সালে তার বাবার নাম বাদ দিয়ে বাড়ির ৫৫ শতক জায়গা তাদের (চাচাতো ভাই) বাবার নামে রেকর্ডভুক্ত করেন (যার জেএল নং ৬৩ ও দাগ নং সাবেক ৩৮৭ ও বর্তমান ৯৯৭)। অথচ ১৯৫২/৫৩ সালের সেটেলমেন্ট জরিপে তাদের বাপ-চাচা তিন জনের নামে রেকর্ডভুক্ত ছিল। পৈতৃক সম্পত্তি ফিরে পেতে ২০১৮ সালের ১১ মার্চ তিনি আদালতে স্বত্ব ভাটোয়ারা মামলাও করেছেন। তার দায়েরকৃত ৩২/২০১৮ইং নং সত্ব মামলাটি আাদলতে বিচারাধীন রয়েছে।
ফুলতেরা বেগম অভিযোগ করেন, ২০১১ সালের ২৭ ডিসেম্বর জমির আলী ও তফুর আলী মিলে তার (ফুলতেরা) ছোট ভাই যুক্তরাজ্য প্রবাসী দাদু ভাই ছইল মিয়া (৪৬) ও মুনসুর মিয়াকে (৪২) ফাঁসানোর উদ্দেশ্যে প্রবাসে থাকাবস্থায় তাদের ছবি, নাম-ঠিকানা ও স্বাক্ষর জালিয়াতি করে বুবরাজান মৌজার দলিলপত্র না দিয়ে টেংরা মৌজার দলিল উপস্থাপন করে বিশ্বনাথ ভূমি অফিসে একটি মিথ্যা নামজারীর মোকদ্দমা করেন, মোকদ্দমা নং ৮৪৩/১১-১২। পরিকল্পিতভাবে ওই নামজারি মোকদ্দমা করে তারাই আবার সিলেট আদালতে আমার প্রবাসী দুই ভাইকে অভিযুক্ত করে পৃথক দুটি মিথ্যা জালিয়াতি মামলা করেন। ২০১৯ সালের ১ জুলাই সিলেটের সিনিয়র জুয়িসিয়াল আমলী আদালতে জমির আলীর দায়ের করা (জিআর মামলা নং ১৩৯/১৯) নং মামলাটি সিলেটের সিআইডি কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক তদন্তপূর্বক গত ১৬ সেপ্টেম্বর মিথ্যা বলে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেছেন।
২০১৯ সালের ১১ জুলাই একইধারায় একই আদালতে অপর চাচাতো ভাই তফুর আলী ওরফে নেফুর আলীর দায়ের করা মামলা জিআর নং ১৪৪/১৯ইং রহস্যজনক কারণে অপর সিআইডি কর্মকর্তা আব্দুল আওয়াল গত ২৯ জুলাই আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছেন। অন্যদিকে চাচাতো ভাইদের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ২ আগস্ট তিনি বিশ্বনাথ থানায় একটি জালিয়াতি মামলা দায়ের করেন, (মামলা নং ২)। অভিযোগের সত্যতা পেয়ে ২০২০ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি সিআইডি পরিদর্শক রোকেয়া খানম জমির আলী ও তুফর আলীসহ ৬জনের বিরুদ্ধে চার্জশীট দেন।
সিলেটভিউ২৪ডটকম/ ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০/ প্রনঞ্জয়/ কেআরএস