গোয়াইনঘাটে আউশ ও আমন ধান ক্ষেতে পানি!

নিজস্ব প্রতিবেদক, গোয়াইনঘাটঃ গোয়াইনঘাটে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে নিমজ্জিত আউশ ও আমন ধান। এখনো ধান ক্ষেত ২/৩ফুট পানির নিচে। রবিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে বন্যার পানি কমতে শুরু করলেও এখন পর্যন্ত নন্দীরগাওঁ, তোয়াকুল,রুস্তুমপুর, লেঙ্গুড়া, আলীরগাওঁ, ডৌবাড়ী ও পূর্ব জাফলং ইউনিয়নের আউশ-আমন ধান ২/৩ পানির নিচে রয়েছে। ফলে গোয়াইনঘাটের কৃষকেরা অজানা আতঙ্কে দিনাতিপাত করছেন।

উল্লেখ্য, সিলেটের গোয়াইনঘাটের নদ-নদীর পানির কিছুটা উন্নতি দিকে রয়েছে। গত শুক্রবার (২৫ সেপ্টম্বর) ভোর রাত থেকে উজানে ভারী বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট পাহাড়ি ঢলে পিয়াইন, সারী, গোয়াইনের পানি বিপদসীমা অতিক্রম করেছে। ৬ষ্ঠ বারের মতো প্লাবিত সিলেটের গোয়াইনঘাটের ফসলের মাঠ, ঘরবাড়ি। এখন কিছুটা ধীর গতিতে বাড়ছে বানের পানি। উপজেলার প্রায় সবক’টি ইউনিয়নের সিংহভাগ অঞ্চলের পাশাপাশি নিচু এলাকার ঘর-বাড়িতে ঢুকে বন্যার পানি। বন্ধ হয়ে যায় সারী-গোয়াইন, গোয়াইনঘাট, রাধানগর-জাফলং সড়কের যান চলাচল। অপরদিকে বিভিন্ন স্থানে সড়কের উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ায় সালুটিকর গোয়াইনঘাট সড়কের অবস্থাও বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এসব সড়কের বিভিন্নস্থানে আবারো নতুন করে ভাঙন দেখা দিয়েছে এবারের বন্যায়ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

তলিয়ে যায় উপজেলার সিংহভাগ আমন ধান, আর শীতকালীন আগাম সবজির মাঠ। বিশেষ করে ক্ষয়ক্ষতির মুখোমুখি হয় মাঠে রোপিত ১৫ হাজার ১শ’ ৭০ হেক্টর আমন ধান। এখনো বানের পানি সরে না যাওয়ায় এসব ফসল বাঁচানো প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ছে ফলে শঙ্কায় রয়েছে কৃষক ও কৃষি বিভাগ। গোয়াইনঘাট উপজেলা কৃষি অফিসার মো. সুলতান আলী জানান, গোয়াইনঘাটের বিভিন্নস্থান হতে রোপা আম ধান নিমজ্জিত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত খবরে যা জানা গেছে তাতে ধারণা করা হচ্ছে ৩ হাজার হেক্টর জমির ফসল ও শীতকালীন আগাম সবজি ক্ষেত সমূহ তলিয়ে গেছে।

গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নাজমুস সাকিব জানান, এ পর্যন্ত গোয়াইনঘাটে ১ লাখ মানুষ পানিবন্দি হওয়ার পাশাপাশি উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষাকারী সবক’টি সড়ক বিচ্ছিন্ন হওয়ার খবর পেয়েছি। বন্যায় প্লাবিত এলাকার জনসাধারণের জন্য জরুরি ত্রাণ চেয়েছি, বরাদ্দ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেথ বন্যার্তদের মধ্যে তা বণ্টন করা হবে।


সিলেট ভিউ ২৪ ডটকম/ ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০/মতিন/পিটি

আপনার মতামত দিন