আজ বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ইং

প্রশাসন ও এমসি কলেজ কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা, জুডিশিয়াল তদন্তের নির্দেশ

ছাত্রাবাসে নববধূ গণধর্ষণ

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২০-০৯-২৯ ১৬:২০:২৭

ছবি : মো. মোজাম্মেল হক

নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেট এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে স্বামীর কাছ থেকে নববধূ কেড়ে নিয়ে গণধর্ষণের ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসন ও কলেজ কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি করেছিলেন আইনজীবি হাফিজ মোহাম্মদ মিজবাহ উদ্দিন।

এর পরিপ্রিক্ষিতে আজ মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় প্রশাসন ও কলেজ কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতার বিষয়ে জুডিশিয়াল তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিঞা ও বিচারপতি মো. মহিউদ্দিন শামিমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ।

অপরদিকে, গণধর্ষণের ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) মো. শাহেদুল কবীর চৌধুরীর নেতৃত্বে উচ্চপর্যায়ের এই কমিটি গঠন করা হয়।

গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে গণধর্ষণের শিকার হন এক নববধূ। স্বামীর কাছ থেকে ওই নববধূকে কেড়ে নিয়ে ছাত্রাবাসের সামনে পালাক্রমে ধর্ষণ করে ছাত্রলীগের কর্মীরা।

এ ঘটনায় ওই নববধূর স্বামী বাদি হয়ে শাহপরাণ থানায় মামলা করেন। মামলায় ছাত্রলীগের ছয় নেতাকর্মীসহ অজ্ঞাত আরও তিনজনকে আসামি করা হয়।

এ ঘটনায় গত রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিলেট মহানগর হাকিম ৩য় আদালতের বিচারক শারমিন খানম নিলার কাছে সেই রাতের ঘটনার জবানবন্দি দেন নির্যাতনের শিকার ওই নির্যাতিতা। এ সময় তিনি ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দেন। আদালত গৃহবধূর জবানবন্দি রেকর্ড করে তাকে পরিবারের জিম্মায় দিয়ে দেন।

চাঞ্চল্যকর এই মামলায় এখন পর্যন্ত এজাহারনামীয় পাঁচ আসামিসহ সাতজনকে গ্রেফতার করেছে সিলেট রেঞ্জ পুলিশ ও র‌্যাব-৯। এদের মধ্যে ছয়জনের পাঁচদিন করে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।

তারা হলেন- মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমান, চার নম্বর আসামি অর্জুন লস্কর ও পাঁচ নম্বর আসামি মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ এমসি কলেজ শাখার সভাপতি রবিউল হাসান, এজাহারভুক্ত আসামি মাহবুবুর রহমান রনি, সন্দেহভাজন আসামি রাজন ও আইনুদ্দিন।


সিলেটভিউ২৪ডটকম / ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০ / ডালিম

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন