আজ শনিবার, ৩০ মার্চ ২০২৪ ইং

এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গণধর্ষণ: তদন্তে নামলো মন্ত্রণালয়ের টিম

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২০-০৯-২৯ ১৯:২৭:৫৯

ছবি: মোজাম্মেল হক

নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেট এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে নববধূকে গণধর্ষণের ঘটনায় ক্যাম্পাস, ছাত্রাবাস ও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটি। আজ মঙ্গলবার বিকেলে পরিদর্শন শেষে তদন্ত কমিটির প্রধান বলেন, ৩ দিনের মধ্যে প্রাথমিক ও ৭ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ  প্রতিবেদন দেয়া হবে।

জানা গেছে,গতকাল সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর)  মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) মো. শাহেদুল খবীর চৌধুরীকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আজ মঙ্গলাবার কমিটির সদস্যরা তদন্ত কাজে সিলেট এসে এমসি কলেজ পরিদর্শন করেন। ক্যাম্পাস, ছাত্রাবাস ও ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে প্রেস ব্রিফিং করে তদন্ত কমিটি। ব্রিফিংয়ে টিম প্রধান মো. শাহেদুল খবীর চৌধুরী ভিকটিম, পরিবার ও তার স্বজনদের প্রতি সমবেদনা এবং দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, এমসি কলেজ দেশের শীর্ষ একটি শিক্ষা প্রতিষ্টান। এই কলেজের ছাত্রাবাসে ধর্ষণের ঘটনায় সরকার কঠোর অবস্থানে রয়েছে। আমরা মনে করি দ্রুততম সময়ের মধ্যে জড়িতদের একটি দৃষ্টান্তমূলক সাজা হবে। তিনি বলেন, করোনার এই সময়ে এ ধরনের ঘটনা অপ্রত্যাশিত।  

ঘটনার সময়ে প্রত্যক্ষদর্শীদের সাথে কথা বলে হোস্টেল (ছাত্রাবাস) ব্যবস্থাপনা, নিরাপত্তা ব্যবস্থা, কলেজ কর্তৃপক্ষ এই ঘটনায় কিভাবে রেসপন্স করেছে সে জায়গায় কোন ত্রুটি আছে কি-না তাও খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান টিম প্রধান শাহেদুল খবীর চৌধুরী।

সারদেশের শিক্ষা প্রতিষ্টান ও হোস্টেল বন্ধের সময়ে এমসি কলেজ হোস্টেল খোলা কেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সবে মাত্র সিলেট এসেছি। সবকিছু খোঁজ নিচ্ছি। আগামি ৩ দিনের মধ্যে প্রাথমিক ও ৭ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত প্রতিবেদন সংশ্লিষ্টদের কাছে জমা দেবেন বলে জানান তিনি।

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে নববধূকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় নববধূর স্বামীর দায়ের করা মামলায় আসামিরা হলেন- সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার উমেদনগরের রফিকুল ইসলামের ছেলে তারেকুল ইসলাম তারেক (২৮), হবিগঞ্জ সদরের বাগুনীপাড়ার মো. জাহাঙ্গীর মিয়ার ছেলে শাহ মো. মাহবুবুর রহমান রনি (২৫), জকিগঞ্জের আটগ্রামের কানু লস্করের ছেলে অর্জুন লস্কর (২৫), দিরাই উপজেলার বড়নগদীপুর (জগদল) গ্রামের রবিউল ইসলাম (২৫) ও কানাইঘাটের গাছবাড়ি গ্রামের মাহফুজুর রহমান মাসুমকে (২৫)। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও তিনজনকে আসামি করা হয়।

এঘটনায় এজাহারভুক্ত পাঁচজনসহ এ পর্যন্ত সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সিলেটভিউ২৪ডটকম / ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০ /মোজাম্মেল/জুনেদ

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন