আজ শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ইং
সিলেট : সিলেটে মিথ্যা ও সাজানো ধর্ষণ মামলায় আসামী হাজী সোহেল আহমদকে আদালত বেকসুর খালাস দিয়েছেন। মামলার ভিকটিম ও বাদীর বিরুদ্ধে পাল্টা মামলায় গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
জানা গেছে, সিলেট নগরীর ডহর কলাপাড়ার ফজল মিয়ার কলোনীতে বসবাস করতো সুনামগঞ্জ তাহিরপুরের সোহেল মিয়া ও তার স্ত্রী তানজিনা বেগম। তানজিনা তার বোন সুনিমা ওরফে সুনজিনাকে ও (১৯) ওই কলোনীতে নিয়ে আসে এবং বিভিন্ন বাসায় কাজে দিতো। এসময় সুনিমার দৈহিক সর্ম্পক গড়ে ওঠে স্থানীয় বখাটে ও লম্পটদের সাথে। এক পর্যায়ে সুনিমা অন্তঃস্বত্বা হয়ে পড়লে তার দুলাভাই সোহেল স্বামী সেজে সুনামগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে সুনিমার গর্ভপাত ঘটায়।
আর এ সুযোগে এলাকার একটি কুচক্রী মহল প্ররোচনা ও ইন্ধন দিয়ে তানজিনাকে দিয়ে ২০১৮ সালের ২২ এপ্রিল সিলেট কোতোয়ালি থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করায় যা কোতোয়ালি মডেল থানার মামলা নং-৪৯ (৪)১৮। এ মামলায় মিথ্যা ভাবে ডহর কলাপাড়া এলাকার হাজী সোহেল আহমদকে একমাত্র ধর্ষক সাজিয়ে আসামী করা হয়।
তদন্তে মামলা মিথ্যা প্রমানিত হলে পুলিশ আদালতে ফাইনাল রিপোর্ট দিলে বাদী নারাজি দাখিল করলে পুনঃতদন্তে দেওয়া হয়। পরবর্তী তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হলে আদালতে শুনানী হয়। র্দীঘ শুনানী শেষে মামলাটি মিথ্যা ও সাজানো প্রমানিত হয়। তাই সিলেটের বিভাগীয় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোঃ মুহিতুল হক এনাম চৌধুরী এ বছরের ৭ জুলাই মামলাটি খারিজ করে হাজী সোহেল আহমদকে মামলা থেকে অব্যাহতি প্রদান করেন।
আদালতের এই খারিজ আদেশে হাজি সোহেল আহমদ জানান, আদালত ন্যায় বিচার করেছেন এবং এতে করে সত্যেরই জয় হয়েছে। তিনি আদালতের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। পরবর্তীতে হাজী সোহেল
আহমদ এই মিথ্যা মামলায় তার চরম মানহানী ঘটেছে এবং তিনি আর্থিক ও সামাজিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন জানিয়ে একই ট্রাইব্যুনালে পাল্টা মামলা দায়ের করেন। আদালত হাজী সোহেল আহমদের পাল্টা মামলাটি গত ২৮ সেপ্টেম্বর আমলে নেন এবং মিথ্যা ধর্ষণ মামলার বাদী তানজিনা বেগম ও ভিকটিম সুনিমা ওরফে সুনজিনার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন। এর পর থেকে মিথ্যা ধর্ষণ মামলার বাদী তানজিনা ও ভিকটিম সুনিমা পলাতক রয়েছে।
সিলেট ভিউ ২৪ ডটকম/ ২৯ অক্টোবর ২০২০/পিটি