আজ বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ইং
নিজস্ব প্রতিবেদক, বিশ্বনাথ :: দীর্ঘ ১৭ বছরের অপেক্ষার পর বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার দশঘর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ভোটারদের সরব উপস্থিতিতে সম্পন্ন হয়েছে ভোট গ্রহণ। নামমাত্র বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া কোন প্রকারের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলে ভোট গ্রহন। ভোট গণনা শেষে ঘোষণা করা হবে ফলাফল।
দীর্ঘদিন পর অনুষ্ঠিত দশঘর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোট প্রদানের ক্ষেত্রে পুরুষের ছেয়ে নারী ভোটারদের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়। নতুন ভোটারদের পাশাপাশি নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে ভোট কেন্দ্রগুলোতে এসেছেন সত্তোরর্ধ বৃদ্ধ-বৃন্ধা। নতুন ভোটারদের মধ্যে ছিলো প্রথম ভোট দেওয়ার আনন্দ, আর প্রবীনদের মধ্যে ছিলো অনিয়ন-দূর্নীতিকে দূর করে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচিত করার মন্ত্র।
শতভাগ সচ্ছতা, সুষ্ট ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন আয়োজনের জন্য নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগে নানান প্রদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি ভোটের দিন সকালে কেন্দ্রগুলোতে প্রেরণ করা হয় ব্যালট। তাছাড়া নির্বাচনে ভোট গ্রহন কাজে নিয়োজিত ছিলেন ১০ জন প্রিজাইডিং অফিসার, ৪৫ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও ৮৫ জন পুলিং কর্মকর্তা।
নিরাপত্তা প্রদানের ক্ষেত্রে আইন-শৃংখলা বাহিনীর পক্ষ থেকে গ্রহন করা হয় ৩টি মোবাইল টিম, ৩টি স্টাইকিং টিম, ১টি স্ট্যান্ড বাই টিম ও ওসির নেতৃত্বে ১টি বিশেষ টিম এবং ১ জন ম্যাজিস্ট্রেট ও ৩ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে বিজিবি ও র্যাবের টহল টিম। এছাড়া আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য প্রত্যেকটি ভোট কেন্দ্রে সার্বক্ষণিক ৮ জন করে পুলিশ ও ১৭ জন করে আনসার সদস্য নিয়োজিত ছিলেন।
১৪ হাজার ১১৮ জন ভোটার (পুরুষ ৭ হাজার ২০৯ ও মহিলা ৬ হাজার ৯০৯)-এর দশঘর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত ‘নৌকা’ প্রতীকের প্রার্থী আলহাজ্ব জবেদুর রহমান, বিএনপি মনোনীত ‘ধানের শীষ’ প্রতীকের প্রার্থী এমাদ উদ্দিন খান, জাতীয় পার্টি মনোনীত ‘লাঙ্গল’ প্রতীকের প্রার্থী আবদুল মন্নান, স্বতন্ত্র ‘ঘোড়া’ প্রতীকের প্রার্থী আলহাজ্ব সামছু মিয়া লয়লুছ (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী) ও ‘আনারস’ প্রতীকের প্রার্থী আবুল হোসেন (বিএনপির বিদ্রোহী) এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সদস্য (মহিলা মেম্বার) পদে ১১ জন ও সাধারণ ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) পদে ৪৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।
সিলেটভিউ২৪ডটকম/২৯ অক্টোবর ২০২০/পিবিএ/ডিজেএস