আজ বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ইং

বিয়ের দুই মাস পূর্ণ হওয়ার আগেই মুছে গেলো তামান্নার জীবনের রং!

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২০-১১-২৩ ১৮:২২:৩৪

নিজস্ব প্রতিবেদক :: চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর আল মামুনের সঙ্গে বিয়ে হয় তামান্নার। মাত্র ৫৩ দিন পার হয়েছে তাদের বিয়ের। ১৯ বছর বয়সেই তাকে বিয়ে দিয়ে দেন পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু বিয়ের দুই মাস পূর্ণ হওয়ার আগেই নিভে গেলো তার জীবনপ্রদীপ। হাতের মেহেদির রং মুছে যাওয়ার আগেই মুছে গেলো তামান্নার জীবনের রং।

সোমবার (২৩ নভ্ম্বের) লাশ হতে হলো দক্ষিণ সুরমা থানার ফুলদি এলাকার মেয়ে নববধূ সৈয়দা তামান্না বেগমকে। সিলেট নগরীর উত্তর কাজীটুলার এলাকার অন্তরঙ্গ ৪/এ বাসার দুতলার একটি কক্ষ থেকে সোমবার দুপুর দেড়টায় তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগ থেকেই তামান্নার স্বামী আল মামুন পলাতক রয়েছেন।

পুলিশের ধারণা, স্ত্রীকে হত্যা করে পালিয়েছে স্বামী এবং রোববার রাতের কোনো এক সময় এই হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়েছে। সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) কোতোয়ালি থানাপুলিশ তামান্নার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে।

জানা গেছে, তামান্নার স্বামী মো. আল মামুনের জন্মস্থান বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ থানার হোগলারচরে। তবে তার ভোটার আইডি কার্ডে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের বারুতখানার ঠিকানায় রয়েছে। মামুন বারুতখানা এলাকার  আবুল কাশেম সরদার ও আমম্বিয়া বেগমের ছেলে। গত ৩০ সেপ্টেম্বর সিলেটের গোলাপগঞ্জের খান কমিউনিটি সেন্টারে তামান্নার সঙ্গে আল মামুনের বিয়ে হয়। মামুন নগরীর জিন্দাবাজারস্থ আল-মারজান শপিং সেন্টারের ঐশি ফেব্রিক্সে কাজ করেন।

এদিকে, তামান্না বেগম দক্ষিণ সুরমা উপজেলার লালাবাজার ইউনিয়নের ফুলদি গ্রামের সৈয়দ ফয়জুর রহমানের মেয়ে। তবে মা-বাবা ও পরিবারের সদস্যরা বর্তমানে গোলাপগঞ্জ পৌর এলাকার এমসি একাডেমি সংলগ্ন একটি বাসায় ভাড়া থাকেন।

তামান্নার খালাতো ভাই মো. ইকবাল সিলেটভিউ-কে জানান, রোববার রাত ৯টার দিকে তামান্নার সঙ্গে তার মা’র কথা হয়। তখন স্বাভাবিকভাবেই কথা বলেন তামান্না। কিন্তু সোমবার সকাল থেকে তামান্না ও তার স্বামী আল মামুনের মোবাইল ফোন নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়।

অপরদিকে, তামান্নাদের ভাড়াটে ঘরের (কাজীটুলাস্থ অন্তরঙ্গ ৪/এ) দরজা সকাল থেকে তালাবদ্ধ দেখে বাড়ির মালিকের সন্দেহ হয় এবং তিনি পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ সোমবার দেড়টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে দরজা ভেঙে ভিতরে দেখেন বিছানায় তামান্নার লাশ দেখতে পায়। এসময় তামান্নার গলায় আঘাতের চিহ্ন দেখা যায় এবং মাথার কাছে পাওয়া গেছে খোলা একটা কেকের প্যাকেট।

বিয়ের আগের দিন অর্থাৎ ২৯ সেপ্টেম্বর আল মামুন কাজীটুলার এই বাসাটি ভাড়া নিয়েছিলেন।

পুলিশের ধারণা, গলায় কিছু পেঁচিয়ে ফাঁশ দিয়ে তামান্নাকে হত্যা করা হয়েছে। গলায় তেমন দাগও আছে।


সিলেটভিউ২৪ডটকম / ২৩ নভেম্বর, ২০২০ / ডালিম

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন