আজ শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ইং

সাহেবেরবাজারে জালিয়াতি করে সরকারি জমি ব্যক্তির নামে রেকর্ডের অভিযোগ

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২০-১২-০৪ ১৪:২২:০৩

সিলেট :: সিলেট সদর উপজেলার সাহেবের বাজারের ভিতর প্রবেশের সরকারি সড়ক দখল করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন স্থানীয় এক পল্লী চিকিৎসক। তার নাম আক্রাম উদ্দিন। তিনি ফয়ছল মেডিকেল হলের স্বাধিকারী। বর্তমানে সরকারি সড়কের উপর তিনি নতুন করে বাউন্ডারির উপর ঘর তৈরির পরিকল্পনা চালিয়ে যাচ্ছেন। বর্তমানে পুলিশ ও স্থানীয় সালিশে বিষয়টি নিষ্পত্তি করার চেষ্টা করা হচ্ছে। সড়কের উপর তৈরিকৃত নতুন ঘররে কাজটি বর্তমানে বন্ধ রয়েছে।

সরকারি সড়কের ৪ শতক ভূমি পূনরায় বাংলাদেশ সরকারের জেলা প্রশাসক সিলেটের নামে রেকর্ড করতে সাহেবের বাজার এলাকাবাসী পক্ষে ৪টি অভিযোগ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে দাখিল করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর)  সাহেবের বাজার এলাকাবাসীর পক্ষে মো. আব্দুল সালাম বাদী হয়ে সিলেটের জেলা প্রশাসক, জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার সিলেট, উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিলেট সদর ও সহকারী কমিশনার ভূমি সিলেট সদর বরাবরে পৃথকভাবে এলাকাবাসীর গণস্বাক্ষরসহ অভিযোগগুলো জমা দেওয়া হয়।
 
বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে দাখিলকৃত অভিযোগ থেকে  জানা যায়, ২০০৪ সালের বিএস মাট জরীপে উক্ত সড়কটি বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে জেলা প্রশাসক সিলেটের নামে রেকর্ড হয়। মৌজা ফরিংউরা জেএল নং-৫০, বিএস ডিপি খতিয়ান-১, বিএস বুজারত-২৬২৯, বিএস দাগ নং-২৭৯৫, জমির শ্রেণী রাস্তা, পরিমান- ০৮ শতক এই নামে বিএস রেকর্ড হয়। পাশাপাশি বিএস বর্তমান ম্যাপেও রাস্তা হিসাবে চুড়ান্ত প্রকাশনা হয়। কিন্তুু সম্প্রতি ফরিংউরা মৌজার বিএস প্রিন্ট পর্চা বিতরন কালে এলাকাবাসীর চোখে ধরা পড়ে ভয়াবহ জালিয়াতির প্রমান।

বিতরণকৃত প্রিন্ট পর্চায় দেখা যায় সরকারের নামে রেকর্ড হওয়া সড়কটি আক্রাম উদ্দিন সেটেলমেন্ট অফিসারদের টাকার বিনিময়ে সরকারি খতিয়ানের রেকর্ড হওয়া ০৮ শতক ভূমির মধ্যে থেকে ০৪ শতক রাস্তা রকম ভূমি জালিয়াতি করে আক্রাম উদ্দিন ও তাহার স্ত্রী মনোয়ারা বেগমের নামে অত্র মৌজার ১৭ নং    খতিয়ানে অন্তর্ভুক্ত করে তাহাদের নামে জালিয়াতি করে নিয়ে যায়। শুধু তাই নয় সেটেলমেন্ট অফিসাররা টাকার কাছে বিক্রি হয়ে জমির শ্রেণী পর্যন্ত পরিবর্তন করে বর্তমানে ভিটা হিসাবে রেকর্ড করা হয়েছে। যেখানে সরকারি কর্মকর্তারা সরকারি স্বার্থ নিয়ে সরকারের পক্ষে থাকার কথা সেখানে ঘুষের  টাকার কাছে পরাজয় মেনে নিয়ে জনগণের সাথে প্রথারণা করে গেছেন তারা।


এই সড়ক দিয়ে সাহেবের বাজার, সাহেবের বাজার সুন্নিয়া হাফিজিয়া দাখিল মাদ্রাসা ও সাহেবের বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ ও ফরিংউরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র/ছাত্রীসহ প্রতিদিন হাজার হাজার জনসাধারণ চলাচল করেন।

বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে দাখিল করা অভিযোগ জমাদান কালে উপস্থিত ছিলেন সাহেবের বাজার সুন্নিয়া হাফিজিয়া দাখিল মাদ্রাসার সভাপতি আলহাজ্ব মাওলানা ছামছুর রহমান, সহ- সভাপতি মুজিবুর রহমান, বিশিষ্ট মুরব্বি আকবর আলী কালা, মাদ্রাসার সুপার আব্দুর রউফ, এডভোকেট খোরশেদ আলম, এডভোকেট গোলাম রসুল সুমেল, সাংবাদিক ইদ্রিছ আলী, ইয়াংস্টার সমাজকল্যাণ সংস্থার সভাপতি মো. মতিউর রহমান, ব্যবসয়ী আরব আলী, সাদেকুর রহমান প্রমুখ।

এ বিষয়ে আক্রাম উদ্দিন বলেন- অভিযোগটি সঠিক নয়, তিনি ঘরটি এখন তৈরি করেননি। তার ক্রয়কৃত জমির উপর অনেক আগে থেকেই সীমানা প্রাচির করা ছিলো, তার উপর এখন ঘর তৈরি করছেন।

এ বিষয়ে সিলেট সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী মহুয়া মমতাজ জানান, বিষটি নিয়ে আমি খোঁজ খবর নিচ্ছি, এ বিষয়ে আমি সেটেলমেন্ট অফিসের সাথে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

আক্রাম উদ্দিনের হাত থেকে রক্ষা পেতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন এমপি, সিলেটের জেলা প্রশাসকসহ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয় এলাকাবাসী।


সিলেটভিউ২৪ডটকম / ৪ ডিসেম্বর, ২০২০ / আই.এ / ডালিম

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন