আজ শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ইং

১০ একর জায়গায় সিলেট টেক্সটাইল কলেজের কর্মযজ্ঞ

২০২২ সালে হস্তান্তর : ব্যয় ১১০ কোটি টাকা

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২১-০১-২৫ ১৩:৫০:২৭

নিজস্ব প্রতিবেদক :  দ্রুত গতিতে চলছে সিলেট শেখ রাসেল টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের কাজ। সিলেটের দক্ষিণ সুরমার শ্রীরামপুর এলাকায় ১০ একর জায়গা জুড়ে চলছে বিশাল কর্মযজ্ঞ। প্রকল্পের কাজ ২০১৮ সালে শুরুর কথা থাকলেও ভূমি জটিলতায় ১ বছর পরে ২০১৯ সালে শুরু হয়। পুরো কাজ ২০২২ সালের মধ্যে শেষ করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

নির্মিয়মান শেখ রাসেল টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ১০টি স্থাপনা এখন দৃশ্যমান কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য  শ্রমিকরা কর্মব্যস্ত। একাডেমিক ভবন, প্রশাসনিক ভবন, ছাত্রাবাস, শিক্ষক ডরমেটরি, ল্যাব বিল্ডিং, লাইব্রেরিসহ সহ ১০টি স্থাপনার কাজ চলছে পুরোদমে।

জানা যায়, ১০ একর ভূমির উপরে ১১০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে শেখ রাসেল টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ও টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট। যেখানে ৫ একর জায়গায় থাকবে টেক্সটাইল কলেজ এবং অপর অংশে থাকবে টেক্সটাইল  ইনস্টিটিউট। প্রকল্পের মধ্যে একাডেমিক ভবন, প্রশাসনিক ভবন, ছাত্রাবাস, ডরমেটরিসহ ১২টি ভবন নির্মাণ করা হবে। ইতিমধ্যে ১০টির কাজ চলছে। ৪টি বিল্ডিং এর কাজ ৮০ ভাগ।

প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা বস্ত্রও পাট মন্ত্রণালয়ের উপ সহকারী প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম বলেন, প্রকল্পের কাজ ২০২১ সালে শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ভূমি জটিলতার জন্য কাজ শুরু করতে দেরি হয়েছে। তবে, আগামী ২০২২ এর জুনের মধ্যে কাজ শেষ হবে।বস্ত্র ও পাট মন্ত্রাণালয়ের প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর জিই আর্মি।
 
প্রকল্পের কারিগরি বিভাগের সভাপতি প্রকৌশলী মো. আব্দুর রকিব বলেন, সাধারণ লোকজনের ধারনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এ কাপড় বানানো শেখানো হয়। কিন্তু এই বিষয়ের সাথে কাপড় বানানোর তেমন সম্পর্ক নেই। দৈনন্দিন জীবনের নিত্যপ্রয়োজনীয় পোশাক থেকে বুলেটপ্রুফ পোশাক সবকিছুই টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ পড়ানো হয়। তাপরোধী-পানিরোধী কাপড় তৈরি ও ব্যবহার, পরিবেশের উপর প্রভাব, নতুন ডিজাইন ও আরামদায়ক পোশাকের ব্যাপারে পড়ানো হয় টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে।



সিলেট ভিউ ২৪ ডটকম/ পিটি-১২

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন