আজ বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ইং

সিলেটে উৎসববিহীন বাংলা নববর্ষ আজ

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২১-০৪-১৪ ১১:৪৫:৩৭

নিজস্ব প্রতিবেদক :  আজ বুধবার (১৩ এপ্রিল) পয়লা বৈশাখ। চৈত্রসংক্রান্তির মাধ্যমে ১৪২৭ সনকে বিদায় জানিয়ে বাংলা বর্ষপঞ্জিতে যুক্ত হবে নতুন বছর ১৪২৮। করোনা ভাইরাসের মহামারির এই দুর্যোগে আবারও এসেছে পয়লা বৈশাখ। গত বছরের মতো এবারও সিলেটে বৈশাখ বরণে মেতে উঠবে না জাতি। বরং এবারের বৈশাখের আবাহন হয়ে উঠেছে, ‘ওরে আজ তোরা যাস নে ঘরের বাহিরে। এবারের বৈশাখ নিজেকে ঘরে আবদ্ধ রেখে আর সবাইকে সুস্থ রাখার কথা উচ্চারিত হচ্ছে সিলেটের প্রতিটি প্রান্তে। নতুন বছর নতুন সম্ভাবনা নিয়ে আসে।

আবহমান বাংলার চিরায়িত নানা ঐতিহ্যকে ধারণ করে আসে এ দিনটি। পুরনোকে বিদায় ও নতুন বর্ষকে বরণ করার জন্য প্রতিবছর এই দিনটিকে ঘিরে থাকে নানা অনুষ্ঠান-উৎসবের আয়োজন। তবে আজ সকালে ভোরের প্রথম আলো রাঙিয়ে দেবে নতুন স্বপ্ন, প্রত্যাশা আর সম্ভাবনাকে। স্বাভাবিক ভাবেই সে স্বপ্ন, করোনাভাইরাস মুক্ত নতুন বিশ্ব নতুন বাংলাদেশ। বাংলাদেশসহ বিশ্বের বাঙালি করোনা মহামারি থেকে মুক্তির প্রত্যাশা নিয়েই গত বছরের মতো আজ নতুন বছরকে বরণ করে নেবে তেমন কোনো আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই।

‘এসো হে বৈশাখ এসো এসো … মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা/অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা।’ সবার মনে পয়লা বৈশাখের সেই চিরায়ত গান গুঞ্জরিত হলেও এবারে তার আবেদন ভিন্ন। এবার তা হচ্ছে না। ভোরে সূর্যের আলো ফোটার সময় থেকেই রমনা বটমূল প্রাঙ্গণ জনশূন্য। শাহবাগ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানসহ দেশের প্রতিটি উৎসব কেন্দ্র জনমানবহীন। এমন অনাড়ম্বর পহেলা বৈশাখ আর কখনোই আসেনি জাতির জীবনে।

ছায়ানট বর্ষবরণ শুরু হওয়ার পর মুক্তিযুদ্ধের সময়কাল ছাড়া নিয়মিতভাবেই রমনার বটমূলে বর্ষ আবাহনের ডাক দিয়ে অনুষ্ঠান করে এসেছে। এবারই তা হচ্ছে না। কারণ, বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে এখন চলছে করোনাকাল। মানুষের পৃথিবীতে এখন চলছে এক অনিশ্চিত সময়। করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে গত বছরের মতো এবারও পহেলা বৈশাখের সমাগমের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। বুধবার (১৪ এপ্রিল) থেকে সিলেটসহ সারাদেশে সাত দিনের কঠোর লকডাউন চলছে। তাই, এবার কোনো রকম আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই নতুন বর্ষকে বরণ করে নেওয়া হবে।

জানা যায়, কৃষিকাজ ও খাজনা আদায়ের সুবিধার জন্য বাংলা সন গণনার শুরু মোঘল সম্রাট আকবরের সময়ে। হিজরি চন্দ্র সন ও বাংলা সৌর সনের ওপর ভিত্তি করে প্রবর্তিত হয় নতুন এই বাংলা সন। ১৫৫৬ সালে কার্যকর হওয়া বাংলা সন প্রথমদিকে পরিচিত ছিল ফসলি সন নামে, পরে তা পরিচিত হয় বঙ্গাব্দ নামে। কৃষিভিত্তিক গ্রামীণ সমাজের সঙ্গে বাংলাবর্ষের ইতিহাস জড়িয়ে থাকলেও এর সঙ্গে রাজনৈতিক ইতিহাসেরও সংযোগ ঘটেছে। পাকিস্তান শাসনামলে বাঙালি জাতীয়তাবাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয় বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের।


সিলেট ভিউ ২৪ ডটকম/পিটি-৬

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন