আজ বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ইং

সিলেটে রাজুর অবস্থা সংকটাপন্ন, স্ত্রীর নামে মামলা

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২১-০৪-১৮ ১৪:৪৮:৫৫

নিজস্ব প্রতিবেদক :  সিলেটে ১০দিনেও জ্ঞান ফিরেনি অপহৃত মোটর সাইকল রাইডার গোলাম কিবরিয়া রাজুর। চরম সংকটাপন্ন অবস্থায় ওসমানী হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন তিনি। এঘটনায় মোগলাবাজার থানায় রাজুর বড় ভাই গিয়াস আহমদ বাদী হয়ে গত ১০ এপ্রিল মামলা নং-৭ দায়ের করেছেন। মামলায় রাজুর স্ত্রী খালেদা আক্তারসহ কয়েকজনকে আসামী করা হয়েছে। তবে ঘটনার পর থেকে পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। রাজু সিলেট শহরতলীর উত্তর বালুচর আল-ইসলাহ ১৮/২ এর মৃত আকদ্দছ আলীর পুত্র। তার গ্রামেরবাড়ি সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার ঢারখখাই আদিনাবাদ কাপন গ্রামে। নগরীর উত্তর বালুচর বোনের বাসায় থেকে মোটর সাইকেল রাইডা করতেন রাজু।

জানা গেছে, মোটরসাইকেল রাইডার গোলাম কিবরিয়া রাজু বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) মোটরসাইকেল নিয়ে কাজের উদ্দেশ্যে বের হয়ে আর বাড়ি ফিরেননি। রাত ১০টার দিকে তাকে মোটরবাইকসহ কদমতলী হুমায়ুন রশিদ চত্ত্বর এলাকায় কেউ কেউ দেখতে পান বলে তার ভাই গিয়াস জানান। ওই দিন রাত ১১টার পরে তার কোন সন্ধান মিলেনি রাজুর। সেই সাথে তার মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। পরদিন সকাল পৌণে ৮টার দিকে  মোগলাবাজার থানাধীন গফুরগাঁও এলাকার একটি যাত্রী ছাউনী থেকে গুরুতর রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করে পুলিশ। এসময় তার সাথে থাকা মোটরসাইকেল ,মোবাইল ফোন ও টাকা কিছুই পাওয়া যায়নি। খবর পেয়ে স্বজনরা ওসমানীতে গিয়ে তাকে শনাক্ত করেন । পরে তাকে নগরীর উইমেন্স মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় রোববার (১২ এপ্রিল) তাকে ফের ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তখন থেকেই রাজু ওসমানী হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। তার জ্ঞান ফিরেনি।

মামলার বাদী গিয়াস উদ্দিন জানান, তার ভাই গোলাম কিবরিয়া রাজুর সাথে এক বছর পূর্বে সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার মকবুলাবাদ গ্রামের ফারুক মিয়ার মেয়ে খালেদা আক্তারের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরিবারের অসম্মতিতে খালেদা রাজুকে বিয়েও করে ফেলে। কিন্তু স্বজনরা রাজুর সাথে খালেদাকে সংসার করতে দেননি। উল্টো খালেদাকে তালাক দেওয়ার জন্য রাজুর উপর চাপ দেয়া হয়। তিনি আরও জানান, প্রেমিকা খালেদা আক্তার, খালেদার ভাই লিটন মিয়া, সম্পর্কের ভাই আব্দুল কাদির পিয়া ও আব্দুল মালিক মিলে রাজুকে হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ করে মোটর সাইকেল মোবাইলফোনসহ টাকা নিয়ে মারপিট করে মৃত ভেবে তাকে যাত্রী ছাউনিতে ফেলে চলে যায়।

এ ব্যাপারে মোগলাবাজার থানার ওসি শামসুদ্দোহা মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনার তদন্ত চলছে এবং আহতের অবস্থা পর্যবেক্ষণে রেখে সন্দেহভাজন আসামীদের নজরদারিতে রাখা হয়েছে।


সিলেট ভিউ ২৪ ডটকম/পিটি-১৪

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন