আজ শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ইং

আরিফের পাশে নেই সিলেট বিএনপি; আছে কেন্দ্রীয় বিএনপি

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৭-০১-১১ ০০:১৫:১৪

মিসবাহ উদ্দীন আহমদ :: দীর্ঘ ২ বছর ৪ দিন কারাবাসের পর জামিনে মুক্ত সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র (সাময়িক বহিস্কৃত) আরিফুল হক চৌধুরী। কারামুক্ত আরিফের পাশ থেকে সরে সরে থাকছেন সিলেট বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দ। খোঁজ নেই সিলেট জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের শীর্ষ নেতাদেরও।

কারামুক্তির পর থেকে ঢাকায় সপ্তাহদিন চিকিৎসা শেষে সিলেট ফিরেছেন আরিফ। ঢাকাতেও দেখা পাওয়া যায়নি সিলেট বিএনপি ও ছাত্রদলের শীর্ষ নেতাদের।

৪ জানুয়ারি সন্ধ্যায় কারামুক্তি লাভ করেন আরিফুল হক চৌধুরী । সেদিন জেলগেটে বিভিন্ন স্তরের বেশক’জন বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকলেও সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দের সিংহভাগই ছিলেন না। পরের দিন অসুস্থাবস্থায় চিকিৎসার জন্য চলে যান ঢাকাস্থ ইউনাইটেড হসপিটালে।

কারাফটকে দেখাগেছে শুধুমাত্র বিএনপি নেতা ও কাউন্সিলর ফরহাদ চৌধুরী শামীম, সৈয়দ তৌফিকুল হাদি, এবিএম জিল্লুর রহমান উজ্জলকে। বিএনপি নেতৃবৃন্দের মধ্যে ছিলেন আজমল বক্ত সাদেক, মইনুদ্দিন সোহেল, নাজিম উদ্দিন লস্করসহ আরোও কয়েকজন। ছাত্রদল নেতৃবৃন্দের মধ্যে ছিলেন আব্দুল আজিজ, আব্দুর রকিব চৌধুরী, আফছর খান, হুমায়ূন কবির সুহিন, আহমেদ জিলু, নজরুল ইসলাম, দেলোয়ার হোসেন দিনার, আশরাফ উদ্দিন রুবেল প্রমুখ। জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের শীর্ষ নেতাদেরও দেখা মেলেনি।

কারাগার থেকে বেরিয়ে হযরত শাহজালাল (র.) দরগাহ জিয়ারত করে কুমারপাড়াস্থ বাসায় ফিরেন। পরে আবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে কারাফটকে আসেন কারামুক্ত জি কে গৌছকে বরণ করে নিতে। শাহজালাল (র.) দরগাহ, কুমারপাড়ার বাসা, কারাফটক কোনস্থানেই দেখা মেলেনি সিলেট বিএনপির শীর্ষনেতৃবৃন্দের। এনিয়ে উপস্থিত নেতৃবৃন্দের মধ্যে আলোচনা-সমালোচনাও কম হয়নি।

ইউনাইটেড হসপিটালে প্রায় ১ সপ্তাহ চিকিৎসাধীন থাকার সময়ও সিলেট বিএনপির কোন শীর্ষ নেতার দেখা মেলেনি। তবে সিলেটের নেতারা না গেলেও অসুস্থ আরিফের চিকিৎসার খোঁজখবর নিতে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির নেতারা।

এ তালিকায় রয়েছেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মোশাররফ হোসেন ও বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমান উল্লাহ আমান। তবে সিলেট বিএনপির শীর্ষ নেতা ও খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদিরকে দেখা গেছে আরিফের পাশে। তিনি ঢাকায় ছুটে গিয়েছিলেন আরিফের খোঁজখবর নিতে।

গত শনিবার দুপুরে দেখতে গিয়েছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এর আগে গত শুক্রবার রাজশাহীর মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলসহ দেখতে গিয়েছিলেন। রবিবার সন্ধ্যায় আরিফকে দেখতে যান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মোশারফ হোসেন। ওইদিন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) রুহুল আমিন চৌধুরী, খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদিরসহ বেশ কয়েকজন নেতা তাকে দেখতে যান।

রাজধানীর গুলশানে ইউনাইটেড হাসপাতালে বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমান উল্লাহ আমান সোমবার বিকালে দেখতে যান আরিফকে। এসময় তার সাথে ছিলেন বিএনপি নেতা খায়রুল কবীর খোকন, সাবেক এমপি ফজলুল হক মিলন, নাজিম উদ্দিন আলম ও নাসের রহমান।

আরিফ গুলশানস্থ ইউনাইটেড হাসপাতালের ৫২২ নম্বর কেবিনে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ মনিরুজ্জামানের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন ছিলেন। মঙ্গলবার দুপুরে চিকিৎসা শেষে ছাড়পত্র পেয়ে সরাসরি চলে যান হাসপাতালের পাশেই বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বাসভবনে।

এসময় তার সাথে তার স্ত্রী শামা হক ও  আরিফের মেয়ে সায়িকা তাবাসসুম চৌধুরী, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ-সভাপতি মাহবুবুল হক চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক এসএম জাহাঙ্গীর, কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতা ও সিলেট মহানগর ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রকিব চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/১১জানুয়ারি২০১৭/এমইউএ

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন