আজ শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ইং

সিলেটে রুম বুকিংয়ে আইডি কার্ড চাওয়ায় ক্ষুব্ধ হন 'ধর্ষক' সাফাত

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৭-০৫-১০ ১২:৫৬:২১

নিজস্ব প্রতিবেদক :: বনানীর জন্মদিনের পার্টিতে দাওয়াত করে দুই তরুণীকে ধর্ষণ মামলার আসামীরা এখন কোথায় এ নিয়ে বিতর্ক চলছে। পুলিশ বলছে তাদের খুজে পাওয়া যাচ্ছে না অথচ ধর্ষকের বাবা বলছেন তার পুত্র বাসায়ই আছে। তাদের অবস্থান নিশ্চিত করতে না পারায় ভুক্তভোগী পরিবার শঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন।

সম্প্রতি সাফাতের  গুলশান-২ এর ৬২ নম্বর রোডের ২ নম্বর ‘আপন ঘর’ নামে ডুপ্লেক্স বাড়িতে বনানী থানার এসআই রিপন কুমার ও এসআই মিল্টন দত্তের নেতৃত্বে ছয়জন পুলিশ সাফাতের বাসায় ঢুকে তল্লাশি চালায়।

অভিযান শেষে সাফাতের বাবা ও আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদ তার বাসা থেকে বের হওয়ার সময় গণমাধ্যমকর্মীরা তার মুখোমুখি হয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি শুধু বলেন, আমার ছেলে ব্ল্যাকমেইলের শিকার। সাফাতের বাবা দিলদার আহমেদ দাবি করছেন, তার ছেলে বাসায় ছিলেন।তবে দিলদার আহমেদের এ তথ্য সঠিক নয় বলে পুলিশের অভিযোগ।

একটি সূত্রে জানা গেছে, সাফাত তার চার বন্ধুকে নিয়ে সিলেটে অবস্থান করছে বলে পুলিশের কাছে তথ্য রয়েছে। সিলেট মহানগর ও জেলা পুলিশের কয়েকটি দল তাকে গ্রেফতার করার জন্য সিলেটের গোলাপগঞ্জে সাফাতদের বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে।

সোমবার বিকালে সাফাত আত্মগোপনের জন্য সিলেটের রিজেন্ট পার্ক রিসোর্টে যান। তার সঙ্গে ছিলেন আরও তিনজন। বিষয়টি নিশ্চিত করে রিসোর্টের ইনচার্জ হেলাল আহমেদ, ম্যানেজার বখতিয়ার ও রেস্টুরেন্ট ম্যানেজার মোবারক সাংবাদিকদের বলেন, তারা রুম বুকিংয়ের জন্য এসেছিল। তাদের লাগেজ না থাকলেও প্রাইভেটকার সঙ্গে ছিল। বুকিংয়ের জন্য আইডি কার্ড চাওয়ায় তারা ক্ষুব্ধ হন। এ নিয়ে ম্যানেজার মোবারকের সঙ্গে সাফাতের বাগবিতণ্ডা হয়। রুম বুকিং না দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে তারা রিসোর্ট ত্যাগ করেন।

এদিকে, আসামী গ্রেফতার এত দিনেও আসামিরা গ্রেফতার তো দূরের কথা তাদের অবস্থান শনাক্ত করতে না পারায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন ভুক্তভোগী দুই তরুণী।

উল্লেখ্য, গত ২৮ মার্চ জন্মদিনের পার্টিতে আমন্ত্রণ করে ওই দুই ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে গত শনিবার রাতে একটি মামলা দায়ের করা হয়। এতে সাফাত আহমেদ, নাঈম আশরাফ, বিল্লাল হোসেন, সাদনান ও সাকিফ নামের ৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, জন্মদিনের পার্টিতে দাওয়াত করে হোটেলে নেওয়ার পর সাফাত ও নাঈম হোটেলের একটি কক্ষে নিয়ে রাতভর দুই তরুণীকে আটকে রেখে মারধর এবং হত্যার ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে। আসামিদের অপর তিনজন ধর্ষণে সহায়তা ও ভিডিও ধারণ করে।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/ ১০ মে ২০১৭/শাদিআচৌ/এমকে-এম

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন