আজ শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ইং

সিলেটের লন্ডন ফটো স্টুডিও

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৭-০৬-১৯ ০০:০১:০৪

শাকুর মজিদ :: তালতলার রাস্তা দিয়ে যখনই যাই ‘লন্ডন ফটো স্টুডিও’টা একবার দেখে যাই। আহ! লন্ডন!

আহ! ফটো!

নিজেকে এক টুকরো শক্ত কাগজের ওপর দেখে ফেলবো, এমন আশা তখনও করিনি। ২/৩টি ফটো দেখেছি মানুষের। হোমিওপ্যাথিক ঔষধের প্যাকেটের মতো কাগজের খামে। পাসপোর্ট বানাতে এই ছবি লাগতো। যারা পাসপোর্ট বানাবেন তারা দুই ৪ কপি অতিরিক্ত প্রিন্ট পেয়ে যেতেন। কেউ কেউ সেই সাইজের সেই ছবিই কাঁচের ফ্রেমে বাঁধিয়ে ঘরের দেয়ালে টাঙিয়ে দিতেন। আমার ঘরে এক কপি আছে। ১৯৭০ সালে তোলা, চট্টগ্রামে। আমার আর কোনো ছবি নেই। আমার ছবি তুলতে খুব খায়েশ। শক্ত এক টুকরো সাদা কাগজের ওপর দেখবো নিজের ছবি।

এই ছবি তোলার প্রথম সুযোগ পেয়ে যাই ১৯৭৭ সালে। আমার তখন ১১/১২ বছর বয়স। আমি প্রথম সিলেট আসি। সেই আমার স্মৃতিতে প্রথম ছবি তোলা, সেই আমার প্রথম দেখা সিলেট শহর।

সেসময় সিলেট আসা অত সহজ কাজ ছিল না। সত্তরের পুরো দশকেই এমন অবস্থা ছিল যে, সিলেটে কাজের জন্য যারা আসতেন আমাদের গ্রাম থেকে তারা অন্তত দু-দিনের সময় নিয়ে বের হতেন। ফজরের নামাজ পড়ে সিলেটের পথে রওনা দিলে জোহর-আছর হয়ে যেত সিলেট পৌঁছাতেই। আমার বাবাকেও দেখেছি সিলেট আসার জন্য রওনা দিলে বের হতেন ভোরবেলা। ফিরতেন পরদিন মাঝরাতে।

আমি যখন সুযোগ পেলাম তখন আমি ক্লাস সেভেনে। স্কাউট করি, পড়াশোনায় ভালো, ক্লাসের ফাস্টবয়, ক্লাস ক্যাপ্টেন। স্কুলের বড় ভাইরা অনেক স্নেহ করেন। আমার বন্ধু শুয়েব। সেও স্কাউট। আমাকে একদিন বলে, ‘সিলেট যাইতেনি?’

আমি সিলেট যাওয়ার কথা শুনে পুলকিত হয়ে যাই। সিলেট! টাউন!

শহর কেমন হয় জানি না। শহরের দালান দেখতে ইচ্ছে করে। শুয়েব আমাকে বলে, তার বারী চাচা সিলেট যাবেন কাল। লন্ডন থেকে টাকা এসেছে তালতলার রহমানীয়া ট্রাভেলস-এ। টাকা আনার জন্য একা যেতে যাচ্ছেন না। আরও দুয়েকজন যাবে। কাল তারা যাবে টাকা আনতে। কাল রাতে টাউনে থাকা হবে হোটেলে। সিনেমাও দেখা যাবে। যাবো কি-না, জানতে চায়।

আমি রাজি হয়ে যাই। আমার কাছে পঞ্চাশ টাকা আছে। আমি বাড়িতে বললাম, ফুফুর বাড়ি যাবো। পারমিশন পেয়ে গেলাম বাড়ি ছাড়ার। পরদিন আমরা মাথিউরা থেকে হেঁটে হেঁটে ঢাকা দক্ষিণ বাজারে আসি। প্রায় ৩ মাইল পথ হাঁটার পর ক্লান্ত। সেখান থেকে বাসে উঠি। ‘আপার’-এ সিট নেওয়া হয়। ঢাকা দক্ষিণ বাজারে এসে দেখা মেলে আরও ৩ জনের। ক্লান্ত হয়ে বাজারে আসা। এক চায়ের দোকানে বনরুটি আর মিকচার (অর্ধেক দুধ অর্ধেক গরমপানি, সঙ্গে চিনি) খেয়ে আবার উঠে পড়ি একটা বাসে।

বাসের দুটি ক্লাস আছে। ‘আপার’ আর ‘লোয়ার’। ‘লোয়ার’ কে বলে ‘লুয়ার’। আমি প্রথমে মনে করেছিলাম এটা ‘লৌহ’ সংক্রান্ত কিছু। পরে উঠে দেখি ওখানে তক্তা বিছানো সিট। গাড়ির পেছন দিকে। সামনের সিটগুলোতে ‘পানিকাপড়’-এর গদি। আমাকে বলা হলো, পেছনে ঝাঁকি বেশি খাবে। তুমি সামনে বসো। তোমার জন্য ‘আপার’-এ টিকেট আছে।

আমি আর শুয়েব আপারে বসি। গাড়ি কিছুদূর গিয়ে হেতিমগঞ্জের কাছে এক জায়গায় বিশ্রাম নিলো। এ সময় হেন্ডলম্যান বালতি নিয়ে রাস্তার পাশের খাল থেকে পানি এনে গাড়ির ইঞ্জিনের ভেতর ঢোকালো। মানুষজন নেমে গেল জোহরের নামাজ পড়ার জন্য। নামাজ শেষে, চা নাস্তা খেয়ে আবার গাড়িতে ওঠা। গাড়ি স্টার্ট দিতে আবার অনেক কৌশল লাগে। ইঞ্জিনের সামনে একটা হাতল লাগানো। সেই হাতল ধরে ঘোরাতে হয়। ২/৩ জন সহকারি সহযোগে হাতল ঘোরানোর পর একবার গাড়ি স্টার্ট দেয়। আমার যে কী আনন্দ। এক সময় অনেকদূর থেকে সিলেট রেডিওর একটা টাওয়ার দেখা যায়। আমাদের দলের বড় ভাইরা যারা এর আগে সিলেট দেখেছেন তারা উল্লাসিত হয়ে পড়েন। বলেন, ‘আর মাত্র ১০ মাইল, আইয়া পড়ছি। আমাদের ৬ জনের দল বাসে করে এক সময় এসে কদমতলী নামি। রিকশা নেওয়া হয় ৩টা। কদমতলী থেকে যাবো গুলশান হোটেলে। দেড় টাকা ভাড়া। কিন্তু সুরমা নদীর ওপর রিকশা উঠলে আমি আর শুয়েব রিকশা থেকে নামি। এখানে রিকশায় বসে থাকলে রিকশা টানতে পারে না রিকশাওয়ালা। কিছু লোক ঠেলে ঠেলে ওঠায়। তাদেরকে ৪ আনা দিতে হয় ঠেলা ভাড়া। আমরা ৪ আনা বাঁচানোর জন্য হেঁটে হেঁটে ব্রিজের ওপর পর্যন্ত উঠি। সেখানে আবার রিকশায় চড়া। কিন ব্রিজ দিয়ে নামতে নামতে দেখি উঁচু একটা চৌচালা টিনের চালের মিনার। মাঝখানে একটা ঘড়ি। কী সুন্দর।

হোটেল গুলশানের ৩ কামরায় আমরা ৬ জন উঠে পড়ি। ১২ টাকা রুমভাড়া। বিকেলবেলা আমাদের সিনেমা দেখার কথা। আমরা দুটি সিনেমা দেখি ৬টা থেকে ৯টা। ‘অনুভব’ আর ৯টা থেকে ১২টা ‘সূর্যগ্রহণ’।

পরদিন সকালবেলা সবাই মিলে আমি এই স্টুডিওতে। ফটো তোলা হবে। আমাদের মধ্যে যিনি সবচেয়ে পয়সাওয়ালা, যিনি ‘রহমানীয়া ট্রাভেলস’ থেকে লন্ডন থেকে আসা ১০ হাজার টাকা উঠিয়েছেন তিনি টাই পরে ছবি তুলবেন সিঙ্গেল। ফুল ছবি, হাফ ছবি, সব।

আমি ভেতরে উঁকি মেরে দেখি কী সুন্দর একটা গ্রামের ছবি আঁকা। নদী আছে, গাছ আছে, ঘর আছে। অপরপাশে একটা বিদেশি ছবি। লন্ডনের টাওয়ার ব্রিজের। এর সামনে দাঁড়িয়ে ছবি তুললে মনে হবে লন্ডনের টেমস নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে আছি, পেছনে ব্রিজ। আমাদের বলা হয়, এর সামনে দাঁড়িয়ে ছবি তুলতে মনে হবে এই সুন্দর সিনারীয় সামনে ছবি ঘোলা হয়েছে।

এ স্টুডিওর ভেতরে একপাশে একটা আয়না টাঙানো তার পাশে পাউডারের কৌটা। লন্ডন যাওয়ার জন্য যারা পাসপোর্ট করবেন তারা এই টাই পরে ছবি তুলতে পারেন।

আমার ছবি তোলার ইচ্ছে হয়। কিন্তু ২০ টাকা খরচ করে ছবি তুলতে পারবো না। ঠিক হলো সবাই মিলে যখন ছবি তোলা হবে সেখানে আমি দাঁড়িয়ে যেতে পারবো।

ছবি তোলার জন্য আমাদেরকে দাঁড় করানো হলো। আমি আর শুয়েব দু’জন দু-পাশে, বাকিরা কেউ দাঁড়িয়ে, কেউ বসে। ছবি তোলা হয়ে গেল।

এবার আমার আর শুয়েবের ছবি তোলার পালা। ঠিক হলো দু’জন ভাগাভাগি করে টাকা দিয়ে একটা ছবি ওঠাবো। আমরা দু’জন দাঁড়ালাম। হঠাত্ পেছনে এসে দাঁড়ালেন ফাত্তাহ ভাই। তিনি এই দলের সবচেয়ে বড়। ক্লাস টেনে পড়েন। আমাকে অনেক আদর করেন। ক্লাসের ফার্স্টবয় হিসেবে বড় ক্লাসের ভাইদের আলাদা আদর ছিল আমার প্রতি। ছবি তোলার পর ফাত্তাহ ভাই আমাদের পুরো বিলটা স্টুডিওতে দিয়ে দেন।

এই ছিল আমার জীবনে প্রথম ছবি তোলার ঘটনা। ঘটেছিল তালতলার ‘লন্ডন ফটো স্টুডিওতে’।

লন্ডন ফটো স্টুডিওতে আরেকবার যাওয়ার সুযোগ হয়েছিল আমার ১৯৮২ সালে। কিন্তু যাওয়া হয়ে ওঠেনি।

তখন আমার সিলেটের ঠিকানা মির্জাজাঙ্গালের পশু হাসপাতালের বিপরীত তুহিনের বাসা। ১৯৭৮ সালে ক্যাডেট কলেজে যখন চান্স পেলাম তখন পুরো সিলেটে আমি আর তুহিন। চান্স পাওয়ার পর থেকই তার বাসায় আমার আসা যাওয়ার ক্ষেত্র তৈরি হয়ে যায়। এরপর চট্টগ্রামে যেতে বা যাওয়ার পর এসে বাড়ি যেতে তুহিনের বাসা আমার ট্রানজিট লাউঞ্জ হয়ে যায়। ওর বোনেরা আমার বোন, ভাইয়েরা আমার ভাই। ওর বাবাকে ডাকি চাচা, মাকে চাচী।

আমরা যখন ক্লাস টেনে তখন ওর বড় আপার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে। বিয়ের অনুষ্ঠান ধার্য করা হলো আমাদের মেট্টিক পরীক্ষার পর। আমি এই উত্সবের আগে আগে তাদের বাসায় চলে আসি। তখনও অনুষ্ঠানের দুই সপ্তাহ বাকি। যার সঙ্গে বিয়ে হয়েছে তিনি চাকরি করেন খুলনা। আমাদের সঙ্গে তার দেখা হয়। আমরা তাকে ‘দুলাভাই’ও ডাকি। তিনি চলে যাবেন খুলনা। আবার ফেরত আসবেন বিয়ের ৪ দিন আগে।

তার খুব শখ নিশ্চিত হবু স্ত্রীর সঙ্গে একটা ছবি তিনি সঙ্গে রাখতে চান।

বড় আপার সাথে দুলাভাইয়ের দেখা হয়েছে মাত্র একবার। সবার সঙ্গে। তিনি চেহারা ঠিক মনে রাখতে পারছেন না। বাসায় এলেও তাকে অনেককিছু দিয়ে খাওয়ানো হয়, কিন্তু আপাকে সামনে আনা হয় না। একদিন দুলাভাই আমাকে ডেকে বারান্দায় নিয়ে যান। আমার হাতে চকলেট ধরিয়ে দিয়ে বলেন, এক কাজ কর, তোমার আপারে নিয়া তুমি রিকশায় করে লন্ডন স্টুডিওতে নিয়ে এসো। আমি রিকশা ঠিক করে দেবো। শাড়ি-কাপড় দিয়ে রিকশা ঢাকা থাকবে, তোমার আপার একটা ফটো তুলেই ঐ রিকশায় আবার চলে আসবা, পারবা না?

আমি রাজি।

বড় আপাকে গিয়ে বলি। আপা বলেন, তিনি কিছু জানেন না, তার আম্মা জানেন।

আমি চাচীর কাছে যাই। তিনি কোনো কথা বলেন না। তিনি আরেক রুমে গিয়ে চাচার সঙ্গে কথা বলেন।

খানিক পর চাচী এসে বলেন, তোর চাচার আপত্তি। বিয়ের আগে ছবি তোলা যাবে না।

আমি নিরস মুখে এসে বারান্দায় পায়চারি করা দুলাভাইকে সব খুলে বলি। তিনি মন খারাপের হাসি দিয়ে সেদিন কিছুক্ষণ পর চলে যান। আমার আর লন্ডন ফটো স্টুডিওতে যাওয়া হয় না।

এসব কথা কি  খুব বেশিদিন আগের? সর্বশেষ ঘটনা ১৯৮২ সালের। এরপর সিলেটকে আমি আবার চিনতে শুরু করি ১৯৯৭ সাল থেকে। তখন আমি আর্কিটেক্ট হয়ে গেছি। সিলেটে দু-চারটা কাজ আমার আসতে শুরু হয়েছে। আমি প্রায়ই তালতলা দিয়ে যাওয়া-আসা করি। কেবল লন্ডন ফটো স্টুডিও নয়, আমি আরও অনেক লন্ডনকে খুঁজে পাই এই শহরে এসে। লন্ডন প্লাজা, লন্ডন মার্কেট, লন্ডন এই, লন্ডন সেই, এ রকম অনেককিছু। আমার অনেক ননসিলেটি বন্ধুরা বলে যে, সিলেট নাকি বাংলাদেশের দ্বিতীয় লন্ডন।

গত ৪০ বছর ধরে আমার দেখা এই শহরটিকে আমি নানাভাবে পরিবর্তিত হতে দেখেছি। পৃথিবীর বর্ধিষ্ণু শহরগুলোর মতোই এই শহর দৈর্ঘ্য-প্রস্থ বেড়েছে অনেক। যদিও কয়েকটা চা বাগান ছাড়া তেমন কোনো উত্পাদনশীল খাত বা কলকারখানা নেই এই শহরের আশেপাশে। তারপরও অন্যান্য অনেক জেলার শ্রমজীবী মানুষের প্রথম পছন্দের বাসস্থান হয়ে গেছে সিলেট। দেশের মধ্যে থেকেও এক ধরনের মিশ্র সংস্কৃতি নিয়ে এই শহর বেড়ে উঠেছে। বাংলাদেশের প্রবাসীদের মধ্যে পৃথিবীর প্রায় সকল উন্নত শহরগুলোতে বসবাস করা মানুষের মধ্যে সিলেটের প্রতিনিধিত্বকারীদের সংখ্যা অনেক বেশি। তারা যখন বেড়াতে নিজের শহর সিলেটে আসেন তখন সাথে করে সেই দেশের ভাষা, আচার অনুষ্ঠানের কিছুও নিয়ে আসেন এখানে। আমার সাধারণ শ্রমজীবীদের কাতারে সিলেটের মানুষজনকে খুঁজে পাওয়া যায় না। এরা আসেন বাংলাদেশের অন্যান্য দরিদ্র অঞ্চল থেকে উপার্জনের জন্য। এদের সবাইকে নিয়ে যখন এই শহর এখন বেড়ে উঠছে তখন তা পরিণত হয়ে যাচ্ছে একটা বহুজাতিক, বহুসংস্কৃতির মিশ্রণে গড়ে ওঠা কোনো কসমোপলিটল শহর।

কিন্তু আমার সমস্যা হচ্ছে অন্য জায়গায়। দেশের শতাধিক ছোট বড় শহর পরিশ্রম করে এসে আমি যখন আমার ছোটবেলার নস্টালজিয়া মাখানো শহর সিলেটে ঘুরে বেড়াই তখন আমি খুব বড় কোনোকিছুর অভাববোধ করি। সিলেটের ঘ্রাণ আমার নাকে লাগে না, চোখ ভরে না। সিলেট তবে কিসের শহর?

দেশ-বিদেশে খানদানী শহরগুলোতে ঢুকলেই তার সাইনেজ, ল্যাম্পপোস্ট, প্রবেশ তোরণ, পাবলিক প্লেসের হোর্ডিং, দেয়াল লিখন কিন্তু শহরের অর্ধেক চরিত্র প্রকাশ করে দেয়। সিলেট শহরের পথঘাট, প্রবেশ তোরণ, নদীর পাড়, সড়ক বিভাজন দ্বীপ, গোল চক্কর কোনোকিছুর মধ্যেই আমি একটা বিশেষ কোনো চরিত্র খুঁজে পাই না, যা দেখে এই শহরটিকে আমি বিশেষায়িত করতে পারি। শহরের চরিত্র তৈরিতে এই শহরের নগর পিতাদের দূরদর্শী কোনো মহাপরিকল্পনা আছে কি-না আমার জানা নেই। তারপরও লন্ডনে গিয়ে টেমসের পাড়ের ওয়েস্ট মিনিস্টার ব্রিজ থেকে বিগবেনের ঘড়ি দেখে আমার সুরমার পাড়ের কিন ব্রিজ থেকে দেখা আলী আমজাদের ঘড়ির কথাই শুধু মনে করায়। আর মনে মনে ছবি ভাসে, লন্ডন ফটো স্টুডিও, লন্ডন ফটো স্টুডিও।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/১৮ জুন ২০১৭/ডিজেএস

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন