আজ শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ইং

এ কোন সিলেট নগরী!

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৭-০৬-১৯ ০০:০৪:৩৭

নিজস্ব প্রতিবেদক :: চিরচেনা দৃশ্যপট বদলে গেছে। এ যেন সম্পূর্ণ নতুন এক দৃশ্যপট। এ দৃশ্যপটে রাতের নীরবতা বলে কিছু নেই। আছে গমগম আওয়াজ, আছে সরব রাজপথ। এ দৃশ্যপটে জেগে থাকে নগরী। ঘুম? সে ওই সেহরির পর হাতেগোনা কয়েক ঘন্টা মাত্র!

এ দৃশ্যপট সিলেট মহানগরীর। এমনিতে রাত ১০টার পর ধীরে ধীরে ক্লান্ত-শ্রান্ত নগরী তলিয়ে যায় অতল ঘুমে। কিন্তু ঈদকে সামনে রেখে নগরীর ‘চোখে’ ‘ঘুম’ নেই। একাকীত্ব নেই রাজপথের। আসন্ন ঈদ-উল-ফিতরকে কেন্দ্র করে সকাল থেকে রাত গভীর রাত অবধি জেগে থাকা নগরীতে মানুষের আনাগোনায় সরব থাকে রাজপথ।

এমনিতেই পবিত্র রমজান শুরু হওয়ার পর বদলে যায় সিলেট নগরী। তারাবির নামাজের পর এ নগরীর বাসিন্দাদের মুষ্ঠিমেয় একটি অংশ ঘুমের রাজ্যে তলিয়ে গেলেও জেগে থাকেন সিংহভাগ অংশই। তবে রমজানের শুরুর দিকে নগরীর রাজপথে কিংবা মার্কেটে মার্কেটে তাদের তেমন কোনো আনাগোনা থাকে না। কিন্তু দশ রমজানের পর, বিশেষ করে ঈদ যতো ঘনিয়ে আসতে শুরু করে, তখন পুরোই বদলে যায় নগরীর চিত্রপট। ব্যতিক্রম নয় এবারও।

সকাল থেকে সেহরির আগ পর্যন্ত ঈদের কেনাকাটা করতে বেরোনো মানুষের পদভারে তখন গমগম করতে থাকে নগরী। নগরীর ‘চোখ’ থেকে ‘ঘুম’ যেন তখন পালিয়ে বাঁচে! তবে শুধু নগরীর বাসিন্দারাই নন, সিলেট জেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ইফতারের পর কেনাকাটা করতে নগরীতে আসেন সাধারণ মানুষ। এছাড়া কেনাকাটা নয়, বরঞ্চ আড্ডাতেই মাততে নগরীর বিভিন্ন টং দোকান, মার্কেটের নীচ, গলির মোড় কিংবা রেস্টুরেন্টগুলোয় তররুণ শ্রেণীর জটলা লেগে যায়।

গত কয়েক রাত সিলেট নগরীর জিন্দাবাজার, বন্দরবাজার, নয়াসড়ক, কুমারপাড়া, বারুতখানা, জেলরোড, আম্বরখানা, চৌহাট্টা প্রভৃতি এলাকা ঘুরে দেখা যায়, এসব এলাকায় ‘সুনসান নীরবতা’ বলে কিছু নেই। মধ্যরাতেও দিনের মতো নিশ্চিন্তে চলাফেরা করছে মানুষ। রয়েছে কঠোর নিরাপত্তা। খোলা রয়েছে শপিংমল, ফ্যাশন হাউসগুলোও। সেগুলোতে উপচেপড়া ভীড়ও চোখে পড়ার মতো। ঈদকে সামনে রেখে নগরীর শপিংমল গুলোও যেন ‘নতুন বউয়ের মতো’ সেজেছে। এগুলোর বাহারি আলোকসজ্জা সহজেই আকৃষ্ট করে যে কাউকে। এ যেন অন্য কোথাও, অন্য এক নগরী!

সিলেটভিউ২৪ডটকম/১৯ জুন ২০১৭/আরআই-কে

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন