আজ শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ইং

রাজনগর উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ইউপি চেয়ারম্যানদের সংবাদ সম্মেলন

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৭-০৬-১৯ ২০:৪৩:৫৯

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি :: মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আছকির খানের বিরুদ্ধে সরকারবিরোধী, স্বৈরাচারী, অগণতান্ত্রিক স্বেচ্ছাচারিতা ও বিভিন্ন অনিয়মের ফিরিস্তি দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন উপজেলার ইউপি চেয়ারম্যানরা। এছাড়াও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী কার্যক্রমেরও অভিযোগ আনা হয় তার বিরুদ্ধে।

সোমবার বিকালে রাজনগর উপজেলা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বিভিন্ন অভিযোগ আনেন তার বিরুদ্ধে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ফতেহপুর ইউপি চেয়ারম্যান নকুল চন্দ্র দাস, মুন্সিবাজার ইউপি চেয়ারম্যান ছালেক মিয়া, পাঁচগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান শামছুন নূর আজাদ, সদর ইউপি চেয়ারম্যান দেওয়ান খয়রুল মজিদ সালেক, টেংরার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রিপন মিয়া, কামারচক ইউপি চেয়াম্যান নজমুল হক সেলিম, ও মনসুরনগর ইউপি চেয়ারম্যান মিলন বখত স্বাক্ষর করেন।

লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মনসুরনগর ইউপি চেয়ারম্যান মিলন বখত। এছাড়াও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সজল চক্রবর্তী এসময় উপস্থিত ছিলেন।

লিখিত বক্তব্য থেকে জানা যায়, অভিযুক্ত মো. আছকির খান ২০১৪ সালের মার্চে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে বিভিন্ন অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতা করছেন। টিআর-কাবিখা বরাদ্দের শতকরা ২০ ভাগ তিনি ইচ্ছামতো বন্টন করেন। এছাড়াও ইউনিয়ন পরিষদের বরাদ্দ থেকে তাকে প্রকল্প না দিলে তিনি ফাইল আটকে রাখেন। ১৯৭১ সালে পাঁচগাঁওয়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হামলায় নিহতদের গণকবর সংরক্ষণের জন্য উপজেলার পরিষদের পক্ষ থেকে একটি প্রকল্প নেয়া হয়। কিন্তু স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী মনোভাব ও অনিয়মের কারণে তিনি এ প্রকল্প আটকে দেন। এছাড়াও গত বছরের ২১ ডিসেম্বর আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় কামারচাক ইউনিয়নের যুদ্ধাপরাধী আব্দুল মছব্বিরের ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করেন। কিন্তু তিনিই গত ১০ জুন ওই যুদ্ধাপরাধীর ছেলের শাড়ী বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে সরকার ও আওয়ামীলীগের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করেছেন। এডিপি প্রকল্পের ঠিকাদার নিয়োগে তিনি গুরুতর অনিয়ম করেছেন। নির্ধারিত ঠিকাদারের কারণে এবছরের এডিপির কাজ করা হয়নি। ফলে পরিষদের উন্নয়ন কার্যক্রম বাধাগ্রস্থ হয়েছে। বিগত অর্থবছরে ২০ লাখ টাকা ব্যায়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের কার্যালয় সংস্কার করা হয়। কিন্তু তিনি ওই অফিস ব্যবহার না করে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের বিনোদন কেন্দ্র দখল করে ব্যবহার করছেন।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/১৯ জুন ২০১৭/বিএ/পিডি

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন