আজ শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ইং

জকিগঞ্জে ছাত্রীর সাথে অনৈতিক আচরণের সময় ছাত্রীসহ শিক্ষক আটক

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৭-০৬-২০ ০১:৫৪:৫৪

জকিগঞ্জ প্রতিনিধি :: জকিগঞ্জের ওয়াজেদ আলী মজুমদার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর সাথে অনৈতিক আচরণের অভিযোগে খন্ডকালীন শিক্ষক নাজমুল ইসলামকে উত্তেজিত জনতা আটক করে লাঞ্ছিত করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার বিকেলে বিদ্যালয়ের শ্রেণী কক্ষে প্রাইভেট পড়ানোর সময়।

জানাগেছে, নাজমুল ইসলাম নামের খন্ডকালীন শিক্ষক বিদ্যালয়ের একটি শ্রেণী কক্ষে প্রাইভেট পড়িয়ে ইফতারের কিছুক্ষণ আগে ছাত্রদের ছুটি দিলেও নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ছুটি না দিয়ে শ্রেণী কক্ষের দরজা বন্ধ করে অশালীন ও অনৈতিক আচরণ করেন। বিষয়টি আঁচ করতে পেরে কয়েকজন লোক বাহির থেকে ঐ শিক্ষক ও ছাত্রীকে শ্রেণী কক্ষে তালাবদ্ধ করে এবং পরে শিক্ষককে গণপিটুনী দিয়ে স্কুল ঘেরাও করে রাখে। খবর পেয়ে জকিগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইকবাল আহমদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাক সরকার, ওসি হাবিবুর রহমান হাওলাদার, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক রিয়াজ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। পরে জকিগঞ্জ থানা পুলিশ উত্তেজিত জনতার হাত থেকে অবরুদ্ধ ঐ শিক্ষককে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। অভিযুক্ত শিক্ষক নাজমুল ইসলাম জকিগঞ্জের থানাবাজার এলাকার ইলাবাজ গ্রামের আব্দুল ওয়াহিদের ছেলে। তিনি ৩ সন্তানের জনক বলেও জানাগেছে। এ ঘটনায় আটক শিক্ষক বলেছেন, তিনি পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন।

জকিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হাবিবুর রহমান হাওলাদার জানান, নাজমুল ইসলাম নামের খন্ডকালীন শিক্ষক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে প্রাইভেট পড়ানোর সময় ঐ ছাত্রীর সাথে অশালীন ও অনৈতিক আচরণ করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। অনৈতিক আচরণের বিষয়টি আঁচ করতে পেরে স্থানীয় কয়েকজন লোক বাহির থেকে ঐ শিক্ষক ও ছাত্রীকে শ্রেণী কক্ষে তালাবদ্ধ করে রাখে। এক পর্যায়ে ঐ ছাত্রীকে কক্ষ থেকে বের করে দিয়ে অভিযুক্ত নাজমূলকে আটক করে রাখা হয়। এ সময় শত শত লোক ঐ স্কুল মাঠে হাজির হয়ে শিক্ষকের বিচারের দাবীতে নানা স্লোগান দেয়।

ওসি হাবিবুর রহমান আরও বলেন, পরিস্থিতি শান্ত করতে পুলিশ অভিযুক্ত শিক্ষককে উদ্ধার করেছে। ঐ ছাত্রী বা তার অভিভাবকরা মামলা দিলে পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নিবে।

কসকনকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক রিয়াজ বলেন, বিষয়টি যৌন হয়রানী না ধর্ষণ না অন্য কিছু তা তাৎক্ষণিক জানা যায়নি।

উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইকবাল আহমদ বলেন, ঐ ছাত্রী তাকে বলেছে, সে ঐ শিক্ষকের কাছে পড়ার সময় হঠাৎ শিক্ষক দরজা বন্ধ করে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছেন। অন্যদিকে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের কাছে অভিযুক্ত শিক্ষক অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার।

এ ব্যাপারে ওয়াজেদ আলী মজুমদার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সফিকুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনার সত্যতা যাচাইর জন্য আমরা স্কুলে বসেছিলাম কিন্তু বিপুল সংখ্যক লোকের উপস্থিতি ও হৈ হুলুরের কারণে আমরা কিছু বুঝতে পারিনি।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/২০ জুন ২০১৭/আহাতা/ডিজেএস

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন