আজ শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ইং
নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা
পরিচালক ডা. শাহ আব্দুল আহাদকে মারধর করার অভিযোগ ওঠেছে সিটি
কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে। তবে মেয়র আরিফ বিষয়টি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন।
সোমবার বিকাল ৩টার
দিকে কয়েকজন কাউন্সিলরদের সাথে নিয়ে মেয়র আরিফ উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান।
এসময় মেয়র হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা
পরিচালক ডা. শাহ আব্দুল আহাদের সাথে রাস্তা সম্প্রসারণের ব্যাপারে আলোচনা করেন দাবি মেয়রের। উল্টোদিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি মেয়র রাস্তা সম্প্রসারণের বিষয় নিয়ে সকাল বেলা ফোন আলাপের জের ধরে মারধোর করেছেন। এসময় তার সাথে কয়েকজন যুবক ছিলো।
কিন্তু মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী জানান, উইমেন্স মেডিকেল কর্তৃপক্ষের সাথে পূর্ব আলোচনার প্রেক্ষিতে রাস্তা সম্প্রসারণের ব্যাপারে কথা বলতে গিয়েছিলাম। কিন্তু তারা ন্যূনতম সৌজন্যতা দেখায়নি। উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলেছেন। এটা আমার বিরুদ্ধে চলমান ষড়যন্ত্রের একটি অংশ। নগরীর উন্নয়ন কর্মকান্ড বাধাগ্রস্ত করতে একটি মহল এই তৎপরতা চালাচ্ছেন। আমার যাতে কোন সন্ত্রাসী ছিলো না। সবাই জনপ্রতিনিধি ছিলেন। আমার পরিষদের সদস্যরা ছিলেন।
এ ব্যাপারে সিলেট উইমেন্স মেডিক্যাল কলেজের ভাইস-চেয়ারম্যান বশির আহমদ বলেন, ‘বেলা আড়াইটার দিকে মেয়র আরিফ ডা. শাহ আব্দুল আহাদের সাথে ফোনে কথা বলেন। এর কিছুক্ষণ পরই তিনি ২০-২৫ যুবককে সাথে নিয়ে এমডির অফিসে প্রবেশ করেন। কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই তিনি এমডিকে চড়-থাপ্পড় মারেন এবং তাকে শাসিয়ে চলে যান।’
বর্তমানে ডা. আহাদ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গৌছুল আলম বর্তমানে ঘটনাস্থলে রয়েছেন।
সিলেট উইমেন্স মেডিক্যাল কলেজের ভাইস-চেয়ারম্যান বশির আহমদ জানিয়েছেন, মেয়র আরিফ হাসপাতাল ভেঙ্গে ফেলার জন্য সিটি করপোরেশনের বুলডোজার পাঠিয়েছেন। এ ঘটনায় তারা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
এ ব্যাপারে মেয়র আরিফ সিলেটভিউ২৪ডটকমকে বলেন, ‘ডা. শাহ আব্দুল আহাদকে মারধর করার যে অভিযোগ এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং সাজানো নাটক।’
তিনি বিকেল ৫টায় সিলেট সিটি কর্পোরেশনের হল রুমে এক প্রেসব্রিফিং’র আয়োজন করেছেন।
সিলেটভিউ২৪ডটকম/ ১৭ জুলাই ২০১৭/ পিডি/এসডি /এমইউএ