আজ বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ইং

মুখোমুখি সিসিক-সিলেট উইমেন্স মেডিকেল

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৭-০৭-১৮ ০০:০৪:৪৪

নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেট নগরীর নয়াসড়ক থেকে চৌহাট্টা রাস্তা সম্প্রসারণ কাজ নিয়ে সৃষ্ট ঘটনায় মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে সিলেট সিটি করপোরেশন ও সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। উভয় পক্ষই পাল্টাপাল্টি মন্তব্য করছেন। প্রস্তুতি নিচ্ছেন পাল্টাপাল্টি আইনী লড়াইয়ের।

গতকাল সোমবার বিকালে রাস্তা সম্প্রসারণ কাজের ব্যাপারে আলাপ করতে উইমেন্স মেডিকেলে গিয়েছিলেন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। তার সাথে কয়েকজন কাউন্সিলর ছিলেন। তারা মেডিকেলটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. মো. শাহ আব্দুল আহাদের কক্ষে গিয়ে এ বিষয়ে কথাবার্তা বলেন। এসময় ডা. মো. শাহ আব্দুল আহাদের সাথে কাউন্সিলরদের বাকবিতন্ডা হয়। এর একপর্যায়ে মেয়র কাউন্সিলরদের সাথে নিয়ে উইমেন্স মেডিকেল থেকে বেরিয়ে যান।

এরপরই উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালনা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা বশির উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান- মেয়র আরিফ তাদের হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে চড়-থাপ্পড় মেরেছেন। তার কান ও নাক দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে। এ ঘটনায় তারা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

হাসপাতালের ঘটনার পর সোমবার বিকালে নগরভবনে সাংবাদিকদের সাথে জরুরি প্রেসব্রিফিং করেন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। সেখানে তিনি দাবি করেন- এটি তার বিরুদ্ধে চলমান ষড়যন্ত্রের অংশ। একটি মহল চায় না তিনি জনগণের সেবক থাকেন। উইমেন্স মেডিকেলে তার সাথে নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ড কাউন্সিলর ছিলেন, কোন সন্ত্রাসী ছিল না। মারধোর করার প্রশ্নই ওঠেনা। হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ দেখলে পরিষ্কার হওয়া যাবে এটি যে ষড়যন্ত্র।

প্রেসব্রিফিংয়ে মেয়র আরিফ আরোও বলেন- ‘যদি মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মামলায় যায় তবে নগরভবনও বসে থাকবেনা। আমরাও আইনী পদক্ষেপ নিবো। এসময় তার সাথে উপস্থিত কাউন্সিলররাও সায় দেন।’

তবে সোমবার রাত ১০ টা পর্যন্ত কোন পক্ষই মামলা দায়ের করেনি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গৌছুল হোসেন।

উইমেন্স মেডিকেল পরিচালনা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা বশির উদ্দিন সোমবার রাত পৌণে ১০ টায় সিলেটভিউ২৪ডটকমকে বলেন- ‘আমাদের ঘরে এসে আমাদের মারধোর করে যাবেন। এটা মেনে নেওয়া যায় না। আমাদের নিরাপত্তার স্বার্থে আইনী পদক্ষেপ নিচ্ছি। আমরা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছি।’

আহত চিকিৎসক এখনো চিকিৎসা নিচ্ছেন দাবি করে বশির উদ্দিন বলেন- আমাদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. শাহ আব্দুল আহাদ এখন উইমেন্স মেডিকেলে ভর্তি আছেন। তার কান ও নাক দিয়ে রক্ত এসেছিল। তিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন। এর আগে ডা. শাহ আব্দুল আহাদকে ফোন দেওয়া হলে তিনি বলেন- তিনি এখনো হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

প্রসঙ্গত, সোমবার বিকালে সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী নয়াসড়ক থেকে চৌহাট্টা রাস্তা সম্প্রসারণ কাজে হাসপাতাল থেকে জায়গা ছাড়ার ব্যাপারে কথা বলতে যান। এসময় তার সাথে কয়েকজন ওয়ার্ড কাউন্সিলর ছিলেন। সেখানে ডা. মো. শাহ আব্দুল আহাদের সাথে কাউন্সিলরদের তর্কবিতর্ক হয়। সাংবাদিকরা উইমেন্স মেডিকেলে গেলে মেডিকেল কর্তৃপক্ষ জানায় ডা. মো. শাহ আব্দুল আহাদকে মারধোর করেছেন মেয়র আরিফ।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/ ১৮ জুলাই ২০১৭/ এমইউএ

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন