আজ শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ইং

ছাতকে বন্যার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত,কৃষকের মাথায় হাত

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৭-০৮-১৩ ১৯:২০:০৪

ছাতক প্রতিনিধি :: ছাতকে বোরো ফসলের মারাত্মক বিপর্যয়ের পর এবারে কৃষি ঋন নিয়ে আমন চাষাবাদে আশায় বুক বাঁধে উপজেলার প্রায় ৮৪হাজার কৃষক পরিবার। কিন্তু শ্রাবণ মাসের শেষে আকস্মিক বন্যায় আবারো তলিয়ে গেছে তাদের সর্বশেষ সম্বল রোপা আমনসহ সব বীজতলা।

এ যেন মরার উপর খাড়ার ঘা- বন্যায় উপজেলার ১৩ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার রাস্তা-ঘাট, সবগুলো শিক্ষা প্রতিষ্টান, গবাদিপশু, হাঁস, মুরগি ও মৎস্য খামারসহ ঘরবাড়ি তলিয়ে মারাত্মক ক্ষতি করেছে। পানি বন্দী হয়ে পড়েছেন প্রায় দু’লক্ষাধিক মানুষ। চলতি বন্যায় সুরমা, চেলা, ধলাই, মরা চেলা, সুনাই ও পিয়াইন নদীসহ সবগুলো পাহাড়ি নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এদিকে ভারতীয় সীমন্তবর্তী ইসলামপুরও নোয়ারাই ইউপির মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। বাদ পড়েননি ছাতক সদর, কালারুকা, চরমহলা, দোলারবাজার, ভাতগাঁও, উত্তর খুরমা, দক্ষিণ খুরমা, সিংচাপইড়, গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাও, ছৈলা-আফজলাবাদ ইউপিসহ পৌরবাসিও।

সুরমা নদী ৬০সে.মি, চেলা নদী ৭৭ সে.মি পিয়াইন নদীর পানি বিপদসীমার ৭০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে পানি উন্নয়ন বোর্ড সুত্রে জানা গেছে। এছাড়া ছাতক-সিলেট রোডের ছাতকস্থ ফায়ার সার্ভিস এলাকা তলিয়ে যাওয়ায় সড়ক যোগাযোগ এখন প্রায় বন্ধ হবার পথে। সব মিলিয়ে উপজেলার প্রায় ১০হাজার হেক্টর আবদযোগ্য ভূমির বুনা চারা ও রোপা আমন এখন পানিতে তলিয়ে গেছে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার গোলাম রব্বানী মজুমদার ও প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মানিক চন্দ্র দাস প্রায় সবগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আঙ্গিনা পানিতে তলিয়ে গেছে।

উপজেলা কৃষি অফিসার কেএম বদরুল হক বন্যার পানিতে এখন পর্যন্ত রোপণকৃত আমন জমি ৫৬ হেক্টর ও ২৫ বীজতলা তলিয়ে গেছে বলে জানান।

উপজেলা প্রাণী সম্পদ দপ্তরের ভেটেরিনারী সার্জন ডাক্তার আব্দুস শহিদ হোসেন জানান, বন্যায় উপজেলার বিপুল সংখ্যক হাঁস- মুরগের ফার্ম ও মৎস্য খামারের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। এছাড়া চরম গো-খাদ্য সংকটের কবলে পড়েছে গবাদি পশুর ফার্মগুলো। এ ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সরকারের কাছে সহজ শর্তে ঋন কার্যক্রম চালুর দাবি করেছেন ক্ষতিগ্রস্থ ফার্ম ও খামার মালিকরা।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/১৩ আগস্ট ২০১৭/এমএ/ডিজেএস

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন