আজ মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ইং

হজ্বে যাবেন আরিফ, মেয়রের চেয়ারে বসবেন কে?

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৭-০৮-১৪ ০০:০২:১৩

রফিকুল ইসলাম কামাল :: সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী হজ্বে যেতে চান। এজন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে অনুমতি চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন তিনি। অনুমতি পাওয়া গেলে হজ্ব পালন করতে সৌদি আরবে যাবেন আরিফ। তাঁর অনুপস্থিতিতে প্যানেল মেয়রদের মধ্যে কে ভারপ্রাপ্ত মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন, এ বিষয়টি এখনও সুরাহা হয়নি।

আরিফের ঘনিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, পবিত্র হজ্ব পালনের এবার সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন তিনি। ভিসাও পেয়েছেন আরিফ। এরপর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়ে হজ্বে যাওয়ার অনুমতি প্রার্থনা করেছেন তিনি। সিটি করপোরেশন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীনে রয়েছে। এজন্য হজ্বে যেতে হলে মন্ত্রণালয়ের অনমুতি আরিফের জন্য বাধ্যতামূলক। মন্ত্রণালয় অনুমতি দিলে হজ্ব পালন করতে যাবেন তিনি।

সূত্র জানায়, হজ্বে যাওয়ার জন্য এখনও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অনুমতি পাননি মেয়র আরিফ। তবে আগামীকাল মঙ্গলবার মন্ত্রণালয় থেকে অনুমতির বিষয়ে ফিরতি জবাব আসতে পারে বলে জানা গেছে।

এ ব্যাপারে সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী সিলেটভিউ২৪ডটকমকে বলেন, ‘হজ্বে যাওয়ার নিয়ত করেছি। এজন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের কাছে অনুমতি চেয়েছি। আগামীকাল মঙ্গলবার এ ব্যাপারে মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি পেতে পারি। অনুমতি পেলে হজ্বে যাবো।’

এদিকে, নির্বাচিত মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী যদি হজ্বে যান, তবে ভারপ্রাপ্ত মেয়র হিসেবে কে দায়িত্ব পাবেন, এ বিষয়টি নিয়ে এখন কানাঘুষা চলছে। সিসিকের কাউন্সিলরদের মধ্যে তিন জন প্যানেল মেয়র রয়েছেন। প্যানেল মেয়র-১ রেজাউল হাসান কয়েস লোদী সিলেট মহানগর বিএনপির সহসভাপতি, প্যানেল মেয়র-২ এডভোকেট সালেহ আহমদ চৌধুরীও মহানগর মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক এবং প্যানেল মেয়র-৩ রোকসানা বেগম শাহনাজ মহানগর মহিলা দলের সভাপতি। মেয়র আরিফ নিজেও বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য।

স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন ২০০৯ এর ২১ ধারার (১) উপধারায় বলা হয়েছে, ‘অনুপস্থিতি কিংবা অসুস্থতাহেতু বা অন্য কোন কারণে মেয়র দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হইলে তিনি পুনরায় স্বীয় দায়িত্ব পালনে সমর্থ না হওয়া পর্যন্ত এই আইনের ধারা ২০ অনুযায়ী জ্যেষ্ঠতার ক্রমানুসারে মেয়রের প্যানেলের কোন সদস্য মেয়রের সকল দায়িত্ব পালন করিবেন।’

এ ব্যাপারে মেয়র আরিফ বলেন, ‘এখনও আমি মন্ত্রণালয়ের অনুমতি পাইনি। আগে অনুমতি পাই, এরপর মন্ত্রণালয়ের নীতিমালা অনুসারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

প্রসঙ্গত, সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলায় অভিযুক্ত হয়ে সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী কারান্তরীণ হন। পরে মেয়রের পদ থেকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় তাকে বরখাস্ত করে। ওই সময় সিসিকের ভারপ্রাপ্ত মেয়রের পদ নিয়ে আইনী লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়েন প্যানেল মেয়ররা। বিষয়টির কোনোও সুরাহা হয়নি তখন।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/১৪ আগস্ট ২০১৭/আরআই-কে

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন