আজ শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ইং

বালাগঞ্জে যুবক আহতের ঘটনায় উত্তেজনা অব্যাহত

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৭-০৯-১৩ ০০:২৩:৫৪

মো. জিল্লুর রহমান জিলু, বালাগঞ্জ :: বালাগঞ্জের বনগাঁও গ্রামে গত রবিবার দিবাগত রাতে কতিপয় দু®কৃতকারীর ধারালো অস্ত্রের আঘাতে যুবক আহত হওয়ার ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। গুরুতর আহত জুয়েল আহমদ (২২) সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছে।

এ ঘটনায় ৪জনের নাম উল্লেখসহ দায়েরকৃত মামলার এক নম্বর আসামী আলী আমজাদ পলাতক রয়েছে। তবে গ্রেফতারকৃত এক আসামীর জামিন আবেদন মঙ্গলবার নামঞ্জুর হলেও আদালতে আত্মসমর্পণকারী দু’জন অভিযুক্ত জামিনে ছাড়া পেয়েছে। অপর দিকে মামলার বাদী জাহির উদ্দিন এবং স্থানীয় গ্রামবাসী অভিযোগ করেছেন আসামীরা জামিন পেয়ে গ্রামে ফিরেই তারা বাদীদের প্রাণনাশের হুমকী প্রদান করছে। এ নিয়ে গ্রামবাসীর মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

বালাগঞ্জ থানা পুলিশ এবং সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত রবিবার দিবাগত রাতে বালাগঞ্জ উপজেলার দেওয়ান বাজার ইউনিয়নের বনগাঁও গ্রামের জহির উদ্দিনের পুত্র জুয়েল আহমদের ওপর একই গ্রামের  কতিপয় কিছু যুবক হামলা করে। এসময় ‘ধারালো অস্ত্রের’র আঘাতে জুয়েল আহমদ গুরুতর আহত হয়। স্থানীয় এলাকাবাসী এবং আত্মীয়-স্বজন চিৎকার শুনে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। পুলিশ ঘটনার সংবাদ পেয়ে ওইদিন রাতেই অভিযান চালিয়ে ফখরুল ইসলাম নামের এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। পরদিন সোমবার হামলার শিকার জুয়েল আহমদের পিতা জাহির উদ্দিন বাদি হয়ে বালাগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-০৩ (১১/০৯/২০১৭)। মামলায় একই গ্রামের দুদু মিয়ার পুত্র আলী আমজাদ (২৫), শামীম আহমদ (৪০), ফখরুল ইসলাম (৫০) এবং আলী আকবর (২৮) সহ অজ্ঞাত আরও ২/৩কে বিবাদী করা হয়। গ্রেফতারকৃত ফখরুল ইসলামকে ওইদিন আদালতে প্রেরণ করা হয়।

এ দিকে মঙ্গলবার মামলার অপর দুই অভিযুক্ত শামীম আহমদ এবং আলী আকবর আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন জানালে আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। তবে আদালত পুলিশের হাতে গ্রেফতারকৃত ফখরুল ইসলামের জামিন নামঞ্জুর করেন।

মঙ্গলবার বিকালে সরেজমিন পরিদর্শনকালে সাবেক ইউপি সদস্য চান মিয়া, গ্রামবাসী মো. জামাল উদ্দিন, নিজাম উদ্দিন, আফতাব আলী, মো. হাবিবুর রহমান, সাহিদ আলী এবং দায়েরকৃত মামলার বাদী জাহির উদ্দিন অভিযোগ করেন গ্রেফতারকৃত ফখরুল ইসলামের ভাই নূরুল ইসলাম আহত জুয়েল আহমদের ছোট দু’ভাই স্থানীয় মাদ্রাসার ৫ম শ্রেণি শিক্ষার্থী সাকিব আহমদ এবং শিশু শ্রেণির শিক্ষার্থী রাফি আহমদকে বাড়ি পাশের সড়কে একা পেয়ে মারধরের চেষ্টা চালায়। এসময় তারা দৌড়ে বাড়ি ফিরে আসে। নূরুল ইসলাম অনুরূপভাবে বিকালে আরেক যুবক আব্দুল কাইদ (১৭)কে প্রাণনাশের হুমকী দিয়েছে।

আলাপকালে এলাকাবাসী, হামলার শিকার আহত জুয়েল আহমদ এবং তার পিতা এ সংক্রান্ত মামলার বাদি জাহির উদ্দিন অভিযোগ করেন আলী আমজাদ গং দীর্ঘদিন যাবত এলাকার লোকজনকে নানাভাবে হয়রানী, মারধরসহ বিভিন্ন অপরাধ তৎপরতা চালিয়ে আসছে। ইতোমধ্যে তাদের বিরুদ্ধে মারধর, চুরিসহ বিভিন্ন ধরনের মামলা রয়েছে। জাহির উদ্দিনসহ অন্যরা অভিযোগ করেন জামিনে মুক্তি পেয়ে গ্রামের ফিরেই আসামীরা বাদী এবং তাদের আত্মীয়-স্বজনদের ভয়-ভীতি, হুমকী প্রদান করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এলাকাবাসী এ বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি দাবি জানিয়েছেন।

এ প্রসঙ্গে সর্বশেষ রাতে আলাপকালে বালাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম জালাল উদ্দিন জানিয়েছেন, আসামীদের ধরতে পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭/জেআরজে/ডিজেএস

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন