আজ বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ইং

‘গোলাপগঞ্জে তৃণমূল আওয়ামী পরিবারকে মামলার আসামী করে হয়রানী’

সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৭-০৯-১৩ ১৬:৫১:০৩

সিলেটভিউ ডেস্ক :: স্বামী, ভাসুর ও ভাইপোকে হত্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানী ও মামলা থেকে অব্যাহতি প্রদানের জন্য প্রশাসনসহ প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন গোলাপগঞ্জ উপজেলার কদুপুর গ্রামের মো. আরব আলী স্ত্রী হামিদা বেগম। তিনি বুধবার সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই সাহায্য কামনা করেন।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ২৩ জুন সন্ত্রাসী হামলায় কদুপুর গ্রামের ইমাম হোসেন মারা যান। এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। মামলা নং- ১০। উক্ত মামলায় উদ্দেশ্যমূলকভাবে হামিদা বেগমের স্বামী আরব আলী, ভাসুর মো. আশরাফ আলী ও ভাইপো এমরান উদ্দিন কে যথাক্রমে ১৬, ১৭ ও ১৮নং আসামী করা হয়।

হামিদা বেগম বলেন, সম্পূর্ণ ষড়যন্ত্রমূলকভাবে হয়রানীর উদ্দেশ্যে নিরীহ লোকজনের উপর মামলা করা হয়। তিনি বলেন, ঘটনার দিন উপরোক্ত তিনজনই তাদের জরুরী প্রয়োজনে নিজ নিজ কাজে ব্যস্ত ছিলেন। অথচ হত্যা মামলা দায়েরের পর জানা যায়, তার স্বামী, ভাসুর ও ভাইপোকেও মামলার আসামী করা হয়েছে। বিষয়টি তারা স্থানীয় মুরব্বিয়ান আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ সহ শিক্ষামন্ত্রীকেও অবগত করেছেন।

হামিদা বেগম বলেন, তারা তৃণমূল আওয়ামীলীগ পরিবার জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিুবর রহমানের আদেশে উজ্জীবিত হয়ে মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন। এতে প্রতিপক্ষের লোকজন ঈর্ষান্বিত হয়ে পরিকল্পিতভাবে একটি হত্যা মামলায় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। হামিদা বেগমের দাবি বাদী পক্ষের ছমর আলীর ছেলে আব্দুল কাদির কে তাদের বিদ্যুতের খুটি থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান না করার জন্য পল­ী বিদ্যুৎ গোলাপগঞ্জে আবেদন করেছিলেন। তাতে ছমর আলীর পরিবার ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন। এই আক্রোশেই হয়তো হত্যা মামলায় তাদের পরিবারের সদস্যদের আসামী করা হয়।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/ ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭/এসজেড/ পিসি/ এমইউএ

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন