আজ শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ইং

বড়লেখায় ফার্মেসিতে দুর্বৃত্তদের হামলা

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৭-০৯-১৩ ২১:৩০:৪৮

বড়লেখা প্রতিনিধি :: মৌলভীবাজারের বড়লেখায় দাসেরবাজারে চৌধুরী ফার্মেসি নামে একটি প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর একটার দিকে এই ঘটনা ঘটে। দুর্বৃত্তরা ফার্মেসির আসবাব ও অন্যান্য জিনিসপত্র ভাঙচুর করে চলে যায়। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। তবে কি কারণে হামলা হয়েছে, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) সারওয়ার আলম, থানার ওসি মুহাম্মদ সহিদুর রহমান, বড়লেখা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান বিবেকানন্দ দাস নান্টু, সাবেক পৌর মেয়র প্রভাষক ফখরুল ইসলাম, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান কমর উদ্দিন প্রমুখ।

পুলিশ, ফার্মেসির কর্মচারি, প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার দুপুর ১টার দিকে ১০/১২ জনের একটি দল ফার্মেসিতে এসে ফার্মেসির মালিক পল্লি চিকিৎসক রূপন দাসের খোঁজ করে। রূপন দাস ফার্মেসিতে নেই জানার পরই রড, হাতুড়ি ও লাঠি দিয়ে ফার্মেসিতে হামলা চালায়। ফার্মেসির আসবাবসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র ভাঙচুর করে তারা চলে যায়।

এদিকে প্রত্যক্ষদর্শী একটি সূত্র জানায়, হামালার সময় স্থানীয় ইউনিয়ন যুবলীগের একজন নেতা উপস্থিত ছিলেন। তবে তিনি হামলাকারীদের কোন ধরণের নিবৃত করার  চেষ্টা করেননি।

স্থানীয়ভাবে খবর পাওয়ার পরই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তিন-চারদিন আগে রূপন দাসের সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুক আইডিতে দুটি বিতর্কিত পোস্টের লিংক দেওয়া হয়। রুপন দাসের দাবি তার আইডিটি হ্যাক করে লিংক দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি তিনি জানতেন না। তিনদিন পর আইডি উদ্ধার করে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে তাঁর আইডি ব্যবহার করে কেউ কোনোপ্রকার খারাপ পোস্ট দিয়ে থাকলে এরজন্য তিনি ক্ষমা চান। দুঃখ প্রকাশ করেন। এরপরও বিভিন্ন আইডি থেকে তাঁকে বিভিন্নভাবে হুমকি দেওয়া হয়েছে। বিতর্কিত পোস্টের লিংককে কেন্দ্র করে হামলার ঘটনা ঘটতে পারে।

ফার্মেসির কর্মচারি শ্রীবাস দাস ও বিমল চন্দ্র দাস জানিয়েছেন, দুপুর ১টার দিকে ১০/১২ জন লোক রড, হাতুড়ি নিয়ে এসে রূপন দাসের খোঁজ করে। তিনি নেই জেনে তারা অতর্কিতে হামলা করে চলে যায়।

বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ সহিদুর রহমান হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘ফেসবুকের একটি পোস্টের লিংক দেওয়া থেকে ফার্মেসিতে হামলার নেপথ্য কারণ হতে পারে। এ ঘটনায় কেউ মুখ খুলছে না। মামলা হয়নি। তদন্ত চলছে।’

সিলেটভিউ২৪ডটকম/১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭/এজেএল/পিডি

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন