আজ শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ইং

রাতারগুল থেকে প্রতিদিন লক্ষাধিক টাকার মাছ লুট

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৭-১০-১৩ ১৯:১৯:৫৭

এম. এ মতিন, গোয়াইনঘাট :: দেশের অন্যতম বৃহৎ মিঠা পানির সোয়াম্প ফরেস্ট। সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার রাতারগুল স্বচ্ছ পানিতে ভাসমান গাছপালা ও বন্য প্রাণীকে কেন্দ্র করে প্রকৃতি প্রেমিদের অন্যতম বিনোদন কেন্দ্র হয়ে উঠেছে এ জলার বনটি। প্রতিদিন হাজার হাজার প্রকৃতি প্রেমি ওই সোয়াম্প ফরেস্টের সৌর্ন্দয্য দেখার জন্য দেশে বিদেশ হতে ছুটে আসেন।

এছাড়া বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থী এখানে গবেষণা কার্যক্রম চালান। ওই জলার বনের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ স্বচ্ছ জল। কিন্তু, দুঃখের বিষয় চলতি মাসের ১০ তারিখ থেকে এই স্বচ্ছ জলকে বিনষ্ট করছেন রাতারগুল গ্রামের মৃত হাজীর আলীর ছেলে আমির আলী, সিরাজ উদ্দিনের ছেলে হারিছ আলী ও মৃত ইদ্রিছ আলীর ছেলে জমির আলীসহ ১০/১৫ জন জেলে।

সিলেট বন বিভাগের সারি রেঞ্জের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাদ উদ্দিন আহমদ জানান- রাতারগুল গ্রামের প্রভাবশালী আমির আলী, হারিছ আলী, জমির আলীসহ ১০/১৫ জন লোক চলতি মাসের ১০ তারিখ রাত থেকে প্রতিদিন ও রাতে রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট এলাকায় বিভিন্ন ধরনের জাল দিয়ে লক্ষাধিক টাকার মাছ লুট করছে। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত এ জলারবনটি প্রাণীদের অভয়ারন্য হলে ও এ মহলটির হাত থেকে রেহাই পাচ্ছেনা মাছসহ বিভিন্ন প্রকার প্রাণী। ইতিমধ্যে মাছ ধরা অবস্থায় ওদের হাত থেকে বেশ কয়েকটি জাল উদ্ধার করা হয়েছে।

তিনি আরো জানান- অপরদিকে রাতারগুল সহ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মাহবুব আলমকে সাথে নিয়ে মাছ ধরা অবস্থায় বেশ কয়েকজনের জাল আটক করে ১০ জনের উপর বিরুদ্ধে মামলা করো হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে আমার নেতৃত্বে বিশেষ টহল বাহিনীর মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করে ৫০ ফুটের একটি জাল উদ্ধার করি। স্থানীয় বিট কর্মকর্তার পক্ষে অত্র জলার বনটি সৌন্দর্য্য রক্ষা কঠিন হয়ে পরেছে। এ মহলটির নেতৃত্বে এলাকার শতাধীক লোক এ এলাকায় দিবারাত্রী মাছ লুট করছেন এবং স্বচ্ছ জলকে কাদা জলে পরিনত করছেন।

তিনি বিষয়টি গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার ( ভূমি) কে অবহিত করেছন বলেও জানান। এছাড়া স্থানীয় ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান চৌধুরীকে ও তিনি বিষয়টি সর্ম্পকে অবগত করেছেন।

রাতারগুল গ্রামের আমির আলী ও হারিছ আলী মোবাইল ফোনে অভিযোগটি অস্বীকার করেছেন।

এ ব্যাপারে গোয়াইনঘাট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা বিশ্বজিত কুমার পাল জানান- রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট এলাকা থেকে রাতের আধারে কিছু লোক মাছ ধরার বিষয়টি বন বিভাগের পক্ষ থেকে আমাকে জানানো হয়েছে। শনিবার গোয়াইনঘাটের সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুমন কুমার দাশ সরেজমিন পরিদর্শন পূর্বক পরর্বতী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/১৩ অক্টোবর ২০১৭/এমএএম/ডিজেএস

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন