আজ শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ইং

২০১৯ সাল নিয়ে অন্ধ নারীর ভয়ঙ্কর ভবিষ্যদ্বাণী!

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৮-১২-১২ ০১:২৮:৪১

বুলগেরিয়ার বাসিন্দা অন্ধ নারী বাবা ভ্যাঙ্গা থট রিডিং, অলৌকিক উপায়ে রোগ নিরাময় ইত্যাদি ক্রিয়ার কারণে খ্যাতি পেয়েছিলেন। তার আসল নাম ভ্যাঙ্গেলিয়া প্যানদেভা দিমিত্রোভা। ১৯১১ সালে জন্ম ভ্যাঙ্গেলিয়ার। এরপর এক ঘূর্ণিঝড়ে আহত হয়ে পর্যায়ক্রমে তিনি সম্পূর্ণ দৃষ্টিশক্তি হারান।

১৯২৫ সালে ভ্যাঙ্গা দৃষ্টিহীনদের জন্য এক বিশেষ বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। পরে তিনি পিয়ানো বাজানো, রান্না করা, উল বোনা ইত্যাদিও শেখেন। এই সময় থেকেই তার মধ্যে অতিপ্রাকৃত ক্ষমতার উদয় দেখা দেয়। তিনি ভবিষ্যতে ঘটবে এমন ঘটনার কথা অবলীলায় বলতে শুরু করেন। অচিরেই তাকে ‘বলকানের নস্ত্রাদামুস’ বলে অভিহিত করা হয়। ১৯৯৬ সালে মারা যান ভ্যাঙ্গা। তখন তার বয়স ৮৫ বছর।

ভ্যাঙ্গা যে ভবিষ্যদ্বাণীগুলো করেছিলেন তার মধ্যে অনেক ঘটনাই মিলে গেছে। ২০১৯ সাল নিয়ে ভ্যাঙ্গা বাবা কয়েকটি ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন। এগুলো হল-
২০১৯ সালে পৃথিবীতে এক মহা সুনামির আশঙ্কা রয়েছে। যে সুনামি ২০০৪ সালের সুনামির মতোই ভয়াবহ রূপ নিতে পারে সেটি। এসময় রাশিয়ায় এক বিরাট উল্কাপতন ঘটতে পারে।

এছাড়া ২০১৯ সালটি রাশিয়ার উত্থানের বছর বলে তিনি চিহ্নিত করেছিলেন। বিশ্ব রাজনীতিতে রাশিয়া এক গুরুত্বপূর্ণ স্থানে এই বছর উঠে আসতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে তিনি জানিয়েছিলেন, ২০১৯ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট খুবই অসুস্থ হয়ে পড়বেন। এই অসুখ মস্তিষ্কের এক রহস্যময় রোগ।

এছাড়াও ২০১৮ সাল থেকে পৃথিবীর নানা বিষয় নিয়ে তিনি ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন। সবশেষ ৩৭৯৭ সালে পৃথিবী ধ্বংস হবে বলে দাবি করেছিলেন তিনি। তার আরো কিছু ভবিষ্যদ্বাণীগুলো হল:

২০১৮ সালের পর থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সংকটের মধ্যে পড়বে। ২০২৮ সালে বিশ্বব্যাপী খাদ্যসংকট দেখা দেবে।

২০১৬ সাল থেকে ইউরোপের অবলোপ ঘটবে। (ব্রেক্সিটের কথা মাথায় রাখলে এ কথা অস্বীকার করা যাবে না।)

ইসলামি শক্তির দ্বারা ইউরোপ বিপন্ন হয়ে পড়বে। সিরিয়ায় ইসলামি শক্তিগুলো বিপুল যুদ্ধে জড়িয়ে পড়বে। ২০৪৩ নাগাদ রোম একটি মুসলিম নগরীতে পরিণতি পাবে। সেখানে প্রতিষ্ঠিত হবে খিলাফতের শাসন।

২১৩০ সাল নাগাদ মানুষ পানির তলায় বসবাসের বন্দোবস্ত করে ফেলবে। ২০৪৫ সাল নাগাদ বিশাল হিমশৈলগুলো গলতে শুরু করবে। পৃথিবীর অস্তিত্ব সংকট দেখা দেবে তখন।

২০৭৬ সাল নাগাদ ইউরোপে কমিউনিজম আবার মাথাচাড়া দেবে এবং তার প্রভাব পড়বে বিশ্বের অন্যান্য দেশেও। ৩৭৯৭ সাল নাগাদ পৃথিবীর ধ্বংস অনিবার্য। কিন্তু তত দিনে মানুষ এক নক্ষত্রলোকের সন্ধান পাবে। সেই স্থানেই গড়ে উঠবে পৃথিবীর উপনিবেশ।

সূত্র: ডেইলি মেইল।

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন