Sylhet View 24 PRINT

নদী নয় বরফের খণ্ড ভাসছে মঙ্গলে!

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২০-০৮-০৯ ০০:০৭:৪৫

সিলেটভিউ ডেস্ক :: মঙ্গলে কি পানি আছে? বিশাল বিশাল গিরিখাত, উপত্যকা আর মৃত নদীর ফসিল বারে বারেই এই প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। নাসার পারসিভিয়ারেন্স রোভার লাল গ্রহের যেখানে নামবে সেই জেজেরো ক্রেটারে একসময় বয়ে যেত বড় বড় নদী, এমনটাই ধারণা মহাকাশবিজ্ঞানীদের।

তবে ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলম্বিয়ার বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, মঙ্গলের পিঠে জমে রয়েছে বরফের খণ্ড। মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে বরফের বিশাল পাহাড়। তারই নিচে অন্তঃসলিলা হয়ে আছে জলস্রোত। মঙ্গলের পিঠজুড়ে নদী বয়ে যাওয়ার কোনও প্রমাণ এখনও মেলেনি। ‘নেচার জিওসায়েন্স’ জার্নালে এই গবেষণার রিপোর্ট সামনে এসেছে।

নাসা বলেছে, মঙ্গলে মৃত নদীর ফসিল আছে, ব্রিটিশ কলম্বিয়া বলছে নদী নয় বরফের পানি বইছে সুপ্ত হয়ে পৃথিবীর দিন-রাতের আয়ু যতটা, মঙ্গলের দিন-রাতের আয়ুও প্রায় ততটাই। পৃথিবী নিজের কক্ষপথে মতো ঘুরতে যে সময় নেয় (২৩ ঘণ্টা ৫৬ মিনিট), তার চেয়ে সামান্য কিছুটা বেশি সময় নেয় লাল গ্রহ। ঘণ্টার হিসেবে তাই মঙ্গলের একটি দিন (দিন ও রাত মিলে) আমাদের চেয়ে সামান্য একটু বড়। তার দৈর্ঘ্য ২৪ ঘণ্টা ৩৭ মিনিট থেকে ২৪ ঘণ্টা ৩৯ মিনিটের মধ্যে।

নাসার মিস কিউরিওসিটি রোভারের পাঠানো ছবি দেখে বিজ্ঞানীরা বলেছেন, মঙ্গলে এক সময় ছিল বড় বড় নদী। কম করে ১৭ হাজার কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের। ‘লাল গ্রহে’র উত্তর গোলার্ধে ‘অ্যারাবিয়া টেরা’র সুবিস্তীর্ণ এলাকায় ওই সব বড় বড় নদীর ‘ফসিল’-এর হদিশ মিলেছে। প্রায় ৪০০ কোটি বছর আগে মঙ্গলের উত্তর গোলার্ধে ‘অ্যারাবিয়া টেরা’য় দীর্ঘ এলাকা জুড়ে বইত বড় বড় নদী।

ব্রিটিশ কলম্বিয়ার আর্থ, ওসেন অ্যান্ড অ্যাটমসফিয়ার সায়েন্সের বিজ্ঞানী আন্না গ্যালোফ্রে বলেছেন, মঙ্গলের মাটিতে হাজারের বেশি উপত্যকার বিশ্লেষণ করা হয়েছে এক নতুন পদ্ধতিতে। তাতেই বোঝা গেছে, নদী নয় বরফের স্তর রয়েছে লাল গ্রহে। সেই বরফ গলে পানি হচ্ছে। বড় বড় বরফের চাঙরের নিচে সেই পানি সুপ্ত হয়ে আছে।

ব্রিটিশ কলম্বিয়ার গবেষকরা বলছেন, গত ৪০ বছর ধরে এমন শতাধিক উপত্যকার খোঁজ মিলেছে মঙ্গলে। এই উপত্যকাগুলো আকারে, পরিধিতে একে অপরের থেকে আলাদা। অনেকটা পৃথিবীরই মতো। পৃথিবীতে যেমন কোনও উপত্যকা দিয়ে নদী বয়ে যায়, কোথাও জমে থাকে হিমবাহ। মঙ্গলেও ঠিক তাই। প্রায় ১০ হাজার এমন ‘মার্শিয়ান ভ্যালি’-র বিশ্লেষণ করা হয়েছে নতুন করম অ্যালগোরিদমে। তাতেই এই প্রমাণ মিলেছে।

মঙ্গলের উত্তরে নর্থ পোলার আইস ক্যাপ দেখা যায়। দক্ষিণেও রুক্ষ-বন্ধুর মাটির নিচে এমন বরফ গলা পানি চুপিচুপি মুখ বুজে থাকে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, মঙ্গলের পিঠের প্রায় ১১৫ ফুট গভীরতা অবধি এমন বরফের স্তর থাকার প্রমাণ মিলেছে। ওয়াটার আইসের বেশির ভাগটাই রয়েছে লাল গ্রহের মেরুতে।

সূত্র: দ্য ওয়াল।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/৮ আগস্ট ২০২০/ডেস্ক/মিআচৌ

সম্পাদক : মো. শাহ্ দিদার আলম চৌধুরী
উপ-সম্পাদক : মশিউর রহমান চৌধুরী
✉ sylhetview24@gmail.com ☎ ০১৬১৬-৪৪০ ০৯৫ (বিজ্ঞাপন), ০১৭৯১-৫৬৭ ৩৮৭ (নিউজ)
নেহার মার্কেট, লেভেল-৪, পূর্ব জিন্দাবাজার, সিলেট
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.