আজ বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪ ইং

হবিগঞ্জে বোমা হামলায় নিহত সহকারি জজ সোহেল ও জগন্নাথ স্মরণসভা

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৮-১১-১৪ ২১:০৪:১৮

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি :: হবিগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ আমজাদ হোসেন বলেছেন, ইসলাম ধর্মে হত্যাকান্ডের কোনও স্থান নেই। আমরা বিচারকরা ধর্ম এবং রাষ্ট্রীয় আইনকে প্রাধান্য দিয়ে বিচার কাজ পরিচালনা করি। কোনও রায় প্রদানের ক্ষেত্রে ধর্মীয় আইন, কোরআনের আইন বিশ্লেষন করা হয়। এখানে কোনও সাংঘর্ষিক বিষয় নেই। তারপরও বিচারকদের হত্যা করার মতো কাজ নিন্দনীয়।

বুধবার বিকেলে হবিগঞ্জ জেল ও দায়রা জজ আদালতের সভাকক্ষে জুডিসিয়াল সার্ভিস এসোসিয়েশন আয়োজিত স্মরণ সভায় সভাপতির বক্তৃতায় তিনি একথাগুলো বলেন। বিচারকদের হত্যার পর তাদের পরিবারের লোকজনকে পুনর্বাসনের জন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে বিচারকদের নিরাপত্ত¡া আরো জোরদার করার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানান তিনি।

তিনি আরো বলেন, জঙ্গি হামলায় দুই বিচারক নিহত হওয়ার ঘটনা জাতির জন্য এক কলঙ্কজনক অধ্যায়। কিছু পথভ্রষ্ট লোক এই ঘটনার জন্য দায়ী। ইসলামের নাম ব্যবহার করে দুস্কৃতিকারীরা যাতে ভবিষ্যতে এই ধরণের ন্যক্কারজনক ঘটনার সৃষ্টি না করতে পারে সে ব্যাপারে সকলকে সজাগ থাকতে হবে।

নিহত বিচারকদ্বয়ের স্মৃতিচারণ করে সহকর্মীরা বলেন, তারা বেঁচে থাকলে অনেক সরকারি সুযোগ সুবিধা পেতেন। পাশাপাশি পরিবারের লোকজনও পেতেন অনেক সুবিধা। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তাদের পাশে থাকা জরুরি।

সভায় ২০০৫ সালের ১৪ নভেম্বর ঝালকাটিতে বোমা হামলায় নিহত দুই বিচারকের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।

হবিগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ আমজাদ হোসেন এর সভাপতিত্বে শোক সভায় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এস,এম নাসিম রেজা, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের-৩ এর বিচারক মোহাম্মদ হালিম উল­াহ চৌধুরী, ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোঃ মোয়াজ্জেম হোসাইন, নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মোঃ জিয়া উদ্দিন, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান উদ্দিন প্রধান, অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাহীনুর আক্তার, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মহিবুর রহমান আমিন, ইমরুল আলম চৌধুরী, এসএম জাহাঙ্গীর আলম বক্তৃতা করেন।

অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নাজির মোঃ ওসমান রেজাউলি করিম।

প্রসঙ্গত- ২০০৫ সালের ১৪ নভেম্বর জেএমবির আত্মঘাতী বোমা হামলায় ঘটনাস্থলেই মারা যান সহকারী জজ সোহেল আহম্মেদ এবং বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান অপর সহকারী জজ জগন্নাথ পাড়ে। আহত অবস্থায় ধরা পড়ে হামলাকারী জেএমবির সদস্য ইফতেখার হাসান আল মামুন।

সিলেটভিউ/১৪ নভেম্বর ২০১৮/কেএস/পিডি

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন