আজ বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ইং

হবিগঞ্জে ‌আরডি হলে অবৈধ দখল, সাংস্কৃতিক অঙ্গণে ক্ষোভ

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০৫-১৩ ১২:২১:১৩

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি :: হবিগঞ্জ শহরের অন্যতম সাংস্কৃতিক অঙ্গণ আরডি হলের একটি অংশ অবৈধভাবে দখল করে রেখেছেন এক ব্যাক্তি। টিনশেডের ঘর নির্মাণ করে দীর্ঘদিন ধরে চা বিক্রি আসছেন তিনি। প্রশাসনের নাকের ডগায় বছরের পর বছর অবৈধভাবে তার দখলে থাকলেও কোন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না। বর্তমানে সে ওই স্থানে স্বপরিবারে বসবাস করতেও শুরু করেছে। এনিয়ে হবিগঞ্জ সাংস্কৃতিক অঙ্গনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, শহরের শ্যামলী এলাকার বাসিন্দা অনু মিয়া দীর্ঘদিন ধরে আরডি হলের প্রধান ফটকে টিন শেডের একটি দোকান নির্মাণ করে চায়ের ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। কেউ প্রতিবাদ না করায় সম্প্রতি তিনি সেখানে স্বপরিবারে বসবাস করতে শুরু করেছে। পৌরসভার জায়গার উপর নির্মিত তার টিনশেড ঘরে রয়েছে অবৈধ বৈদ্যুতিক লাইন। এমনকি নির্মাণ করেছে টয়লেটও।

টয়লেটের পাইপ লাইন টেনে তা আবার রাস্তার পাশে ড্রেনে সংযুক্ত করেছে। যার দুর্গন্ধে এলাকাবাসী ও রাস্তায় চলাচলকারী পথচারীরা অতিষ্ঠ। উচ্চস্বরে স্পীকারে গান বাজানোর অভিযোগও রয়েছে অনু মিয়ার বিরুদ্ধে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক ব্যবসায়ী জানান, অনুর এক ভাই পুলিশের সোর্স হওয়ায় সে প্রভাব কাটিয়ে যা খুশি করে আসছে। সন্ধ্যার পরপরই এই দোকানে মাদক ব্যবসায়ী ও দেহ ব্যবসায়িদের দালালদের আনাগোনা বেড়ে যায়।

এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ নাট্যমেলার সাধারণ সম্পাদক শাহ্ আলম চৌধুরী মিন্টু বলেন, ‘শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত আরডি হলটি এমন অবৈধ দলখদারের কবলে সেটা মেনে নেয়া যায় না। বেশ কয়েকবার তাকে উচ্ছেদ করার পরও সে পুণরায় দখলে আসে। আইনের আওতায় নিয়ে এসে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা না নিলে একসময় পুরো আরডি হলটি হয়ত তার দখলে চলে যাবে।’

হবিগঞ্জ শিল্পকলা একাডেমির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি যা সত্যিই দুঃখজনক। পৌরসভার মেয়রের সাথে আলাপ করে দ্রুত তাকে স্থায়ীভাবে উচ্ছেদ করার ব্যবস্থা নিচ্ছি।’

অভিযুক্ত ব্যক্তি অনু মিয়ার বক্তব্য নেয়ার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।

এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র দিলীপ দাস বলেন, ‘আরডি হলের জায়গাটি ডিসির এখানে আমার কিছুই করার নেই।’

তাহলে পৌর কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কিভাবে সে ব্যবসা করে যাচ্ছে এবং টয়লেটের পাইপ ড্রেনে ব্যবহার করছে এমন প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, ‘প্রভাবশালীদের ম্যানেজ করে হয়তো সে এসব করছে। আমি বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিচ্ছি।’

হবিগঞ্জের অন্যতম সাংস্কৃতিক অঙ্গণ আরডি হলে আসা বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অঙ্গনের লোকদের মাঝেও চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। তাদের মতে অতিদ্রুত আরডি হল প্রাঙ্গনটি দখলমুক্ত না হলে চরম সংকটে পরতে পারে ঐহিত্যবাহী এ প্রতিষ্ঠানটি।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/১৩ মে ২০১৯/কেএস/ডিজেএস

@

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন